।। প্রথম কলকাতা ।।
রাতারাতি রাশিয়া ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেল? যুক্তরাষ্ট্র কফিনে শেষ পেরেক টা পুতছে। রাশিয়ার মানুষগুলো এভাবে নিঃস্ব হয়ে গেল? মাথার উপরের ছাদটুকু থাকল না? খাবে কি? পায়ে দাঁড়াবে কি করে? ডিরেক্ট রাশিয়ার মেরুদন্ডে আঘাত। ছেড়ে দেবেন পুতিন? অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পুরো হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে? যুক্তরাষ্ট্রে বসেই মস্কো কে ফতুর করার প্ল্যান বাইডেনের। শীতের রাতে সোনা পেল ইউক্রেন। ভাগ্য কাকে বলে? দেখিয়ে দিলেন জেলেনেস্কি। নিষেধাজ্ঞার জালে জর্জরিত করার পরেও থামতে নারাজ যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেন কে সাহায্য করতে না পারলেও, ঘুরিয়ে কান ধরছেন জো বাইডেন। একটা চালেই বাজিমাৎ। রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার পরিধি বাড়াল যুক্তরাষ্ট্র।
এবার কি করবেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন? বাইডেনের একটা সই কি ঘটালো? যেসব আর্থিক প্রতিষ্ঠান রাশিয়ার বাইরে অবস্থিত কিন্তু রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী ও সমর শিল্পের লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত, সেগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারবে যুক্তরাষ্ট্র মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটা বিজ্ঞপ্তিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এটা জানিয়েছেন। নতুন এই আদেশ রাশিয়ার খনি থেকে উৎপাদিত এবং কৃষিজ ভূমি থেকে উৎপাদিত পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি নিষিদ্ধ করার অধিকারও দেয়।
এমনকি ওই পণ্যগুলো যদি তৃতীয় কোনো দেশে রূপান্তরও করা হয় তারপরও। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, এই পদক্ষেপ বিশ্বজুড়ে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো যেন রাশিয়াকে যুদ্ধে পিছিয়ে দিতে বাণিজ্যিক লেনদেনে যেন ইন্টারেস্ট না দেখায় সেই কারণেই এই উদ্যোগ। না, চুপচাপ বসে পুরোটা দেখবেনা রাশিয়া। সহ্য করবেনা, সেটা সাফ সাফ বুঝিয়ে দিয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আটক করে রাখা রুশ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার হুমকি দিয়েছে মস্কো। সেক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের উপর চাপ বাড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা মানেই যুদ্ধকে আরও বেশি উসকে দেওয়া। মনে রাখতে হবে ইউক্রেনকে পেছন থেকে সাপোর্ট করছে যুক্তরাষ্ট্র। তাই রাশিয়ার উপর যুক্তরাষ্ট্রের এহেন যে কোনো পদক্ষেপ কে যে পুতিন ভালো চোখে দেখবেন না সেটাই স্বাভাবিক। তাই হয়তো মস্কো বলছে যে কোনও পরিস্থিতির জন্যই তারা রেডি। রুশ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা কোনও দেশকে রাশিয়া কখনও শান্তিতে থাকতে দেবে না। দিয়েছে প্রচ্ছন্ন হুমকি। বলেছে, পশ্চিমাদের কোনো সম্পদ তারাও বাজেয়াপ্ত করতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের একটা এত বড় পদক্ষেপ, পাল্টা মস্কোর এই হুঁশিয়ারি মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধের মাঝেও গোটা বিশ্বের নজর টানছে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের দিকে। জানিয়ে রাখি, ইউক্রেইনে যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই রাশিয়ার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠজনদের ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র সহ পশ্চিমা দেশগুলো। আর, এবার যেন সব সীমা পার করে যুক্তরাষ্ট্র নিচে আরো কঠিন পদক্ষেপ। যা ইউক্রেনকেও চাপে ফেলতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের উপর পুতিনের ক্ষোভের আঁচ রণাঙ্গনে ইউক্রেনের উপর পড়তেই পারে, এটা মনে রাখতে হবে জো বাইডেনকে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম