।। প্রথম কলকাতা ।।
Kim Jong Un Spy Satellite: আমেরিকার(America) মতো শক্তিশালী রাষ্ট্রের পিছনে গুপ্তচরবৃত্তি যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। কিছুদিন আগেই আন্তর্জাতিক মহল উত্তাল হয়েছিল চিনা স্পাই বেলুন নিয়ে। এবার আমেরিকার উপর নজর রাখবে উত্তর কোরিয়ার স্পাই স্যাটেলাইট(Spy Satellite)। সেই নিয়ে জোর কদমে কাজ করছে কিম জং উনের(Kim Jong-un) প্রশাসন। উত্তর কোরিয়ার(North Korea) সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়া(South Korea) এবং জাপানের(Japan) সম্পর্ক একেবারেই ভালো নয়, আর তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে আমেরিকা। সাম্প্রতিক সময়ে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্কের সমীকরণ বদলেছে। দুই দেশ এখন একে অপরকে শত্রুতার চোখে দেখে। দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের মতো আঞ্চলিক দেশগুলোর সঙ্গে আমেরিকার বন্ধুত্বকে উত্তর কোরিয়ার জন্য হুমকি হিসেবে দেখছেন কিম জং উন। তিনি মার্কিন-দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়ার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছেন।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন বলেছেন, তাঁর দেশ তাদের প্রথম সামরিক গুপ্তচর উপগ্রহের উন্নয়ন সম্পন্ন করেছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী এটি চালু করার জন্য তিনি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) বলেছে, মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়ার মহাকাশ সংস্থা পরিদর্শনের সময় কিম “বর্তমান নিরাপত্তা হুমকি” বিবেচনায় একটি মহাকাশ-ভিত্তিক নজরদারি ব্যবস্থা অর্জনের কথা বলেন। উত্তর কোরিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার আঞ্চলিক মিত্র দক্ষিণ কোরিয়া আর জাপানের মধ্যে যৌথ সামরিক মহড়ার প্রতিক্রিয়ায় আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সহ একাধিক অস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্র আমেরিকাকে আক্রমণ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। কেসিএনএ-এর মতে, কিম জাতীয় মহাকাশ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কাছে বলেছেন যে উত্তর কোরিয়ার যুদ্ধ প্রতিরোধের পদ্ধতিগুলি কার্যকরভাবে ব্যবহার করার জন্য সামরিক তত্ত্বাবধান গুরুত্বপূর্ণ।
কিমের কথায়, সামরিক রিকনেসান্স স্যাটেলাইট নম্বর ওয়ান এপ্রিলে নির্মিত হয়েছিল। তিনি এর উৎক্ষেপণ সংক্রান্ত প্রস্তুতি চূড়ান্ত করতে যুদ্ধস্তরে প্রচেষ্টা চালানোর নির্দেশ দেন, তবে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের তারিখ সম্পর্কে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। কিম বলেন, ব্যাপক গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের সক্ষমতা অর্জনের জন্য উত্তর কোরিয়ার একাধিক উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করা উচিত। তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে মৈত্রী শক্তিশালী করার নামে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে বৈরী সামরিক অভিযান সম্প্রসারণের অভিযোগ করেন। কিম যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমানবাহী রণতরী এবং পরমাণু সক্ষম বোমারু বিমান মোতায়েন করার অভিযোগও করেছেন। অতীতে কিম যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়াকে ‘উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি’ বলে বর্ণনা করেছিলেন।