।। প্রথম কলকাতা ।।
কিম-পুতিনের কাউন্টার প্ল্যান। মস্কোর প্যালপিটিশন বাড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রে কী করবেন জেলেনেস্কি? এবার আরও ভয়াবহ রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ? জো বাইডেনের সঙ্গে গোপন বৈঠক। মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্রে নজর। ডিল পাকা হলেই সোনার সুযোগ ইউক্রেনের হাতে। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে ঘি ঢেলেছেন কিম, আর এবার কফিনে শেষ পেরেক টা পুঁততে চলেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনেস্কি। আগামী সপ্তাহে বড় কিছু ঘটতে চলেছে।রাশিয়ার টেনশন বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন জেলেনেস্কি।তাহলে কি আরো বড়সড়ো সাহায্যের আশায় বুক বাঁধছেন জেলেনেস্কি?
রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু। অলরেডি বাইডেন প্রশাসন ইউক্রেনকে সামরিক ও মানবিক সহায়তা হিসেবে বাড়তি ২ লাখ ৬৫ হাজার ৬৭২ কোটি টাকা দিয়ে দিয়েছে। এখনো ইউক্রেনকে সাহায্য করতে এক পায়ে রাজি যুক্তরাষ্ট্র। সেক্ষেত্রে, জেলেনস্কির সফরের মেইন টার্গেট হতে পারে বাইডেন প্রশাসনের কাছ থেকে স্ট্র্যাটেজিক মিসাইল সিস্টেম অনুমোদনের বিষয়ে আলোচনা করা। এমনকি, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের জন্য নতুন করে ২১ বিলিয়ন ডলারের প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে এতে বড় লাভ ইউক্রেনের। জানিয়ে রাখি, গত সপ্তাহেই যুক্তরাষ্ট্রর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কথা দিয়েছিলেন, ইউক্রেনকে তারা প্রয়োজনে আরও সাহায্য দেবে, পাশে থাকবে। তাই সবদিক বিবেচনা করে বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের ধারণা জেলেনেস্কির সফরকালে এই বিষয়ে ফাইনাল সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
কারণ, এরই মধ্যে উত্তর কোরিয়ার কিম জং উন ট্রেনে করে রাশিয়ার বন্দর শহর ভ্লাদিভোস্টকে পৌঁছে পুতিনের মুখোমুখি বসে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে উত্তর কোরিয়ার খতরনাক, আপগ্রেডেড সব সমরাস্ত্র রুশ বাহিনীর হাতে চলে আসতে পারে বলে চারিদিকে তোলপাড় চলছে। চারিদিকে বলাবলি লেখালেখি শুরু হয়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্র ওয়ার্ন করেছে, কিমের অস্ত্র পুতিনের হাতে এলে ছেড়ে কথা বলবে না পশ্চিমা বিশ্ব। আর তার ঠিক পরপরই পাল্টা চাল দিতে তৈরি জেলেনেস্কি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও অন্যান্য কংগ্রেসম্যানদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে জেলেনস্কির। তবে এ বিষয়ে এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি কখন-কিভাবে যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন? সেটাও কিন্তু টপ সিক্রেট। নিরাপত্তার খাতিরে এখনই ফাইনাল দিনক্ষণ সামনে আনা হচ্ছে না। আগেরবার ও তাই হয়েছিল।
মনে করিয়ে দিই, সর্বশেষ গত বছর ডিসেম্বরে ওয়াশিংটন সফর করেছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। সেইসময় মার্কিন কংগ্রেসে তিনি বলেছিলেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের যুদ্ধ অব্যাহত রাখা হোক। আর এবার? সাবধানী হয়েছেন। বুঝে শুনে পা ফেলছেন জেলেনস্কি আশা করা হচ্ছে তিনি এবার কংগ্রেসে বক্তব্য রাখবেন না। তবে সেখানে বৈঠক করতে পারেন। বেশির ভাগ কংগ্রেসম্যান এখনও ইউক্রেনকে সাহায্য করার পক্ষপাতী। যদিও যুক্তরাষ্ট্রের ডানপন্থী রিপাবলিকানদের একটি অংশ দেশটিকে দেওয়া মার্কিন সহায়তার বন্ধের দাবি তুলেছে যদিও, এগুলোকে সাহায্য হিসেবে ভাবতে নারাজ ইউক্রেন। জেলেনেস্কির কথায় যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে যে অর্থ দিচ্ছে তা ‘সাহায্য’ নয়, এই অর্থ আসলে ‘বিনিয়োগ’। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিনিয়োগ হিসেবে এই অর্থকে ধরতে হবে। এতোগুলো দিন ধরে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে। হামলা পাল্টা হামলা চলছে। কিন্তু, এবার রাশিয়ায় গিয়ে পুতিনের সঙ্গে দেখা করে যে সমীকরণ তৈরি করলেন কিম, আর তার পাল্টা দিতে জেলেনেস্কি যে পথে হাঁটছেন। তার পরিণাম কতটা ভয়ঙ্কর হবে, সেটা বলবে সময়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম