।। প্রথম কলকাতা ।।
Saying ‘aaja aaja’ is Sexual Harassment: কোন ব্যক্তি মেয়েদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যদি ‘আজা আজা’ বলে ডাকেন তাহলে কিন্তু বিপদে পড়তে পারেন। কাঁধে চাপতে পারে যৌন হয়রানির (Sexual Harassment) মামলা। সম্প্রতি এই বিষয়ে মুম্বাইয়ের একটি দায়রা কোর্ট গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছে। এই অপরাধে শাস্তি পেয়েছেন ৩২ বছর বয়সী এক ব্যক্তি। সাম্প্রতিক সময়ে শিশু নিগ্রহের সংখ্যা উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে শিশুদের সুরক্ষার জন্য তৈরি হয়েছে পকসো আইন। ডিন্ডোশির দায়রা আদালত ৩২ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা আইনের /পকসো (Protection of Children from Sexual Offences Act /POCSO) বিধানের অধীনে দোষী সাব্যস্ত করেছে।
‘Free Press Journal’ এ প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, একটি মেয়ের অনিচ্ছা থাকার সত্বেও বারবার ‘আজা আজা’ বলার জন্য পকসো আইনের অধীনে এক ব্যক্তি শাস্তি পেয়েছেন। একটি মেয়েকে অনুসরণ করা এবং তার প্রতি অনাগ্রহের স্পষ্ট ইঙ্গিত থাকা সত্ত্বেও বারবার তাকে ‘আজা আজা’ বলা যৌন হয়রানির সমান। ঘটনাটি ঘটেছিল সেপ্টেম্বর ২০১৫ সালে। যখন ঘটনাটি ঘটে তখন ওই নাবালিকা ১৫ বছর বয়সী ছিলেন। দশম শ্রেণির ছাত্রী। আদালতে হাজির হয়ে বলেছিলেন, তিনি যখন হেঁটে তার ফ্রেঞ্চ টিউশনে যাচ্ছিলেন, তখন অভিযুক্ত ব্যক্তি একটি সাইকেলে তাকে অনুসরণ করে এবং বারবার ‘আজা আজা’ উচ্চারণ করে।
আরও কয়েকদিন এভাবে চলতে থাকে। প্রথম দিন তিনি রাস্তায় থাকা অন্যান্য ব্যক্তিদের কাছ থেকে সাহায্য নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তারা অভিযুক্তকে ধাওয়া করার চেষ্টা করলেও অভিযুক্ত সাইকেল নিয়ে পালিয়ে যান। ঘটনাটি সে তার টিউশন শিক্ষক এবং তার বাবা-মাকে জানায়। কিছু দিন পর জানতে পারে, ওই ব্যক্তি পাশের একটি বিল্ডিংয়ে নৈশ প্রহরী হিসাবে কাজ করছেন। মেয়েটি সেই কথা তার মাকে জানায়। মেয়েটির মা পুলিশের কাছে গিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন৷ অভিযুক্ত আদালতকে বলেছিলেন, তার স্ত্রী এবং তিন বছরের একটি সন্তান রয়েছে। পারিবারিক আর্থিক অবস্থা ভালো নয়৷ অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং ২০১৬ সালের মার্চে যখন তিনি জামিন পান। তখন একটি আন্ডারট্রায়ালের মধ্যে থাকা সময়ের জন্য সাজা ঘোষণা হয়। কোর্টের রায় অনুযায়ী, মেয়েদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে এমন আচরণ যৌন হয়রানির সমান।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম