।। প্রথম কলকাতা ।।
Underwater Rail-Road Tunnel: গোটা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে এবার ভারতে জলের তলা দিয়ে একসঙ্গে ছুটবে ট্রেন, গাড়ি। ব্রহ্মপুত্র নদের নীচে সড়ক রেল টানেল প্রকল্প অনুমোদনে মোদি সরকারের বড় হাত। আশায় বুক বাঁধছে ভারতবর্ষ। বলে বলে চীনকেও টেক্কা? চীন সীমান্তের ওই টানেলেই লুকিয়ে ভারতের মাস্টারপ্ল্যান। পা ফেলার আগে ১০০ বার ভাবতে হবে, চীনের লাল ফৌজের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু, মডার্ন টেকনোলজিতে তৈরি এই টানেলের সুবিধা পাবে কারা? তৈরি করতে হবে কত খরচ? কি কি ছুটবে ওই টানেল দিয়ে? নব ভারত নির্মাণের এটা তো ট্রেলার। সেনাবাহিনীর কথা মাথায় রেখেই ছকা হচ্ছে নকশা। এক ঢিলে দুই পাখি মারার প্ল্যান। চিন সীমান্তের কাছে ব্রহ্মপুত্র নদের নীচে প্রযুক্তির কেরামতি ভারতের। লাল ফৌজের জন্য পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে। কারণ এখানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিষয়টাও জড়িয়ে আছে। বুঝতে হবে
ওই এলাকার কাছেই অরুণাচল প্রদেশ এবং চীনের সীমান্ত। প্রায় সময়েই চীনের লাল ফৌজ এসে ঘাঁটি গাড়ছে ভারত ভূখণ্ডে। সেখানে জিয়াংসু এলাকার তাইহু হ্রদের নীচে ‘আণ্ডার ওয়াটার টানেল’ বানিয়েছে চিন। তবে, ভারত যে টানেল বানাতে চাইছে তা চীনকে বলে বলে টেক্কা দেবে। চীনের ওই টানেলের চেয়েও ভারতের টানেল হবে লম্বা। এই টানেল হলে ওখানে সেনা পৌঁছানো আরও সহজ হবে। ভারতের জন্য নজরদারি চালানোও হবে আরও সহজ। ফলে, এই টানেল নির্মাণ ভারতের জন্য একটা বড় ফ্যাক্টর। কি থাকবে ওই টানেলে? নকশা হয়ে গেছে আধুনিক কারিগরীতে ব্রহ্মপুত্র নদের নীচে তৈরি হবে এই টানেল। টানেলে সমান্তরালভাবে রাখা হবে তিনটি পথ। রেলপথ, সড়ক পথ আর যেকোনো বিপদ আপদের জন্য থাকবে এমার্জেন্সি পথ। সড়ক নির্মাণের দায়িত্ব বর্তেছে Border Road Organisation এর ওপর। ১০ কিমি লম্বা এই টানেল তৈরি করতে খরচ হবে প্রায় ৬,০০০ কোটি টাকা। ওই টানেল তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে গহপুর থেকে নুমালিগড় পর্যন্ত।
দেশের পথম এই সড়ক রেল টানেল তৈরি হলে সেখানে ভারী যানবাহন এবং সেনার ভারী কনভয়ের গাড়ি ছাড়াও অন্য গাড়ি ৮০ কিলোমিটার গতিতে ছুটতে পারবে। উত্তর অসম, অরুণাচল প্রদেশ এবং তাওয়াং-এর মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থায় হবে দারুন উন্নতি। আগামী ৪ জুলাই এই সম্পর্কিত টেন্ডার ডাকা হবে। আর, চলতি বছরের ডিসেম্বর ষ মাসে ওই টানেলের কাজ শুরুর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রক, সড়ক পরিবহন মন্ত্রক এবং সীমান্ত সড়ক সংস্থা ওই টানেল তৈরি করবে। এই টানেল তৈরি হলে সেটাই হবে জলের নীচে দেশের প্রথম রেলপথ ও সড়ক পথ। জানিয়ে রাখি, এই টানেল নির্মাণের জন্য মোদি সরকারকে প্রথম প্রস্তাব দেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। প্রস্তাব পেতেই কেন্দ্র বিষয়টাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা শুরু করে। অলরেডি, এই টানেল গড়ার জন্য অনুমোদনও দিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে সূত্র বলছে, দেশের নিরাপত্তার কথা ভেবে ওই টানেল করার জন্য প্রাথমিক ভাবে অনুমোদন দিলেও, চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়ার আগে সব কিছু ভালো করে দেখে নিতে চাইছে মোদী সরকার। সব কিছু ঠিক থাকলে টানেল নির্মাণ এর ওই কাজ শুরুর আড়াই বছরের মধ্যে তা সম্পূর্ণ করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। অতএব, এটা বলাই যায় যে চীনা লাল ফৌজ কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে চলেছে খুব তাড়াতাড়ি।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম