।। প্রথম কলকাতা ।।
Inspiration: কি অফুরন্ত প্রাণশক্তি! এতো উদ্যম আপনি কোথা থেকে পান! কঠোর কঠিন চাকরি সামলেও এই বাংলার প্রত্যন্ত গ্রামে গ্রামে আপনার অনায়াস যাতায়াত।সমাজসেবায় সবার সামনের সারিতে। পরিবেশ রক্ষায় অগ্রণী মুখ আপনিই। কোনও দিন আপনাকে ক্লান্ত হতে দেখেনি কেউই। পুলিশ অফিসার কাকলি ঘোষ। আপনি বলতেই পারেন, আপনারা নিশ্চিন্তে ঘুমান, রাস্তায় আমি রাত জাগছি।
শেষ রাতে ক্লান্তি কাটাতে আপনি চায়ের ভাঁড়ে যখন চুমুক দেন তখনও এক চিলতে হাসি ধরা মুখে। আপনার কলম বলে, আমার সঙ্গে শহর জাগে, তোমার দেশে রাত খসে পড়া তারার আলো কুড়োই অকস্মাৎ। রাতের পর রাত জাগার পরও এতো কবিতা লেখার উদ্যম কোথা থেকে আসে! পরিবার পরিজন সামলেও নিজেকে উজার করে দেন সমাজ সেবায়। আপনাকে স্যালুট।
ইনপেক্টর ইন চার্জ, মহিলা থানা,হাওড়া পুলিশ কমিশনারেট, কাকলি ঘোষ। ফেসবুক পেজে নিজের সম্পর্কে লিখেছেন, একজন মেয়ে, একজন মা, অসময়ের বন্ধু এবং একজন শব্দ শ্রমিক। এই বাংলা তাঁকে চেনে আরও অনেক অনেক রূপে। কাজের মাধ্যমে তিনি জিতে নিয়েছেন সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকার বাসিন্দাদের মন। কাকলিকে আপনের থেকেও আপন ভাবেন তাঁরা। কাকলিও বলতে পারেন, লড়াই চলুক মানুষের জন্য। যেদিন মানুষের বিপদে পাশে থাকতে দুবার চিন্তা করবো,জানবেন আমি বেঁচে নেই। এই জন্মে শুধু মানুষ হয়ে উঠতে চাই।
কমেন্ট বক্সে একজন লিখেছেন, মানবজন্ম সার্থক কী ভাবে হয় তার অন্যতম একটি দৃষ্টান্ত আপনি। কুর্নিশ জানাই আপনাকে। আর একজন লিখেছেন, তোমার এইসব কাজে আমি গর্ব অনুভব করি। এমনি ভাবেই চালিয়ে যাও মা। মানুষের অসময়ে যে তাদের সাথে থাকে, ঈশ্বর তার সহায় হন। ভালো থেকো। পরিস্থিতি সব সময় অনুকূল থাকে না তাঁরও। হয়তো অনেকের সাধারণ চোখে তা ধরাও পড়ে না। কিন্তু অনমনীয় জেদের মধ্য দিয়ে তিনি জয় করেন সব বাধা। তাই কাকলি বলেন, কে বলল আমার পিছুটান নেই ?তাই বলে তো পিছিয়ে থাকলে হবে না। যাদের জন্য পিছুটান তারাই তো শক্তি আমার এই কাজের।
পুলিশের চাকরি। পায়ের তলায় সরষে। আজ বীরভূম তো কাল হাওড়া। নির্ঘন্ট মেনে না হয় ভ্রমণ না ইচ্ছেপূরন। কাজের মধ্যেই তাই আনন্দ খুঁজে নেন। জমাট কাজের মধ্যে থেকে একফালি সময় বেরিয়ে এলে সেই সময়টুকুর সদব্যবহার করেন। ইউনিফর্মের সঙ্গে তাই রাখেন বাড়তি একটা পোশাক,শাড়ি। সুযোগ পেলেই আঁচলে গল্প বেঁধে নিয়ে ফেরেন এলাকায় এলাকায়। সেই মুহুর্তগুলোই প্রাপ্তির ঝুলি ভরিয়ে দেয়।
জীবনে কি কি পাওয়া হল না তা ভুলে গিয়ে যা যা পেলেন তার কাছে কৃতজ্ঞ হন, কৃতার্থ হন কাকলি। লিখে ফেলেছেন বেশ কয়েকটি কবিতার বই। বাড়িতে থরে থরে সাজানো সম্মান স্মারক, পুরস্কার, সার্টিফিকেট। তাঁকে দেখা যায় সবুজের অভিযানে। খোঁজ মেলে রক্তদাতার লাইনে। আসল কথা দুটি তো নয় একটি মেয়েই মোটে। সুযোগ পেলেই খোলস ছেড়ে মানুষ হয়ে ওঠে। এভাবেই বার বার মানুষ হয়ে উঠুন আপনি। অনুপ্রাণিত করুন আরও অনেককে। শুভকামনা রইল প্রথম বাংলার তরফে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম