।। প্রথম কলকাতা ।।
তাইওয়ানের মাটিতে সমুদ্র দানব! চীনের প্রাণ শুকিয়ে কাঠ। সাগরের বুকে ভয়ঙ্কর খেলা শুরু হলো বলে। কোন সাহসে অসম্ভবকে সম্ভব করছে তাইপে? আর ভয় নয়, ২০২৪ এই ফেস টু ফেস হবে চীন-তাইওয়ান? দানবীয় হাইকুন মাছ-ই তাইপের হাতিয়ার? তলে তলে পাওয়ারফুল হচ্ছে তাইওয়ান। সামরিক বাহিনীকে অত্যাধুনিক হাতিয়ারে সাজিয়ে তুলছে দ্বীপরাষ্ট্রটি। লালফৌজের আগ্রাসনের কড়া জবাব দিতে, সাগরে চীনকে শায়েস্তা করতে এবার। নিজেদের মাটিতেই সাবমেরিন তৈরি করছে তাইওয়ান। দানবীয় আকৃতির মাছ হাইকুনের নামে সাবমেরিনটির নামকরণ করা হয়েছে।
চীনা পুরাণ অনুসারে এটা এমন একটি মাছ, যা জলে বাস করলেও উড়তে পারে। অতএব, সাবমেরিনটার ক্ষমতা আন্দাজ করতে পারছেন তো? নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি এই সাবমেরিন তৈরিতে ১৫৪ কোটি ডলার খরচ হয়েছে। আরও একটি হাইকুন সাবমেরিন তৈরি হচ্ছে। তাইওয়ানের লক্ষ্য অন্তত ১০টি সাবমেরিনের একটি বহর বানানো ভাবুন তো, অতীতে যে দেশ সাবমেরিন তৈরি করার কথা ভাবতে পারতো না, তারাই কিনা এবার যোগ্য জবাব দেবে চীনকে। তাইওয়ানের কাওশিউং শহরে ৮ টি সাবমেরিন এর মধ্যে প্রথমটির উদ্বোধন করেছেন প্রেসিডেন্ট।
টার্গেট একটাই, যদি কোনও ঝুঁকির মুখে পড়তে হয়, যতই চ্যালেঞ্জ আসুক রুখে দাঁড়াবে তাইওয়ান। চীনের প্যালপিটিশন বাড়ছে। গত কয়েক মাসে তাইওয়ানের সীমান্ত জুড়ে সামরিক মহড়া বাড়িয়েছে লালফৌজ। কয়েকদিন আগে দ্বীপরাষ্ট্রটির প্রতিরক্ষা বলয় ভেদ করে ঢুকে পড়েছিল চীনের যুদ্ধবিমান-রণতরী। চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে বহুদিন ধরে চলছে ক্ষমতা দখলের লড়াই। গত তিন বছরে এই লড়াই আরও তীব্র হয়েছে। দ্বীপরাষ্ট্রটিকে নিজেদের দখলে আনতে মরিয়া চীন। এর আগেও বহুবার তাইওয়ানের সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছে চীনা ফৌজ। কিন্তু ‘ড্রাগন’কে এক চুল জমিও ছাড়তে নারাজ তাইওয়ান। ফলে চাপানউতোর বেড়েই চলেছে দুদেশের মধ্যে। এখন তাইওয়ানের আকাশ জুড়ে ক্রমশ ঘনাচ্ছে যুদ্ধের মেঘ। আর, চীনকে টক্কর দিতে ব্রহ্মাস্ত্রে শান দিচ্ছে তাইওয়ান, তবে এই সাবমেরিনগুলো যুদ্ধক্ষম হতে দুবছর অপেক্ষা সময় লাগবে। ততদিনে চিন কি আরো বেশি পাওয়ারফুল হবে? চিন তার আগেই চেষ্টা করবে, তাইওয়ান আক্রমণ করার এটা একটা বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা, কি মনে করছেন তারা?
জানা যাচ্ছে চিনকে রুখতে কিছুদিন আগেই রেকর্ড অঙ্কের বাজেট ঘোষণা করেছিল তাইপে। আত্মরক্ষার ক্ষেত্রে তাইওয়ান নিজেদের আরো বেশি পাওয়ার বাড়াচ্ছে। তাইওয়ান এফ -১৬ যুদ্ধবিমানের থেকে শুরু করে অত্যাধুনিক সাব মেরিন তৈরি করা শুরুকরে দিয়েছে। এরই মধ্যে চীনের সামরিক মোহরাকে মোটেই ভালো চোখে দেখছে না তাইওয়ান। আসলে তাইওয়ানের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক বরাবরই যে সাপে-নেউলে সেটা আবার নতুন করে যেন সামনে উঠে আসছে। চীনের দাদাগিরি মানতে নারাজ দ্বীপ রাষ্ট্রটা সেটা এবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়ার সময় এসে গেছে। চিন আবার তাইওয়ানের সার্বভৌমত্ব মানতে নারাজ এটা ফ্যাক্ট। প্রতিরক্ষা এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে সামরিক শক্তিতে চীনের কাছে তাইওয়ানকে কে নস্যি বলা যায়। কারণ তাইওয়ানের কাছে বড়ো হুমকি চীনের নৌ বাহিনী। সামরিক সরঞ্জামের ক্ষেত্রও চীনের থেকে অনেক পেছিয়ে তাইওয়ান। তাছাড়া বেইজিং ইতিমধ্যেই দেখিয়ে দিয়েছে যে উপকূলীয় অঞ্চলে তাদের যা পাওয়ার আছে তা দিয়ে তাইওয়ানের অর্থনীতিকে তারা সীমিত করে দিতে পারে। ফলে চীন তাইওয়ান আক্রমণ করলে তা দখল করার ক্ষেত্রে সফল হওয়ার চান্স বেশি।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম