।। প্রথম কলকাতা ।।
Tulsi Mala: আপনার বাড়ির উঠোনেও কি রয়েছে তুলসী গাছ? রোজ নিয়ম করে জল দেন তাতে? আপনিও হয়ত গলায় পরেন তুলসীর মালা। শুধুই ধর্মীয় রীতি নয়, বিজ্ঞানও বলছে তুলসী মালায় রয়েছে অনেক উপকার। নিয়ম করে তুলসী মালা জপ করলে কী হয় জানেন? তবে জানেন কি কেন তুলসির পুজো করা হয় যুগ যুগ ধরে? কেন বাড়ির সামনে লাগানো হয় তুলসি গাছ? এর পেছনে থাকা বৈজ্ঞানিক কারণ জানলে সত্যিই অবাক হবেন!
অনেকেই হয়ত এটা কেবল একটা ধর্মীয় রীতি মেনেই করে থাকেন, তবে জেনে চমকে উঠবেন এর কিন্তু বৈজ্ঞানিক কারণও রয়েছে। বিজ্ঞানও বলছে, বাড়িতে তুলসী গাছ রাখা অত্যন্ত শুভ। সাথে তুলসী মালা পরিধান করাও নাকি অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর।
চমকে উঠছেন? ভাবছেন, এটা কি আদৌ সত্যি? হ্যাঁ, অবশ্যই সত্যি। কারণ বিজ্ঞান বলছে তুলসী মালা থেকে স্বাস্থ্যেরও উপকার হয়। কীভাবে? আসুন শুনে নিই।
এমনিতে সনাতনী দের মধ্যে তুলসী গাছ রাখার চল আছে। রোজ স্নান করে গাছে জল না দিয়ে খেতে বসেন না ধর্মপ্রাণ মানুষরা। পাতার পাশাপাশি বৈষ্ণব সমাজে তুলসী কাঠকেও পবিত্র বলে মানা হয়। অনেকেই আবার তুলসী বীজ কিংবা কাঠের মালাও পরেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই মালা ধারণ করলে স্বাস্থ্যেরও উপকার হয়। বলা হচ্ছে, গলায় এই মালা ধারণ করলে মনযোগ বৃদ্ধি পায়। সাথে অধ্যাবসায়ও বাড়ে, সেই সাথে কাটে দুশ্চিন্তাও। যে কারণে, অনেকেই মানসিক অবসাদ কাটাতে গলায় পরিধান করেন তুলসীর মালা।
অনেকেই তো আবার বলছেন, হজমের সমস্যা এবং নিঃশ্বাসের সমস্যাও দূর করতে পারে তুলসীর মালা। এমনটাও মনে করা হয়, তুলসীর মালা গলায় ধারণ করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বেড়ে যায়। আবার আধ্যাত্মিক মানুষজনদের দাবি, রোজ তুলসী মালা জপলে দূর হয় নেগেটিভ এনার্জি। তাহলে আর দেরি কেন, অভিজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে আপনিও পরতে পারেন তুলসীর মালা।
তবে কেবল মালা তো নয়, তুলসীর গোটা গাছটাই তো উপকারী। ভেষজ গুণে ঠাসা এই গাছের পাতার ব্যবহার অনেকেই জানেন। এককথায় তুলসীর পাতা কোনও মহৌষধীর চেয়ে কম নয়। সর্দি কাশির যম হচ্ছে তুলসী পাতা। রোজ সকালে মধুর সাথে চারটি তুলসী পাতা চিবিয়ে খান, আর দেখুন ম্যাজিক। স্বাস্থ্য ভালো রাখতে অনেকেই তুলসী পাতার চা-ও খেয়ে থাকেন নিয়ম করে।
সেই সাথে পুজো পার্বণেও তুলসীর পাতা অতি আবশ্যক। যে কোনও মন্দিরেই আরাধ্য দেবতাকে তুলসীর মালা পরানোর নিয়ম রয়েছে। বিষ্ণু ভক্তরা তো সবসময় এক বিশেষ তুলসী মালা পরিধান করে থাকেন। এর পৌরাণিক কারণটা জানা আছে কি?
কথিত আছে, রাধার অত্যন্ত প্রিয় সখী ছিলেন বৃন্দা। রাধা-কৃষ্ণের সম্পর্কের সাক্ষী ছিলেন তিনি। এরপর কৃষ্ণ যখন মথুরায় চলে যান তখন বিরহ বেদনায় কাতর হয়ে ওঠেন রাধা। সখীর কষ্ট দেখতে না পেরে বৃন্দা তখন চলে আসেন মথুরায়। কৃষ্ণকে খুঁজে বেরও করেন তিনি। বিশ্বাস করা হয়, এই বৃন্দা সখীই পরে তুলসী রূপ ধারণ করেন। আর আজ সেই তুলসীকেই আমরা পুজো করে থাকি।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম