।। প্রথম কলকাতা ।।
Cristiano Ronaldo: ইউরোপ ছেড়ে এশিয়ায় যোগ দিয়েছিলেন ক্রিস্তিয়ানো রোনাল্ডো। ইউরোপের দামি ক্লাবগুলোয় খেলেছেন তিনি। খেলার বাইরে সেখানকার স্বাধীন উচ্চাভিলাষী জীবনও উপভোগ করেছেন। তবে এবার পাড়ি জমিয়েছেন এশিয়ার রক্ষণশীল দেশ সৌদি আরবে। কিন্তু আরবে কীভাবে জীবন কাটাবেন রোনাল্ডো তা নিয়ে ভক্তদের আগ্রহের অন্ত ছিল না। ক্যারিয়ারের পুরো সময় তুলনামূলক ঠান্ডা অঞ্চল ইউরোপে কাটিয়ে সৌদি আরবের গরমে রোনাল্ডো নিজেকে কীভাবে মানিয়ে নেবেন সেটি ছিল বড় একটি প্রশ্ন।
ইউরোপের জনপ্রিয় ক্লাব ছেড়ে তুলনামূলকভাবে কম জনপ্রিয় ক্লাব আল নাসেরে তাঁর যোগদান নিয়ে একাধিক আলোচনা হয়েছিল। ইউরোপ শেষে এবার এশিয়ার ফুটবলে নতুন অধ্যায় লিখছেন তিনি। দুই বছরের চুক্তিতে রেকর্ড পারিশ্রমিকে যোগ দিয়েছেন সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসেরে। টাকার জন্যই তিনি গিয়েছেন বলে একাধিক কথা শোনা গিয়েছিল। তবে নতুন দেশ, নতুন দলে গিয়ে তিনি পড়েছিলেন একাধিক সমস্যায়। ফুটবলে বিশ্ব রেকর্ড বেতনে আল নাসরে যোগ দেওয়া রোনালদোর জন্য সৌদি ফুটবলের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াটাও অনেক কঠিন কাজ হবে এটা অনেক ফুটবলপ্রেমীদের কাছেই জানা ছিল ।
অনেক মনোরম আবহাওয়ায় খেলা ইউরোপে। বেশিরভাগ সময় আবহাওয়া ঠান্ডা থাকায় প্লেয়ারদের খেলতে সুবিধা হয়। কিন্তু রোনাল্ডো যেই সৌদি আরবে গিয়েছেন সেখানে তাপমাত্রা ভয়াবহ। মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশের আবহাওয়ায় বাইরে থাকা কঠিন। আর রোনাল্ডোর কাছে এটাই ছিল চ্যালেঞ্জের। আর এই সৌদি আরবে মানিয়ে নিতে কালঘাম ছুটে যায় সিআরসেভেনের।
এক সাক্ষাৎকারে রোনাল্ডোকে বলতে শোনা গিয়েছে, ইউরোপের থেকে সবচেয়ে বড় পার্থক্য ছিল তীব্র গরমের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া, যখন ঠান্ডা হবে তখন ট্রেনিংয়ের সূচি মেনে চলা। সবচেয়ে বড় পার্থক্য যেটি আমি সৌদিতে পেয়েছি সেটি অবশ্যই তাপমাত্রা। এখানে অনুশীলন হয় দিন শেষে, যখন একটু ঠান্ডা হয়। কিন্তু আমি এখন এতে সত্যিই অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি। এখানকার ভক্তরা দারুণ। আমাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছেন এবং দারুণ এই যাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করেছেন। প্রত্যেক লিগ এবং দেশ আলাদা। আমি খুবই গর্বিত যে আমি ইউরোপের আলাদা তিনটি লিগে খেলতে পেরেছি।
উল্লেখ্য, আসার পর সৌদির দিকে ঝুঁকছেন বিশ্বের আরো কয়েকজন তারকা ফুটবলার। রোনাল্ডোর পাশাপাশি প্রাক্তন ফরাসি স্ট্রাইকার করিম বেনজেমা ও কান্তে ইউরোপ ছেড়ে সৌদি আরবে আসছেন। এসব তারকার আগমনে বেশ উচ্ছ্বসিত রোনালদো। রোনাল্ডো মনে করেন, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে দারুণ উন্নতি করবে।
সারা বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীরা সৌদি প্রো লিগ দেখছেন। আমার মনে হয় এই লিগ আরো উন্নত ও জনপ্রিয় হবে। ইউরোপের লিগ থেকে অনেক ফুটবলার এখানে খেলতে আসবে। বলা চলে ভিন্ন এক বাস্তবতার মুখোমুখিই হতে হচ্ছে পর্তুগিজ মহাতারকাকে। ‘সিআরসেভেন’কে খেলতে হবে ছোটখাটো সব স্টেডিয়ামে হাজার কয়েক দর্শকের সামনে অখ্যাত সব ক্লাবের বিপক্ষে। তাঁকে মানিয়ে নিতে হবে মরুভূমির অসহ্য গরমের সঙ্গে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম