।। প্রথম কলকাতা ।।
Himachal Pradesh Flood: বিধ্বস্ত, বিপর্যস্ত। প্রকৃতির এমন ভয়ংকর রূপ আগে দেখেনি হিমাচল। লাগাতার বৃষ্টি, বন্যায়, ধসে অচেনা, ভারতের এই পাহাড়ি রাজ্য। হড়পা বানের তেজ, নদীগর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে গ্রাম। বাড়িঘর, দোকানপাট তো কোন ছাড়।লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যু। আরও বাড়বে বৃষ্টি, বাড়বে নদীর জলস্তর। কমলা সর্তকতা জারি। উত্তরাখণ্ডেও শোচনীয় পরিস্থিতি। ফুঁসছে গঙ্গা। বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে অলকানন্দাও। বাঁচার জন্য হাহুতাশ করছে মানুষগুলো। এর শেষ কোথায়?
বিপর্যয় যেন হিমাচল প্রদেশের পিছু ছাড়ছে না। হিমাচলের কুলুতে মেঘভাঙ্গা বৃষ্টির জেরে ফের বন্যা পরিস্থিতি। গেছে প্রাণ, আহত একাধিক। প্রকৃতির রোষানলে তছনছ হয়ে যাচ্ছে গোটা একটা রাজ্য। গত কয়েকদিনে শুধু হিমাচল প্রদেশেই বর্ষার কারণে ১২০ জনের ও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। জলের তোড়ে অনেকে নিখোঁজ। হিমাচলে উত্তাল হয়ে উঠেছে বিপাসা নদী। পাহাড়ে মুহুর্মুহু ধস, মেঘভাঙা বৃষ্টি আর হড়পা বান বহু মানুষের প্রাণ কেড়েছে! রাজ্যের নানা প্রান্তে রাস্তাঘাট, সেতু বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাড়ি ঘর, দোকান পাট ভেসে গেছে। পর্যটকদের গাড়ির কোনো হদিস নেই। ধস নেমে রাস্তা বন্ধ। বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা। সেনা নামানো হয়েছে রাজ্যে, জলমগ্ন বাসিন্দাদের উদ্ধার করতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে।
উনা জেলার অবস্থা ভয়াবহ। চন্দ্রতাল, পাগল নাল্লা, লাহুল-স্পিতি ভেসে গেছে। একের পর এক ভূমিধসে সব লন্ডভন্ড। লাহুল, স্পিতিতে আটকে বহু পর্যটক। তাঁদের উদ্ধার করার জন্য সব রকম চেষ্টা চলছে। পর্যটকরা কী অবস্থায় আছেন, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য হেলিকপ্টারে করে ওই অঞ্চল পরিদর্শন করা হচ্ছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। দুর্যোগ না থামা পর্যন্ত বাড়ির বাইরে বেরোতে নিষেধ মুখ্যমন্ত্রীর। গত ২৪ জুন হিমাচল প্রদেশে আনুষ্ঠানিক ভাবে বর্ষা প্রবেশ করেছিল। তার পর থেকে এখনও পর্যন্ত যা পরিসংখ্যান, তাতে রাজ্যে মোট ৪,৬৩৬ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
উত্তর ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে হিমাচল প্রদেশ আরৎউত্তরাখণ্ডের অবস্থা সবচেয়ে ভয়াবহ। পরিস্থিতি শোচনীয়। টানা বৃষ্টিতে উত্তরাখণ্ডে গঙ্গার জল বেড়ে গিয়েছে। বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে পাহাড়ি নদীগুলো। দেবপ্রয়াগ, হরিদ্বারে গঙ্গার পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক করেছে প্রশাসন। প্লাবিত হয়েছে সঙ্গম ঘাট, রামকুণ্ড, ফুলাদি ঘাটের মতো এলাকা। এক নাগাড়ে বৃষ্টির জেরে উত্তরাখণ্ডের একাধিক রাস্তায় ধস নামতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতেও মৌসম ভবন বলছে, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে এখনই বৃষ্টি থামার সম্ভাবনা নেই। বরং আগামী কয়েক দিন ভারী থেতে অতি ভারী বৃষ্টি হবে দুই রাজ্যেই। ফলে নদীর জল আরও বাড়তে পারে। রয়েছে ধস, হড়পা বানের সতর্কতাও।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম