।। প্রথম কলকাতা ।।
ব্রুনো ফার্নান্দেজের জোড়া গোল উরুগুয়েকে হারিয়ে শেষ ষোলোয় পৌঁছে গেল পর্তুগাল। দ্বিতীয়ার্ধে লুইস সুয়ারেজকে নামিয়েও কাজের কাজ করতে পারল না উরুগুয়ে। প্ৰথম ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে ড্র করায় খাদের কিনারায় পড়ে গেল ল্যাটিন আমেরিকার দেশটি। অন্যদিকে প্রথম ম্যাচে ঘানাকে হারানোর সুবাদে নক আউটের টিকিট অর্জন করল পর্তুগাল।
কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবলে উরুগুয়ে রক্ষণে চাপ বাড়ায় পর্তুগাল। বল দখলে একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করে আক্রমণ শানাতে থাকে তারা। তবে উরুগুয়ে গোলরক্ষকের কোন পরীক্ষাই নিতে পারেনি পর্তুগাল। বারবারই আটকে যায় উরুগুয়ের জমাট রক্ষণে। উল্টে পর্তুগালের চিন্তা বাড়িয়ে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন পর্তুগালের নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার নুনো মেন্দেস। অন্যদিকে ঘর সামলে পাল্টা আক্রমণে ওঠে উরুগুয়ে। সহজ সুযোগ মিস করেন উরুগুয়ের রদ্রিগো বেন্তানকুর। গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ টটেনহ্যামের এই মিডফিল্ডার। গোলশূন্যভাবেই শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।
বিরতির পর একই ভাবে আক্রমণের রেশ ধরে রেখে উরুগুয়ে রক্ষণে হানা দেয় পর্তুগাল। একের পর সুযোগ গড়ে তোলে রোনাল্ডো- ফার্নান্দেজরা। সুযোগও মেলে ৫৪ মিনিটে। ব্রুনো ফার্নান্দেজের দুর্দান্ত গোলে এগিয়ে যায় পর্তুগাল। ফার্নান্দেজের ক্রস বাঁক খেয়ে জালে জড়িয়ে যায়। সেইসময় হেড নিতে লাফিয়ে ছিলেন রোনাল্ডো। প্রথমে গোলটি রোনাল্ডোকে দিলেও পরে তা ফার্নান্দেজকেই দেওয়া হয়।
এরপরই জোড়া পরিবর্তন উরুগুয়ের। ডারউইন নুনেস ও এদিনসন কাভানিকে তুলে মাক্সিমিলিয়ানো গোমেস ও লুইস সুয়ারেজকে নামান উরুগুয়ে কোচ। দুই তারকা নামতেই পাল্টা আক্রমণে ঝাঁপায় ল্যাটিন আমেরিকার দেশটি। সুযোগও তৈরি করে তাঁরা। কিন্তু গোলের মুখ খুলতে পারেনি। উল্টে অতিরিক্ত সময়ে পেনাল্টি পায় পর্তুগাল। উরুগুয়ে ডিফেন্ডার হিমেনেসের হাতে বল লাগলে ভিআরের সাহায্য নিয়ে পেনাল্টি দেয় রেফারি। পেনাল্টি থেকে গোল করতে কোন ভুল করেননি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফরোয়ার্ড। এরপরও দুটো ভালো সুযোগ হেলায় হারান ফার্নান্দেজ। শেষপর্যন্ত ২-০ গোলে জয় পেয়ে মাঠ ছাড়ে ফার্নান্দো সান্তোসের দল।