।। প্রথম কলকাতা ।।
Russia-Ukraine War: প্রায় নয় মাসের বেশি সময় কেটে গেল। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ থামার কোন লক্ষণ নেই। এই যুদ্ধের কোথায় শেষ তার আগাম কিছুই বলা যাচ্ছে না। ইউক্রেনে রাশিয়ার ক্রমাগত হামলা চলছে। এবার নতুন স্ট্র্যাটেজিতে মাতল রাশিয়া। ইউক্রেনের জনগণের উপর ধেয়ে আসল নতুন বিপদ। হয়ত এই শীতেই কাবু হতে পারে ইউক্রেনের নাগরিক। চলতি বছরে দেশটিতে যে পরিমাণ শীত পড়েছে, তা ইউক্রেনবাসীর জীবনে সবচেয়ে ভয়াবহ ঠান্ডা হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে। ইতিমধ্যে বেশিরভাগ এলাকায় রাশিয়ার হামলার কারণে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। একদিকে অন্ধকার ঘুটঘুটে পরিবেশ আর অপরদিকে কনকনে ঠান্ডা। এমত পরিস্থিতিতে রাশিয়ার আক্রমণের সঙ্গে রুখে কতদিন টিকে থাকতে পারবে ইউক্রেনবাসী? উঠছে নানান প্রশ্ন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, হয়ত শীতকে অস্ত্র বানাতে পারে রাশিয়া। এতদিন নানান মিসাইল ব্যবহার করেছে। একের পর এক স্ট্র্যাটেজি ব্যবহার করেও পুতিন ইউক্রেনকে দমাতে পারেনি। ইউক্রেনের বহু অঞ্চলের অবস্থা আরো খারাপ। পরিস্থিতি যেন সেই প্রস্তর যুগে ফিরে যাচ্ছে। যেখানে আধুনিকতার ছোঁয়া বিন্দুমাত্র নেই। অনেকের কাছে খাবার জল তো দূর, বসবাস করার মত মাথার উপর ছাদ পর্যন্ত নেই। বিশেষ করে এখনো যে উঁচু ভবন গুলি মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে, সেগুলি যে কোনো সময় রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হতে পারে। ইতিমধ্যে রাশিয়ার হামলায় ইউক্রেনের পাওয়ার গিড সিস্টেম ধ্বংস হয়ে গেছে।
গত মঙ্গলবার বেশ কয়েকটি শহরের পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে। রাশিয়া দেশটির বৃহত্তম পাওয়ার গ্রিড সিস্টেমে একটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। কিয়েভের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪০% মানুষ এখন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছেন। এছাড়াও রুশ হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ১৫টি প্রধান জ্বালানি কেন্দ্র।
অন্ধকারে থাকবেন তবে রাশিয়ানদের সঙ্গে নয়: ইউক্রেনবাসী
স্বাভাবিকভাবেই ইউক্রেনের বহু জায়গায় এখন বিদ্যুৎ নেই, হিটার চলছে না, মানুষের কাছে পর্যাপ্ত গরম জল নেই। একটি ট্রান্সফরমার রুশ হামলায় ধ্বংস হয়েছে। যার জেরে এখন প্রায় চার লক্ষ মানুষ বিদ্যুৎবিহীন জীবন যাপন করছেন। এই ধরনের প্রচুর ট্রান্সফরমার রয়েছে যা অবিলম্বে প্রতিস্থাপন করা সম্ভব নয়। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়ার প্রায় ১০ কোটি মানুষ বিদ্যুৎ ছাড়াই জীবন যাপন করছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে যথাসাধ্য চেষ্টা চালছে। গত রবিবার এবং সোমবারও পূর্বপরিকল্পিতভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হয়। এখন ইউক্রেনের মানুষের অবস্থা রীতিমত চরমে পৌঁছেছে। অনেকেই আছেন যারা ঠান্ডা এড়াতে হিটার চালান। বিদ্যুতের অভাব মেটাতে প্রতিবেশী দেশ আর শহরগুলি থেকে জেনারেটর চাওয়া হয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে, তাদের কাছে ডিজেল আছে, এখন জেনারেটর পেলে কিছুটা স্বস্তি মিলবে। অপরদিকে হাসপাতাল গুলিতে বিদ্যুৎ না থাকায় বিপাকে পড়েছে বহু মানুষ। রাশিয়ার জনগণ মনে করছেন, তারা বিদ্যুৎ ছাড়া বাঁচতে পারবেন তবে রাশিয়ানদের সাথে নয়। এখন আগামী দিন বলবে, এই যুদ্ধের পরিস্থিতি ঠিক কোন পর্যায়ে পৌঁছায়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম