।। সুচিত্রা রায় চৌধুরী ।।
Russia Turkey: তুরস্কের নিউক্লিয়ার এনার্জিতে রাশিয়া বড় কন্ট্রোল নিয়ে নিল৷ পুতিন তুরস্ক যাওয়ার সম্ভাবনা৷ এরদোয়ান রেডি হয়ে আছেন বড় কিছু হবে মিলিয়ে নিন৷ পুতিনকে গ্রেফতার করার বড় চান্স! আগুন নিয়ে খেলা শুরু৷ আমেরিকার ডিফেন্স বাজেট কতগুণ বাড়ল জানেন কারণ পুরোটাই লিঙ্কড৷ এরদোয়ানের বিদেশনীতি এমূহুর্তে চমকে দিচ্ছে বিশ্বের তাবড় তাবড় দেশগুলোকে৷ তুর্কির সংবাদমাধ্যম বলছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমীর পুতিন খোদ পা রাখবেন তুরস্কে৷ সম্প্রতি তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগানই তো বলেছিলেন পুতিনকে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করুন৷ তা সত্ত্বেও কেন? সেটাই প্রশ্ন৷
তুরস্কে আক্কুয়ু পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধনের কথা রয়েছে৷ নিজের হাতে সেই প্ল্যান্টের উদ্বোধন করতে পারেন রাশিয়ার বেতাজ বাদশা৷ কেন? কী যোগ? রাশিয়া এবং তুরস্ক মিলে নয়া কোনও নিউক্লিয়ার কোনও চুক্তি করে ফেলল নাকি? তুরস্কের পরমাণু শক্তিতে মস্কোর কন্ট্রোল আগামী ৮০ বছর থাকবেই৷ তুর্কি নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টে রাশিয়ার কাজ বা ভূমিকাটা ঠিক কী? আইসিসি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানার জারির পর এই প্রথমবার দেশের বাইরে যাবেন পুতিন৷ কূটনৈতিক মহলের দাবি, দেশের বাইরে বের হলেই একমাত্র পুতিনকে গ্রেফতার করা যেতে পারে৷ এপ্রিলেই কি হবে সেই চরম পরিণতি?
পুতিন এরদোগানের মধ্যে ফোনে কথা হয়ে গিয়েছে এমনটা ক্রেমলিন দাবি করছে৷ এই আক্কুয়ু পাওয়ার প্ল্যান্টেই রয়েছে রাশিয়ার ডিজাইন করা ভিভিইআর-১২০০ চার চারটে রিয়াক্টর৷ রাশিয়া না থাকলে তুরস্কের এ কাজ হতে আরও কয়েক যুগ লেগে যেত৷ ১৯৫০ থেকে পরমাণু শক্তি অর্জন করার লাগাতার চেষ্টা করেছে আঙ্কারা৷ ২০০২ সালে পঞ্চম চেষ্টায় রাশিয়া ছিল একমাত্র বিকল্প৷ এরপরই সই হয় অ্যাগ্রিমেন্ট৷ চুক্তি হয়, মস্কোর রোসটম সংস্থা তুরস্কে বানাবে আক্কুয়ু পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র৷ এতে প্রয়োজনীয় গ্যাস ও জ্বালানি আসবে রাশিয়া থেকে৷ এবং সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ৬০ বছর সঙ্গে ২০ বছরের এক্সটেনশন৷ এই পাওয়ারপ্ল্যান্ট থাকবে রোসটমের দখলে৷
কূটনৈতিক বিশ্লেষকেরা প্রশ্ন তুলছেন কয়েকবছর আগেও সিরিয়া ইস্যুতে দুই মেরুতে থাকা রাশিয়া তুরস্ক বিশেষ করে পুতিন-এরদোগানের মধ্যে বন্ধুত্ব মজবুত হল কি করে? নেপথ্যে কি শুধু এটাই কারণ? আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে কোনও পারমানেন্ট বন্ধু নয় শত্রু নয়৷ আমেরিকা ডিফেন্সে ৬৯ লক্ষ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেছে৷ আর এই আমেরিকাই দায়ী পুতিন-এরদোগানের বন্ধুত্বের নেপথ্যে৷ তবে এরদোগান এতদিন মস্কোর অতটা কাছাকাছি হননি যাতে তার গায়ে রাশিয়ার মিত্র দেশের তকমা লাগে৷ জানেন, ইউক্রেনকে খোলাখুলি সামরিক ড্রোন বিক্রি করছে তুরস্ক যে ড্রোন রুশ ট্যাংক ধ্বংস করছে। ইউক্রেনের অনুরোধে কিছুদিন গম-ভর্তি রুশ জাহাজ আটকও করেছে তারা আর এই রাশিয়ার এই গমের ওপর কিন্তু তুরস্কও মারাত্মকভাবে নির্ভরশীল৷ তুরস্কের গ্যাসের চাহিদার ৪৫ শতাংশ আসে রাশিয়া থেকে৷
তবে সম্পর্ক এবার এগিয়ে গিয়েছে আরও কয়েকধাপ৷ এক্ষেত্রে কূটনৈতিক মহল কিন্তু এরদোগানের বিদেশনীতিরই প্রশংসাই করছে৷তাদের দাবি, রাশিয়া তুরস্কের সম্পর্ক পুরোপুরি স্বার্থ নির্ভর৷ দু’জনেরই এখন দু’জনকে দরকার৷ যতক্ষণ না আমেরিকার সাথে এরদোয়ানের সম্পর্ক ভালো হচ্ছে তিনি পুতিনের কাছাকাছি থাকবেন তবে রিস্ক রয়েছে এরদোগানের ভালো কোন বিকল্প তৈরি হলে পুতিনের সম্পর্ক আলগা হতে সময় লাগবে না৷ কিন্তু তুরস্কের রিমোর্ট কন্ট্রোলই এখন রাশিয়ার হাতে৷ এরদোগানের ঘুরে যাওয়া এত সোজাও হবে না৷
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম