।। প্রথম কলকাতা ।।
Somraj Maity: ক্লাস ফোরে পড়তে পড়তে বাবা-মা’র বিচ্ছেদ! পাড়ার মোড়ে বিক্রি করেছেন সবজি! পর্দার সোমরাজের কাহিনী চোখে জল আনবে আপনারও। ছোটো পর্দার জনপ্রিয় হিরো হয়ে ওঠার জার্নিটা একেবারেই মসৃণ ছিল না ঋত্বিকের কাছে। তবে থিয়েটার আর অভিনয়ের প্রতি নেশা তার জীবনের সমস্ত বাধাকেই অতিক্রম করে যায়। মাকে নিয়ে যে স্ট্রাগলের কথা তিনি বললেন তা আবেগ ঘন করে তুলবে আপনাকেও।
দাদাগিরির মঞ্চে আম জনতার জীবনযুদ্ধের গল্পের পাশাপাশি অনেক সময়ই উঠে আসে পরিচিত তারকাদের জীবনের অজানা নানান গল্প। সৌরভের শো-এর সাম্প্রতিক এপিসোডে অতিথি হিসাবে হাজির হয়েছিলেন জি বাংলার ‘মন দিতে চাই’ সিরিয়ালের নায়ক ঋত্বিক মুখোপাধ্যায়। ওরফে সোমরাজ বাবু।
সোমরাজ-তিতির দর্শকদের পছন্দের জুটি। জি বাংলার ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’-এর হাত ধরেই শুরু হয়েছিল ঋত্বিকের অভিনয়ের সফর। কেরিয়ারের প্রথম বড় ব্রেক, ঋত্বিককে দেয় জি বাংলা। নিজের স্ট্রাগলের কথা বলতে দিয়ে দাদার সামনেই আবেগঘন ঋত্বিক। জানালেন মা-কে ঘিরেই তাঁর গোটা জগত। মায়ের আত্মত্যাগের গল্প এদিন শোনালো নায়ক।
সোমরাজের লড়াইয়ের গল্প শুনে অনুপ্রাণিত মহারাজও। ঋত্বিক জানান, ক্লাস ফোরে পড়বার সময়ই তাঁর বাবা-মা আলাদা হয়ে যান। এরপরই ঋত্বিককে নিয়ে শুরু হয় তাঁর মায়ের স্ট্রাগল। ২৮ বছর বয়স থেকে ঠিকঠাকভাবে পয়সা রোজগার শুরু করেছেন ঋত্বিক। এর আগে সংসারের ভার ছিল মায়ের উপরেই। থিয়েটারের নেশায় এক বছর কাজ করেই চাকরি ছাড়তেন ঋত্বিক, এরপর জমানো টাকাকে সম্বল করে থিয়েটারে কাজ করতেন।
এরপর আবেগঘন অভিনেতা বলেন, ‘লক়ডাউনে আমি পাড়ার মোড়ে সবজিও বিক্রি করেছি। তারপর আমি জি বাংলার চোখে পড়ে যাই। এবং ওঁরা আমাকে একটা সুযোগ দেয়’। মায়ের কষ্টের কথা বলতে গিয়ে ঋত্বিক জানান, মা যেগুলো পাননি সেগুলি দিয়ে ভরিয়ে দিতে চান মাকে। তিনি বলেন দেখেছি মা কোনওদিন ৬০-৭০ টাকার বেশি জুতো কেনেনি। দামী লিপস্টিক ব্যবহার করেনি। কোনও ভালো গ্রুমিং কিট ব্যবহার করেনি। যা যা মা পায়নি, সেই স্বাচ্ছন্দ্যগুলো আমি মা-কে দিতে চাই।’
ঋত্বিকের কথা শুনে প্রাণ ভরে আশীর্বাদ করে সৌরভ গাঙ্গুলী। বলেন, ‘নিশ্চয় তোমার স্বপ্নপূরণ হবে। যার মন এত সুন্দর তার স্বপ্ন তো সফল হবেই’। ঋত্বিকের জীবনের এই কাহিনী সত্যিই অনুপ্রেরণা জোগানোর মতোই।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম