।। প্রথম কলকাতা ।।
Bangladesh-Teesta: ভয়ঙ্করী তিস্তা। তীব্র বেগে জল নামছে তিস্তা দিয়ে। টানা বৃষ্টি সিকিমে। আটকে পর্যটকরা। তিস্তার নিম্নচল প্লাবিত। সিকিমের অবস্থাটা দেখেছেন। তিস্তার কি রুদ্র রূপ।বাংলাদেশে বন্যার তীব্র শঙ্কা। বর্ষার শুরুতেই বিপত্তি। কতটা ভয়ানক হবে এবারে বন্যা।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গে প্রবেশ করেছে বর্ষা। বর্ষা আসতেই ভাঙনের চিন্তায় ঘুম উড়েছে তিস্তা পাড়ের বাসিন্দাদের। সিকিমে গত বছরের বিপর্যয়ের স্মৃতি এখনও মোছেনি। তার আগেই ফের এক দফায় ফুলেফেঁপে উঠেছে তিস্তা। পাহাড় থেকে প্রবল বেগে জল নামছে তিস্তা থেকে। রাস্তার ওপর দিয়ে বইছে রানিখোলা নদী। সিকিমের প্রায় প্রতিটি নদীর জলই বইছে বিপদসীমার উপর দিয়ে। ইতিমধ্যেই ভেসে গেছে জাতীয় সড়ক। তিস্তার জল ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে একটার পর একটা গাছপালা, গাড়িকে। ইতিমধ্যেই পশ্চিম সিকিমে ভূমি ধসে প্রাণ হারিয়েছেন চার জন। এককথায় ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি গোটা সিকিম জুড়ে।
সিকিম তো বটেই, রেহাই পাচ্ছেনা বাংলাদেশও। ২০২৩ এর স্মৃতি মনে করে ফের একবার আতঙ্কে কাঁপছে উত্তরবঙ্গ আর বাংলাদেশের মানুষ। এই বছর কী হয় সেই ভাবনায় অসহায় মানুষগুলোর কপালে চিন্তার ভাঁজ এখন থেকেই।
সিকিমে যতক্ষণ পর্যন্ত বৃষ্টি না-থামবে ততক্ষণ জলস্তর নামবে না বলেই আশঙ্কা। এমন অবস্থায় পাহাড়ি ঢালে জলের চাপ বাড়ায় বৃহস্পতিবার সকালে জল ছাড়া হয়েছে গজলডোবা ব্যারাজ থেকে। ঐদিন সকাল ৬টা থেকেই ঘন্টায় অন্তত ৬০ হাজার কিউসেক জল ছেড়েছে পশ্চিমবঙ্গ সেচ দফতর। বেলা ১১টার দিকে সেই পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৬ হাজার কিউসেক।
যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশে। মেখলিগঞ্জ থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত অসংরক্ষিত এলাকায় জারি করা হয়েছে ‘হলুদ সতর্কতা’। সেবক থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত তিস্তার নদী বাঁধে প্রবল ক্ষতি হয়েছে বলে আশঙ্কা। যদিও জল না কমা অবধি সেই ক্ষতির পরিমাণ কিন্তু বোঝা যাচ্ছে না। তবে বৃষ্টিপাত না কমলে গত বছরের মত এবারও ভেসে যেতে পারে বিঘার পর বিঘা জমির ফসল। ফের একবার নষ্ট হতে পারে তিস্তা পাড়ের বাসিন্দাদের স্বাভাবিক জনজীবন।
ইতিমধ্যেই বন্যার জল ঢুকে গেছে সিকিমের একাধিক গ্রামে। জায়গায় জায়গায় নেমেছে ধ্বস। বহু জায়গায় আটকে আছে পর্যটকরা। আবহাওয়া দফতর বলছে, প্রতি মুহুর্তে ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করছে তিস্তা। অতিবৃষ্টির কারণে ক্রমাগত বেড়েই চলেছে তিস্তার জল। তুমুল বৃষ্টির কারণে জলপাইগুড়িতে লোকালয়ে চলে এসেছিল পঁচাত্তর থেকে আশিটি হাতির দল। চলে আসে জলপাইগুড়ি শহরের কাছাকাছিও। অর্থাৎ আম জনতার পাশাপাশি বন্য জন্তুরাও যে ভালো নেই সেটাও কিন্তু পরিষ্কার।
গতবছরই সিকিমে বিপর্যয়ের পর বদলে গেছিল তিস্তার গতিপথ। যে কারণে এখন সমতলেই ফুলেফেঁপে উঠেছে তিস্তা। পশ্চিমবঙ্গ সেচ দফতর বলছে, প্রবল বেগে জল তো আসছেই, সেই সাথে নামছে পলি মাটিও। যে কারণে ক্রমাগত উঁচু হয়ে চলেছে তিস্তার নদীখাত। এমন পরিস্থিতিতে গজলডোবা ব্যারাজ থেকে জল ছাড়তেই হত। এখন বৃষ্টির পরিমাণ না কমলে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই বাংলাদেশের সিলেট ও রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলা বন্যায় ভেসে যেতে পারে। বন্যা হতে পারে লালমনিরহাট, নীলফামারী ও কুড়িগ্রামেও।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম