।। প্রথম কলকাতা ।।
Bangladesh Election: ভোটে দাঁড়াতে পারবে না জামায়েত। বেশ চাপে পড়ে গেল বিএনপি। হারাতে বসেছে শক্ত খুঁটি। তাহলে কি আরো স্মুথ হয়ে গেল নির্বাচনে আওয়ামী লীগের রাস্তা? আর তো মাত্র দুটো মাস বাকি। তারপরেই বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। স্বাভাবিক ভাবেই, ভোটের আবহে উত্তপ্ত রাজনৈতিক ময়দান। আর ঠিক সেই সময়ে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ রায় বহাল রাখল বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট। দেখুন, বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের সম্পর্ক কিন্তু বেশ ভালো। সম্প্রতি যখনই বিএনপি অবরোধ হরতালের মতো কর্মসূচি ডেকেছে, তখনই পাশে দাঁড়িয়েছে জামায়েত। আর সেই জামায়াতের অস্তিত্বই এখন সংকটে। তাহলে কি দুর্বল হয়ে যেতে বসেছে বিএনপি? এই প্রশ্নটাই এখন ঘুরছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলে।
বহুদিন আগেই বাংলাদেশের হাইকোর্ট বলে দিয়েছিল, রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়েত ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ। সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয় সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টও সেই আপিল খারিজ করে দিয়েছে। বহাল রয়েছে হাইকোর্টের দেয়া রায় অর্থাৎ এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশ জমায়েত ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে নাকি জামায়েত বঞ্চিত হয়েছে ন্যায় বিচার থেকে, এমনটাই দাবি বিএনপির। রাজনৈতিক এই দলটার মতে, সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দল এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অন্যায় রায় দিয়ে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত করার ঘটনা বাংলাদেশে একেবারেই নতুন নয়।
সমালোচকরা মনে করছেন, এর ফলে চাপে পড়ে গিয়েছে বিএনপি। অপরদিকে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে জেতার রাস্তা কিছুটা হলেও সহজ হল। কারণ বিএনপি এই যে এতদিন ধরে আন্দোলন করছে তার পিছনে বড় স্তম্ভ হিসেবে কাজ করছিল জামায়েত শক্তি। আর সেখানেই ধরল ভাঙন। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ফলে, আসন্ন নির্বাচনে জামায়েত ইসলামীর অংশ নেয়ার পথ পুরোপুরি বন্ধ হল।
কয়েকদিন আগেই শুধু বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা নয়, টক অফ দা কান্ট্রিতে পরিণত হয়েছিল ২৮ শে অক্টোবরের ঘটনা। ২০১৩ সালে পর জামায়েত বাংলাদেশের রাজনৈতিক আলোচনার বাইরে ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে চলতি বছরের ১০ই জুন ঢাকায় সমাবেশ করে আবার আলোচনায় আসে দলটি। ২০২৪ এর নির্বাচনকে রাজনৈতিক মাঠে সরব হয়ে ওঠে জামায়েত ইসলামী। বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, বিএনপির সঙ্গে জামায়েত ইসলামীর রাজনৈতিক সম্পর্ক থেকে শুরু করে বোঝাপড়া দীর্ঘদিনের। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়কে গ্রহণযোগ্য বলে মনে করছে না বিএনপি। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের তফসিল ঘোষণার পর মনোনয়নপত্র নেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে এখনো অনড় বিএনপি। ডেকেছে ষষ্ঠ দফার অবরোধ কর্মসূচি।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম