।। প্রথম কলকাতা ।।
Russia-Ukrain War: ক্রিমিয়ার সমুদ্র সৈকতে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা দুর্গ গড়ে উঠছে। এবার কি সমুদ্রপথে আক্রমণের ছক কষছে ইউক্রেন? ইউক্রেন কী ধরনের পাল্টা আক্রমণ চালাতে পারে? রাশিয়াই বা সেই আক্রমণ প্রতিহত করতে কিরকম, কি ধরণের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলছে, জানেন কি? ইউক্রেনীয় বাহিনী কী ধরনের প্রতিরোধের মুখে পড়তে পারে? সত্যিই কি পশ্চিমাদের থেকে পাওয়া অত্যাধুনিক অস্ত্রের কেরামতিতেই জিতবে ইউক্রেন? চান্স কতটা? ধারণাও নেই, যে ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণ ঠেকাতে রাশিয়া কি ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে? স্যাটেলাইট থেকে তোলা বেশ কিছু ছবি পরীক্ষা করে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলে বেশ কয়েকটা গুরুত্বপূর্ণ স্থান পয়েন্ট আউট করেছে বিবিসি। এর মধ্যে রয়েছে
১. ক্রিমিয়ার পশ্চিম উপকূল
২. টকমাফ
৩. E105 মহাসড়ক
৪. মারিউপোলের উত্তরেরিভনোপিল
ক্রিমিয়ার পশ্চিম উপকূলের ছবিটা এখন কিরকম?
এখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে রুশ সৈন্যদের স্থাপিত প্রতিরক্ষা স্থাপনা। সৈকতের তটরেখা ধরে আছে “ড্রাগন্স টিথ”, যা পিরামিড আকৃতির কংক্রিটের ব্লক। ট্যাঙ্ক সহ অন্যান্য সামরিক যানকে থামাতে ব্লক ব্যবহার করা হয়। তার পেছনেই আছে পরিখা যা প্রতিপক্ষের আক্রমণ থেকে সৈন্যদের রক্ষা করবে। দীর্ঘ এই পরিখার বিভিন্ন জায়গায় কিছু বাঙ্কার দেখা যাচ্ছে। মনে করা হচ্ছে উপকূলজুড়ে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার কাজ এখনও চলছে।
বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, স্থলপথে নয় বরং সমুদ্র পথে ক্রিমিয়ায় ইউক্রেনের আক্রমণ প্রতিহত করতেই সম্ভবত এসব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার কাজ চালাচ্ছে রাশিয়া। স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবিতে দেখা যাচ্ছে এই শহরের চারপাশে কিছু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে। যার তিনটে স্তর রয়েছে। এরমধ্যে ট্যাঙ্ক-প্রতিরোধী পরিখাগুলো সাধারণত আড়াই মিটার গভীর। শত্রুপক্ষের কোনো ট্যাঙ্ক এগুলো পার হয়ে আসার চেষ্টা করলে এসব পরিখার মাধ্যমে ট্যাঙ্কগুলোকে আটকে দেওয়া হয়। এই পরিখার পেছনে আছে ড্রাগন্স টিথের আরো কয়েকটি সারি। তারপরে পরিখার আরও একটা নেটওয়ার্ক। তবে, ভয় অন্য জায়গায়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রত্যেক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মধ্যেই সাধারণত মাইনফিল্ড থাকে, আর রাশিয়া পুরো যুদ্ধ জুড়েই ব্যাপকভাবে মাইন ব্যবহার করে আসছে। এখানে মাইনফিল্ড আরো বড় হবে এবং গোপন। সেটাই দুশ্চিন্তার। অন্যদিকে, E105 মহাসড়ক কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ইউক্রেনীয় বাহিনী যদি এই সড়ক ব্যবহারের চেষ্টা করে, রাশিয়া তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার পেছন থেকে ভারী কামান দিয়ে শত্রুপক্ষের ওপর আক্রমণ চালাতে পারে। জানিয়ে রাখি, ইউক্রেন সম্প্রতি যেসব সামরিক ইউনিট গড়ে তুলেছে সেটা নিয়ে রাশিয়ার উদ্বেগ রয়েছে। এসব ইউনিট যদি প্রধান মহাসড়কে উঠে পড়ে? না, ইউক্রেনীয় বাহিনীকে সড়কে উঠতে না দেওয়াই রাশিয়ার টার্গেট।
তাছাড়া, দক্ষিণের ক্রিমিয়ার মাঝখানে অবস্থিত মারিউপোল বন্দরের অবস্থান কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ। রাশিয়া মনে করছে ইউক্রেন হয়তো এখন এই শহরের পুনর্দখল নেওয়ার চেষ্টা চালাতে পারে। তাই, মারিউপোলের ৩৪ মাইল উত্তরে ছোট্ট একটা গ্রাম রিভনোপোলে পরিখা খনন করা হয়েছে। এগুলোর মাঝখানে মাটির স্তূপ। সম্ভবত কামান রক্ষার জন্য মাটির এই স্তূপ বসানো হয়েছে। এছাড়াও শত্রুপক্ষের আক্রমণের মুখে সৈন্যরা এসব বৃত্তাকার পরিখায় আশ্রয় নিতে পারবে। তবে, কোনো কোনো বিশ্লেষক মনে করছেন ইউক্রেনীয় বাহিনী রাশিয়ার এসব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে পাশ কাটিয়ে আক্রমণ চালাতে পারে। সেক্ষেত্রে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে পরিকল্পিত এই আক্রমণের মাধ্যমে কিয়েভ প্রমাণ করতে চাইছে, চাইবে যে পশ্চিমাদের থেকে পাওয়া অত্যাধুনিক অস্ত্র দিয়ে তারা রণক্ষেত্রে জয় ছিনিয়ে আনতে পারে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম