।। প্রথম কলকাতা ।।
বড় কোনো যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে চীন রাশিয়া? জাপান সাগরে তৈরি করেছে চক্রব্যূহ। নিজেদের শক্তি জানান দিচ্ছে দুই দেশ। চীন-রাশিয়ার সামরিক সম্পর্ক আরও জোরদারের ইঙ্গিত। চীনা জাহাজের বহর মিশে যাচ্ছে রাশিয়ার নৌ ও বিমানবাহিনীর সাথে। দুই দেশের যৌথ সামরিক মহড়ার নেপথ্যে লুকিয়ে কোন রহস্য? হাঁ করে দেখছে পশ্চিমা বিশ্ব। টার্গেট কৌশলগত জলপথের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
সেই লক্ষ্যেই জাপান সাগরে রাশিয়ার নৌ ও বিমানবাহিনীর আকাশ এবং সমুদ্র মহড়ায় অংশ নিচ্ছে চীনা নৌবাহিনীর জাহাজের বহর। মস্কোর এই মহড়ার নাম নর্দার্ন ইন্টারঅ্যাকশন-২০২৩। যেখানে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর দুটি রণতরী গ্রোমকি ও সোভারশেন্নি অংশ নিচ্ছে। অন্যদিকে, চীনা সামরিক বাহিনীর ওই জাহাজের বহরে রয়েছে পাঁচটি রণতরী, চারটি হেলিকপ্টারবাহী জাহাজ। যা জাপান সাগরে রুশ বাহিনীর সাথে মিলিত হচ্ছে। গত ছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ শুরুর কয়েক দিন আগে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দুই রাষ্ট্র প্রধান বেইজিং-মস্কোর ‘সীমাহীন’ বন্ধুত্বের কথা ঘোষণা করেছিলেন। কথা হয়ে গেছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব মোকাবিলার লক্ষ্যে তারা এই অংশীদারিত্বের কথা ঘোষণা করেন। দুই দেশের অংশীদারিত্বের অন্যতম একটি খাত পারস্পরিক সামরিক সহযোগিতা। আর রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর চীন রাশিয়া দুই দেশের সম্পর্কের গভীরতা প্রকাশ পেয়েছে বিভিন্ন সময়। দেশ দু’টির সামরিক সম্পর্ক নতুন মাত্রা পেয়েছে। এবার তাতেই যোগ হচ্ছে অন্য মাত্রা।
বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে এই মহড়ার মধ্য দিয়ে চীন এবং রাশিয়ার সামরিক মৈত্রী অনন্য মাত্রায় পৌঁছাবে। দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় সক্ষমতা বাড়াতে এই যৌথ মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে। পাশাপাশি আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা ও প্রতিরক্ষা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে এই যৌথ সামরিক মহড়ার মাধ্যমে। তাহলে কী, আগামী দিনে যুদ্ধেও রাশিয়ার হাত শক্ত করবে চীন? ভেতরে ভেতরে কোন ছক কষছে দুই দেশ? ভেবেই হাহুতাশ করছে পশ্চিমা বিশ্ব।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম