।। প্রথম কলকাতা ।।
রাশিয়া স্লিপার এজেন্ট পাঠিয়ে দিল যুক্তরাষ্ট্রে? ঘন অন্ধকারে ডুবে যাবে আমেরিকা? সত্যিই কী যুক্তরাষ্ট্রের পাওয়ার গ্রিডে অ্যাটাকের ফন্দি আঁটছেন পুতিন? ক্যালিফোর্নিয়ার সাবস্টেশনে হামলার ঘটনা কী ট্রেলার ছিল? একটা অ্যাটাক, তাতেই রিস্কে পড়ে যেতে পারে দেশটা? কী বলছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা? মার্কিন এনার্জি ডিপার্টমেন্ট কিন্তু টেনশনে পড়ে গেছে। প্রতিশোধ নিতে রাশিয়া কী এভাবেই ডোবাবে যুক্তরাষ্ট্রকে? যদি যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ৬-৯ মাসের জন্য বন্ধ থাকে তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের ৯০ শতাংশ মানুষের কি হবে কেউ জানে না।
জানেন, এটা ঘটার চান্স কতটা? আর যাই হোক, শূণ্যের কোটায় নয় একদম ঠিক শুনছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের আশঙ্কা কিন্তু হার্টবিট বাড়িয়ে দেওয়ার মতো। আমেরিকার ৯ টি গুরুত্বপূর্ণ সাবস্টেশন সন্ত্রাসীদের দখলে চলে গেলে গোটা যুক্তরাষ্ট্র অন্ধকারে ডুবে যাবে। দেশটা প্রস্তর যুগে ফিরে যেতে পারে। হ-য-ব-র-ল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। এই আশঙ্কা বাড়িয়ে দিচ্ছে চলতি বছরের এপ্রিলে ঘটে যাওয়া ঘটনা। যে ঘটনা রীতিমতো দেশটাকে সাময়িকভাবে নাড়িয়ে দিয়েছিল। যে ঘটনার পর নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের পাওয়ার গ্রিডের জন্য রিস্ক ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াতে পারে। ডিপার্টমেন্ট অফ হোম ল্যান্ড সিকিউরিটি বলছে, সন্ত্রাসীরা যুক্তরাষ্ট্রের পাওয়ার গ্রিডে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে।
কেন রাশিয়ার নাম উঠে আসছে? কেন মনে করা হচ্ছে এই কাজ করতে পারে রাশিয়া থেকে পাঠানো স্লিপার এজেন্টরা? আসলে, যুক্তরাষ্ট্রে রাশিয়ার স্লিপার এজেন্টদের উপস্থিতি ছিল। বর্তমানে যে যুক্তরাষ্ট্রে রাশিয়ার স্লিপার এজেন্ট নেই এমন ভেবে নিশ্চিন্তে বসে থাকারও কোনো কারণ নেই। অর্থাৎ চলতি বছরের এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সাবস্টেশনে যারা অ্যাটাক করেছিল, এমনও হতে পারে তাদেরকে পাঠিয়েছিল রাশিয়াই। কেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা এমন বলছেন? হিসেবটা বুঝতে হবে। ইউক্রেন ছিল রাশিয়ার টেস্টিং গ্রাউন্ড। গত বছর ইউক্রেনের পাওয়ার গ্রিডে হামলা চালিয়েছিল রাশিয়া। টানা ইউক্রেনের বিভিন্ন পাওয়ার গ্রিডে হামলা চালিয়ে গেছেন পুতিন। যেগুলো থেকে ইউক্রেনে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হতো। ইউক্রেনকে অন্ধকারে ডুবিয়ে দিতেই এমন ছক কষেছিল মস্কো। অলরেডি জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে রাশিয়া। তাহলে কী এবার রাশিয়ার টার্গেট যুক্তরাষ্ট্রের পাওয়ার গ্রিড ?
মার্কিন এনার্জি ডিপার্টমেন্ট কিন্তু বলছে পাওয়ার গ্রিড এর ওপর হামলা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে ৭৭ শতাংশ বেড়ে গেছে। কিন্তু যে সাবস্টেশন গুলো এতটাই ইম্পরট্যান্ট সেগুলোতে ২৪ ঘন্টাই নজরদারি থাকার কথা। সেটা কী হচ্ছে? না এসব সাবস্টেশন এর চারপাশ শুধু কাঁটাতারের বেড়া দিয়েই ঘেরা। এর বাইরে নিরাপত্তার জন্য বাড়তি কোন ব্যবস্থাই নেই। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রের শত্রুরা যখন তখন দেশটার পাওয়ার গ্রিডে সহজেই হামলা চালাতে পারে। আর তেমনটা ঘটলে বিপদে পড়ে যাবে যুক্তরাষ্ট্র।হিসেব বলছে যদি তিন থেকে চারটে ট্রান্সফর্মার বদলাতেও হয় তাতে লেগে যাবে এক মাসের মতো সময়। সেখানে এক একটা সাবস্টেশনে থাকা দুশো ট্রান্সফরমার বদলাতে যে সময় লাগবে তা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কতটা রিস্কের হতে পারে আন্দাজ করতে পারছেন তো?
আসলে, ১৬ এপ্রিল ২০২৩।
ক্যালিফোর্নিয়ার সাবস্টেশন এর আশপাশের লোকজন গোলাগুলির শব্দে জেগে ওঠে। বন্দুকধারীরা ১০০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। ধারণা করা হয় ৮ থেকে ৯ জন সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছিল। তবে, পুলিশ হামলাকারীদের হদিস পায়নি। এদিন বড়সড়ো কোন বিপর্যয় ঘটেনি ঠিকই তবে নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন এটা ছিল ওয়েক আপ কল। আর যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সবথেকে উদ্বেগের বিষয়টা এই যে সেই সন্ত্রাসীরা এখনো পর্যন্ত ধরাই পড়েনি। তারা ঘুরে বেড়াচ্ছে অর্থাৎ যে কোনও সময় ফের তারা যুক্তরাষ্ট্রের সাব স্টেশন গুলোতে হামলা চালাতেই পারে। এমন আশঙ্কা কিন্তু একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম