।। প্রথম কলকাতা ।।
Ritwick Chakraborty: একদিকে গতকাল আচমকাই ঐন্দ্রিলার ভুয়ো মৃত্যুর খবরে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন অভিনেত্রীর ভক্তকূল। অন্যদিকে ঋত্বিকের ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্টে রেগে যান নেটিজেনরা। সকলেই মনে করেন, ঐন্দ্রিলার কথা ভেবে সেই পোস্ট করেছেন অভিনেতা। যার পর ক্ষোভে অনেকেই অভিনেতাকে উদ্দেশ্য করে নানা মন্তব্য করেছেন। কেউ বলেছেন, তাঁর বিপদের দিনের জন্য অপেক্ষা করবেন। এরপর বুধবার সকলকে দুঃখ দেওয়ার জন্য মার্জনা চেয়েছেন ঋত্বিক।
ফেসবুকে তিনি লেখেন, ‘কাল একটা পোস্ট করেছিলাম,পরে কমেন্ট দেখে বুঝলাম অনেকেই লেখাটাকে ঐন্দ্রিলার সঙ্গে সম্পর্কিত বলে মনে করেছেন। আমার বিপদের দিনের জন্য অপেক্ষা করবেন বলেও বলেছেন। পোস্টটা করার সময় ঐন্দ্রিলার কথা মাথায় ছিলনা। পরে বুঝলাম থাকলে ভালো হতো৷ যাঁদের দুঃখ দিলাম, দুঃখিত। মার্জনা করবেন’। সেইসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘আসলে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করার মাধ্যম হিসাবে ফেসবুকের পাবলিক পোস্ট কেমন? বা প্রার্থনার ডকুমেন্টেশন রেখে দেওয়ার তাগিদ অনেকের মধ্যে অনেক দিন ধরেই দেখছি বলে কথাগুলো মাথায় এসেছে’। তাঁর কথায়, ‘ঐন্দ্রিলার জন্য সবাই মন থেকে প্রার্থনা করছেন,করবেনও। চাইলে ফেসবুকেও করুন। আমাদের সবার চাওয়া, সবাই তাঁর জীবনের স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসুক’।
গতকাল নেটমাধ্যমে ঋত্বিক লিখেছিলেন, ‘অনেককেই দেখি নানা কারণে ফেসবুকে প্রার্থনা করেন। কিন্তু যার কাছে প্রার্থনা করা হয় তিনি ফেসবুক করেন তো’। আর তারপরেই শোরগোল পড়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। অন্যদিকে বুধবার মাঝরাতে হঠাৎই নেট দুনিয়ায় অভিনেত্রীর মৃত্যুর ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পড়ে। এমনকি এই খবরে বিশ্বাস করেন টলিপাড়ার অনেকেই। আবার নেটিজেনদের একাংশ খবরটি মানতে চায় না। পরবর্তীতে ফেসবুকে সব্যসাচীর পোস্ট সকলকে স্বস্তি দেয়। যেখানে অভিনেতা লিখেছেন, ‘আরেকটু থাকতে দাও ওকে..এসব লেখার অনেক সময় পাবে’। এখন কেমন আছেন ঐন্দ্রিলা?
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, নতুন করে অভিনেত্রীর শারীরিক অবস্থার উন্নতি বা অবনতি কিছুই হয়নি। ‘এই সময়’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, চিকিৎসকরা নিজেদের যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন। কোনও অলৌকিক কিছু ঘটার অপেক্ষায় রয়েছেন সবাই। এখনও পুরোপুরি ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রয়েছেন অভিনেত্রী। বুধবার পরপর হার্ট অ্যাটাক হওয়ায় সিপিআর দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এদিন শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। আপাতত কোমায় রয়েছেন তিনি।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম