।। প্রথম কলকাতা ।।
Russia Test Nuclear Submarine: প্রকাশ্যে ‘আমেরিকা কিলার’! আর বাইডেনের চোখ রাঙানি সহ্য করবে না পুতিন! রাশিয়া দেখিয়ে দিল তার ক্ষমতা। একদিকে দেশের অভ্যন্তরীণ বিক্ষোভ, অপরদিকে পশ্চিমা দেশের চাপ। একের পর এক ফেল করছিল পুতিনের মাস্টারস্ট্রোক। এক চালে সবাইকে মাত দেওয়ার বারংবার চেষ্টা চালাচ্ছে রাশিয়া। অবশেষে ঘুরে যেতে পারে যুদ্ধের পাশা! রাশিয়া সামনে আনল ভয়ঙ্কর নিউক্লিয়ার সাবমেরিন এবং ক্ষেপণাস্ত্র। ইতিমধ্যেই প্রাথমিক পরীক্ষায় এই নিউক্লিয়ার সাবমেরিন থেকে সফলভাবে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই আমেরিকার আকাশে ঘনাচ্ছে কালো মেঘ। একবার যদি রশিয়া এই অস্ত্র ব্যবহার করে তাহলে সর্বনাশ। এর ক্ষমতা আমেরিকার তাবড় তাবড় শক্তিধর অস্ত্রগুলোকে তুড়ি মেরে হারিয়ে দেবে।
ইউক্রেন রাশিয়ার দ্বন্দ্বে ইউক্রেন কম শক্তিশালী হলেও, এখনো পর্যন্ত যুদ্ধে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আর পিছনে সাপোর্ট দিয়ে আসছে আমেরিকা। বাইডেন প্রশাসন সম্প্রতি নতুন করে প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার সৈন্য সহায়তার ঘোষণা করেছে। আমেরিকা মনে করছে, এর ফলে ইউক্রেন আরো মজবুত হবে, এছাড়াও নবীকরণ হবে ৪৫টি যুদ্ধ ট্যাংক। অপরদিকে থেমে নেই রাশিয়া। সম্প্রতি রুশ আর্মি কামিকোজি ড্রোন দিয়ে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি গান বোট গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এছাড়াও ইউক্রেনে ব্যবহার করছে মারাত্মক জিরকান হাইপারসনিক মিসাইল। প্রায় তিন লক্ষ সৈন্য নিয়ে রাশিয়া বানিয়ে ফেলেছে বিশেষ দল। যার মধ্যে রয়েছে কুখ্যাত সব আসামিরা। স্বাভাবিকভাবেই ইউক্রেনের সামনে এখন নতুন চ্যালেঞ্জ। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এর ফলে যুদ্ধের পাশা উল্টে যেতে পারে। কিন্তু সমস্যা হল, ভ্লাদিমির পুতিন যতবার ইউক্রেনকে দমাতে নতুন নতুন প্ল্যান বানিয়েছে, ততবারই তা ভেস্তে যাচ্ছে। ১০০ পারসেন্ট সফল হতে পারছে না। আমেরিকার অস্ত্র আর অর্থ সাহায্যে এত মাস ধরে চলার যুদ্ধে মাথা নত করতে চাইছে না ইউক্রেন।
তাই পুতিন সুকৌশলে যুদ্ধের মাঝেই তার অস্ত্রাগারে যোগ করলো ধ্বংসাত্মক অস্ত্র। ইতিমধ্যেই এই অস্ত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলির কাছে তার শক্তি প্রদর্শন করেছে। এই ক্ষেপণাস্ত ৮০০০ কিলোমিটারের বেশি রেঞ্জে ধ্বংসলীলা চালাতে পারে। এর পরিসর সমগ্র ইউরোপ এবং আমেরিকা জুড়ে। ইউক্রেন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার মধ্যে এখন উত্তেজনা চরমে। সেখানে নতুন মাত্রা যোগ করেছে এই নিউক্লিয়ার সাবমেরিন। এই সাবমেরিনটি চতুর্থ প্রজন্মের। এটি ক্ষেপণাস্ত্র, টর্পেডো অস্ত্র , নেভিগেশন, রেডিও ইঞ্জিনিয়ারিং এবং সোনার অস্ত্রের আধুনিক সিস্টেমে সজ্জিত। খুব শিগগিরই এই সাবমেরিনটি রাশিয়ান নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে, যা আঘাত হানতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে।
রাশিয়ার নতুন পারমাণবিক সাবমেরিন বুলাভা ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে। জেনারেলিসিমো সুভরভ পারমাণবিক সাবমেরিন থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। রাশিয়া তাদের ‘গ্রোম’ পারমাণবিক অস্ত্র অনুশীলনের সময় এই বুলাওয়া/ বুলাভা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছিল। রুশ নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল নিকোলাই ইয়েভমেনভ বলেছেন, নতুন পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন একটি কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে। মনে করা হচ্ছে আগামী মাসে এই সাবমেরিনকে রাশিয়ান নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা হতে পারে। জেনারেলিসমো সুভোরভ সাবমেরিন শ্বেত সাগরে অবস্থানকালে এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে তার শক্তি প্রমাণ করেছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও টেলিগ্রাম বার্তায় এই সংবাদ নিশ্চিত করেছে।
আমেরিকা না রাশিয়া? এগিয়ে কে?
আমেরিকার নৌবাহিনী ১৪টি ওহাইও-শ্রেণির SSBN পরিচালনা করে, যার প্রতিটিতে কমপক্ষে ২০টি ট্রাইডেন্ট ডি-৫ এসএলবিএম রয়েছে। এর প্রতিটি ক্ষেপণাস্ত্র ১৪টি স্বতন্ত্র পারমাণবিক ওয়ারহেড বহন করতে পারে। ট্রাইডেন্ট ডি৫-এর পরিসীমা ৬,৪৩৭ কিলোমিটার। এই সাবমেরিনগুলি হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাথমিক এবং প্রতিশোধমূলক পারমাণবিক স্ট্রাইক বিকল্প। এগুলি থাকে আমেরিকার পারমাণবিক শক্তির ৭০% গোপন সাবমেরিন এবং স্টিলথ বোমারু বিমানে। ওহিও হল মার্কিন নৌবাহিনীর অস্ত্রাগারের বৃহত্তম সাবমেরিন এবং বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম – সোভিয়েত-যুগের টাইফুন শ্রেণীর। কিন্তু একে পিছনে ফেলে দিতে চলেছে রাশিয়া। ওহিও শ্রেণী সাধারণত কৌশলগত প্রতিরোধক টহল পরিচালনা করে এবং ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার সময় সামরিক ও পারমাণবিক প্রস্তুতির ইঙ্গিত দেয়।
অন্যদিকে চতুর্থ জেনারেশনের প্রোজেক্ট 955A বোরেই এ-ক্লাসের অংশ সুভরভ, যা ২০২২ সালের ১৩ই সেপ্টেম্বর চালু করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে এটি সোভিয়েত যুগের ডেল্টা III, ডেল্টা IV এবং টাইফুন-শ্রেণীর সাবমেরিনগুলিতে প্রতিস্থাপন করা হবে। এটি ১৬টি R-30 ‘Bulava’ SLBM বহন করতে সক্ষম। এর বিধ্বংসী রেঞ্জ প্রায় ৮,৩০০ কিলোমিটার। প্রতিটি বুলাভা ক্ষেপণাস্ত্র ৬টি পারমাণবিক ওয়ারহেড বহন করতে সক্ষম।
চতুর্থ প্রজন্মের এই রাশিয়ান সাবমেরিনকে আটকানো খুব মুশকিল। সম্প্রতি রাশিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র উভয়েই তাদের পারমাণবিক মহড়া শেষ করেছে। কিন্তু ইউক্রেনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের উত্তেজনার পারদ এখন চরমে। পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের কোন প্রয়োজন নেই জানিয়েছিলেন পুতিন। কিন্তু এও বলেছিলেন, তিনি নিজের দেশের জন্য সব কিছু করতে পারেন। তাই পুতিনের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রতিমুহূর্তে সন্দেহ করছে যুক্তরাষ্ট্র।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম