।। প্রথম কলকাতা ।।
China Russia: চীনের বড়সড় ক্ষতি করে দিল রাশিয়া, এবার পরিণতি কী? পুতিনকে কোনওদিনও ক্ষমা করতে পারবেন না জিনপিং। বড় সুযোগ! এবার মোদী খেলবেন সেই খেলা। চীনের খাদ্যের ওপর কোপ এত বড় ভুল কীভাবে করল মস্কো? গলায় গলায় বন্ধুত্ব বোধহয় এবার শেষ হওয়ার পালা৷ জেলেনস্কি পুতিনের টেনশন বাড়িয়ে দিলেন রাশিয়া নাকি বোমা ফেলে ধ্বংস করে দিয়েছে চীনের শস্যবাহী জাহাজ। যে জাহাজ ৬০ হাজার টন শস্য নিয়ে ইউক্রেন থেকে চীনে যাচ্ছিল। বেজিং তার জন্য মোটা টাকা ইউক্রেনকে পেমেন্ট করেছিল। কিন্তু রাশিয়া এত বড় ভুল করল কীভাবে? ইউক্রেনই কি জেনেবুঝে লাগিয়ে দিল ঝামেলা। আগে জানতে হবে পুতিনের সেনা বেজিংয়ের এত বড় ক্ষতি করার পর গোটা বিষয়টাকে কীভাবে কোন চোখে দেখছে চীন। এত সহজে এত বড় লস কী মুখ বুঝে মেনে নেবে চীনের মতো দেশ?
রিপোর্ট বলছে কৃষ্ণসাগরে ইউক্রেনীয় বন্দরে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। যার প্রভাব শুধু চীন নয় এবার পড়বে গোটা বিশ্বে এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ বিশ্বের বহু দেশে শস্য রপ্তানি করে ইউক্রেন তবে মস্কোর হামলার জেরে সব ছারখার হয়ে যাচ্ছে। আর সেই ধ্বংসলীলার মধ্যে পড়ে যায় চীনের এই শস্যবাহী জাহাজও। অনেকেই বলছেন ৬০ হাজার টন খাদ্যশস্যের জন্য নিশ্চই। পুতিনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক খারাপ করবেন না জিনপিং। এই পরিমাণ শস্য তো ভারত আফগানিস্তানকে ডোনেট করে দিয়েছিল, কিন্তু না ঘটনা এখন শুধুমাত্র শস্যর মধ্যেই আবদ্ধ নয়। তথ্য বলছে ইউক্রেনের ওডেসা শহরে লাগাতার হামলা করছে মস্কো। আর ইউক্রেনের এই শহরেই চীনের কনস্যুলেট রয়েছে রাশিয়ার মিশাইল স্ট্রাইকে তা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায়। শি জিনপিংয়ের সরকারের তরফ থেকে কি প্রতিক্রিয়া দেওয়া হল ?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন যদি খুব সহজভাবেই সম্পর্ক বিগড়ে যায় রাশিয়া-চীনের তাতে ভারতের কূটনৈতিক লাভ হলেও হতে পারে। কিন্তু আগ বাড়িয়ে দিল্লি কোনওধরণের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করবে না, সেটা কার্যত নিশ্চিত করেই বলা যেতে পারে। চীনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে ইউক্রেনে রাশিয়া কি করছে গোটা পরিস্থিতি মনিটর করছে বেজিং। এমনকি ইউক্রেনের সঙ্গে শস্যচুক্তি থেকে বের হওয়ার পর চীনের সরকারী মাধ্যম গ্লোবাল টাইমসে এটাও বলা হয় এতে চীনের ওপর খুব বিশেষ একটা প্রভাব পড়বে না। তবে টাইমিংটাই ভুল ছিল ঠিক তার পড়েই রাশিয়ার হামলা হয় চীনা জাহাজে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, চীন আসলে চাপে পড়ল অন্যভাবে। ইউক্রেনের শস্যের ওপর রাশিয়ার এই হামলা ফলে বহু দরিদ্র আফ্রিকান দেশ ও মধ্য এশিয়ার দেশ প্রশ্ন তুলবে চীনের ওপর। তারা চীনকে বলবে পুতিনের সঙ্গে তো এত ভালো সম্পর্ক আপনাদের তাহলে কেন রাশিয়াকে বোঝাচ্ছেন না। এর মানে আর্থিক ও কূটনৈতিক দুদিক থেকে স্যান্ডউইচ হবে চীন। আর এই চাপই বন্ধুত্বে চিড় না ধরায় পুতিন-জিনপিংয়ের আশঙ্কা বাড়ছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম