।। প্রথম কলকাতা ।।
Myanmar Air Strike: নিষ্ঠুরতার সমস্ত সীমা পার করল মায়ানমার (Myanmar)। দেশটির জুন্টা (Junta) সরকার বিমানে করে জনগণের উপর বোমা ছুঁড়েছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১০০ জনের। মৃতদের মধ্যে মহিলা এবং শিশু রয়েছে। এমনি থেকেই রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক মহলে বেশ চাপে রয়েছে মায়ানমার। নতুন করে মায়ানমারের এই বিমান বোমা হামলা গোটা বিশ্বজুড়ে তীব্র নিন্দার ঝড় তুলেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকালে। বিরোধী আন্দোলনের স্থানীয় দফতরের উদ্বোধনের জন্য ওই দিন সকাল সাগাইং এলাকার কানবালু টাউনশিপের পাজিগাই গ্রামে শত শত মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। অনুষ্ঠান চলাকালীন তাদের উপর নিষ্ঠুরভাবে বোমাবর্ষণ শুরু হয়।
মায়ানমার সেনাবাহিনী বেসামরিক নাগরিকদের ওপর বোমাবর্ষণ করেছে। যার জেরে শিশুসহ শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে। মায়ানমার সেনাবাহিনীর এই ভয়াবহ বিমান হামলার নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ। মঙ্গলবার মিয়ানমারের সেনাবাহিনী সামরিক শাসনের প্রতিবাদে একটি ইভেন্টে অংশগ্রহণকারী বেসামরিক মানুষের ভিড়ের উপর বিমান হামলা চালায়। যার মধ্যে অনেক শিশুসহ ১০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। সেখানকার দ্য অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গিয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক একটি বিবৃতি জারি করে বলেছেন যে “বিমান হামলার রিপোর্ট ভয়ঙ্কর”। সামরিক বাহিনীর দ্বারা বোমা হামলার বিষয়ে, ভলকার তুর্ক আরও বলেছিলেন, নিহতদের মধ্যে স্কুলের শিশুরা ওই অনুষ্ঠানে নাচছিল এবং উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্যান্য বেসামরিক ব্যক্তিরাও অন্তর্ভুক্ত ছিল। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি অনুযায়ী, প্রথমে বোমাবর্ষণ করা হয়। তারপর আধঘন্টা বাদে আকাশে ঘুরতে থাকে হেলিকপ্টার। সেখান থেকেও ছুটে আসে গুলি। যার কারণে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও এখনো ঠিক কত জনের মৃত্যু হয়েছে সে বিষয়ে স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি, তবে হামলা যে মায়ানমারের সামরিক জুন্টা সরকার করেছে তা তারা স্বীকার করে নিয়েছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম