।। প্রথম কলকাতা।।
Sharmeen Akhee: টেলিফিল্মের শ্যুটিং করতে গিয়ে দগ্ধ বাংলাদেশের (Bangladesh) জনপ্রিয় টেলি অভিনেত্রী শারমিন আঁখি। বৈদ্যুতিন শর্ট সার্কিটের জেরে হঠাৎই এমনই দুর্ঘটনা ঘটে শ্যুটিং ফ্লোরে। তড়িঘড়ি শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হয় আঁখিকে (Sharmeen Akhee)। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসা চলছে অভিনেত্রীর। ‘এই সময়’ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, অভিনেত্রীর শরীরের প্রায় ৩৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানীর মিরপুরের একটি স্টুডিওয়। আর বাকি দিনগুলির মতোই ২৮ জানুয়ারি শ্যুটিং ফ্লোরে হাজির হয়েছিলেন অভিনেত্রী। শ্যুটিং চলাকালীন ওয়াশরুমে চুল ঠিক করতে যান তিনি। আর সেই চুল ঠিক করার মেশিন থেকেই কোনওরকম ভাবে বিস্ফোরণ ঘটে। অন্তত এমনটাই মনে করছেন তাঁর স্বামী। প্রতিবেদন অনুযায়ী, সংবাদমাধ্যমকে এমনই কিছু কথা বলেছে আঁখির স্বামী। এদিকে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান বডি স্প্রে বা কোনও গ্যাস জাতীয় পদার্থ থেকে ঘটনাটি ঘটেছে।
এদিন শ্যুটিং ফ্লোরে অভিনেত্রীর হঠাৎই চিৎকারের শব্দ এলে, তাঁর কাছে ছুটে যান সবাই। বিস্ফোরণের মাত্রা এতটাই বেশি ছিল যে, বাথরুমের দরজা ভেঙে যায়। অন্যদিকে অভিনেত্রীর শরীরের বেশ অনেকটা অংশ পুড়ে যায়। যে জায়গাটিতে শ্যুটিং হচ্ছিল সেটি একেবারে নতুন তৈরি করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত সেখানে খুব বেশি কাজ হয়নি। আর তাতেই কীভাবে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। তাঁর স্বামী রাহাত জানিয়েছেন, হাত-পা ও কপালের বেশ খানিকটা অংশ পুড়ে গিয়েছে আঁখির। অভিনয় জগতে পা রেখেছেন বহুদিন। অরিন্দম নাট্য সম্প্রদায়ের হাত ধরে তাঁর এই জগতে আসা। তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কবি’ নাটকের মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এর পর বহু ধারাবাহিকে দেখা গিয়েছে তাঁকে। ‘ঢাকা টাইমস’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভিনেত্রীর স্বাস্থ্য সম্পর্কে স্বামী জানিয়েছেন, ‘ডাক্তার অনেক পরীক্ষা দিয়েছে। এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত কী পরিস্থিতি, তা বলা সম্ভব নয়। প্রায় একমাস হাসপাতালে থাকতে হবে শারমিনকে। সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে প্রায় এক বছর। সবার কাছে ওঁর জন্য প্রার্থনা করতে বলব’। এদিন এই খবর জানাজানি হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে ইন্ডাস্ট্রিতে। চিন্তায় পড়েছেন অভিনেত্রীর ভক্তরা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম