।। প্রথম কলকাতা ।।
Russia Iran: রাশিয়াকে কি সন্ত্রাসে মদত জোগাচ্ছে ইরান? সত্যিই কি, রাশিয়া ও ইরানের মধ্যে সামরিক সহযোগিতার সম্পর্ক আরও গভীর হচ্ছে? কিভাবে? গোপনে ঠিক কি প্ল্যান করছে রাশিয়া ইরান? যুক্তরাষ্ট্রের স্যাটেলাইট ইমেজে এটা কি ধরা পরল? সুযোগ পেতেই খেল দেখাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়ার অভ্যন্তরে ইরানি ড্রোন তৈরি নিয়ে তোলপাড় বিশ্ব। ইরানের বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযোগ আনলো আমেরিকা। থেমে থাকবে কি ইরান? রাশিয়া ও ইরানের মধ্যে সামরিক সহযোগিতার সম্পর্ক দিনকে দিন আরও গভীর হচ্ছে। ওয়াশিংটনের চাঞ্চল্যকর দাবি।
রাশিয়ায় ইরানি ড্রোন উৎপাদনে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করছে। হ্যাঁ, ঠিক শুনছেন রাশিয়াতেই যেন ইরানি ড্রোন তৈরি করা যায়, তা নিশ্চিত করতে তেহরানের সঙ্গে কাজ করছে মস্কো। পরিকল্পনা ছঁকা হয়ে গেছে। একটা ড্রোন কারখানা গড়তে ইরানের কাছ থেকে রাশিয়া প্রয়োজনীয় উপকরণ সংগ্রহ করছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, আগামী বছরের শুরুর দিকে এটা পুরোদমে চালু হতে পারে। না শুধু মুখের কথা নয়, রীতিমতো প্রমাণ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়ার আলাবুগা অর্থনৈতিক অঞ্চল, এখানেই ড্রোন উৎপাদনের কারখানা তৈরির কথা ভাবছে মস্কো! যুক্তরাষ্ট্র ওই এলাকার স্যাটেলাইট ইমেজ প্রকাশ করেছে।
হোয়াইট হাউস উদ্বেগ প্রকাশ করে আরো বলেছে, ক্ষেপণাস্ত্র, ইলেকট্রনিকস, আকাশ প্রতিরক্ষা সহ নজিরবিহীন প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ব্যাপারে ইরানকে প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়া। যা ইউক্রেন সহ ইরানের প্রতিবেশী দেশ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য কিন্তু রিস্ক ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াবে। এমনিতেই ইরান নাকি ডেসপারেট হয়ে উঠছে দিনে দিনে। কিরকম? ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র, ইউক্রেন বলছে, রাশিয়ায় ইরানি ড্রোন পাঠানোর মধ্য দিয়ে ২০১৫ সালে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাস হওয়া একটা প্রস্তাব লঙ্ঘন হয়েছে। ইরানের পারমাণবিক চুক্তিকে কেন্দ্র করে ওই প্রস্তাব পাস হয়েছিল। ২০১৫ সালে পাস হওয়া জাতিসংঘ প্রস্তাবের আওতায় ২০২০ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ইরানের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা বলবৎ ছিল।
কিন্তু, ইউক্রেন ও পশ্চিমা শক্তিধর দেশগুলোর দাবি, ওই প্রস্তাব অনুযায়ী ২০২৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ক্ষেপণাস্ত্র এবং এই সংক্রান্ত প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে ইরানের উপর। ড্রোনের মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সামরিক ব্যবস্থা রপ্তানি ও কেনার বিষয়টাও এর আওতার মধ্যে পড়বে, বলে দাবি তাদের শত্রুদের নানান সময় নানান অভিযোগ আনলেও ইরান কিন্তু থেমে নেই। থেমে নেই রাশিয়াও। একটু মনে করে দেখুন রাশিয়াকে ইরান শত শত ড্রোন পাঠিয়েছে এবং সেগুলো ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে বারেবারেই দাবি করে এসেছে ওয়াশিংটন।
এমনকি নতুন করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হোয়াইট হাউজ বলেছে, ইরানে তৈরি হওয়া চালকবিহীন ড্রোন মানে ইউএভি কাস্পিয়ান সাগর হয়ে রাশিয়ার জন্য পাঠানো হয়েছে। সেগুলোও রুশ বাহিনী ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহার করছে বলে দাবি করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, মূলত ইউক্রেনের মানুষ কে ভয় দেখাতে রাশিয়া ইরানের তৈরি ইউএভি ব্যবহার করছে। মোদ্দা কথা ইরানি অস্ত্র ব্যবহার করে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া ফায়দা তুলতে চাইছে। আর বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, রাশিয়ায় এই ড্রোন কারখানা তৈরী হলে রাশিয়ার ফায়দা হাসিলের সেই পথ আরো বেশি প্রশস্ত হবে। যা, আগামী দিনের জন্য খুব একটা ভালো সংকেত দিচ্ছে না।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম