।। প্রথম কলকাতা ।।
Pakistan: পাকিস্তানে জঙ্গি হামলার রেকর্ডে বিশ্ব হতবাক। যে দেশ এত জঙ্গি পোষে তাদের ওপর হামলা চালায় কে? ভারত-বাংলাদেশের থেকে এই একটা ক্ষেত্রে এগিয়ে পাকিস্তান। পাক আর্মি দেশরক্ষার এই নমুনায় লজ্জা হওয়া উচিত।পাকিস্তানে ধর্মের কল বাতাসে নড়ছে এবার। গত ছ মাসে সন্ত্রাসবাদের জেরবার হয়ে করুন পরিস্থিতি পাকিস্তানের শুধু অভাব-দারিদ্র নয়। ভারতকে শেষ করার স্বপ্ন দেখা পাকিস্তানও কি শেষ হবে সন্ত্রাসের শিকার হয়েই?বাংলাদেশ কিন্তু নিজেদের বাঁচিয়ে নিয়েছে গত ছমাসে জঙ্গি হামলার হিসেব নিট অ্যান্ড ক্লিন। ১লা জুলাই গুলশান হোলি আর্টিজান হামলার ৭ বছর কড়া হাতে সন্ত্রাসবাদকে দমন করছে ঢাকা। ইসলামপন্থী জঙ্গিবাদের উত্থানের সবচেয়ে বড় নমুনা ছিল হোলি আর্টিজান হামলা।
গত ছ মাসে ভারত-বাংলাদেশে যা ঘটেনি তা পাকিস্তানে এত জবরদস্তভাবে ঘটছে কেন? উত্তরটা যেমন কর্ম তেমন ফল? ২০২৩শের প্রথমার্ধে ইসলামাবাদে সন্ত্রাসবাদী তৎপরতা ৭৯ শতাংশ বেশি। ৬ মাসে ২৭১টি জঙ্গি হামলায় নিহত হয়েছে ৩৮৯ জন। পাকিস্তান ইনস্টিটিউট ফর কনফ্লিক্ট অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমনই সব চাঞ্চল্যকর তথ্য। তাহলে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী কি নাকে তেল দিয়ে ঘুমোচ্ছে? কারা চালাচ্ছে জঙ্গি হামলা? ভারতের সর্বনাশ করতে গিয়ে নিজেদেরই বাঁচাতে পারছে না শাহবাজের দেশ। পেশোয়ারের পুলিশ লাইনসে মসজিদে বিস্ফোরণের পর জঙ্গি দমনে কি অ্যাকশন নিয়েছিল সেদেশের প্রশাসন? আপনি ভাবতেই পারেন পাকিস্তানে জঙ্গি হামলা হলে তা নিয়ে ভারতের মাথাব্যাথা কেন? উল্টে খুশি হওয়া উচিত তাই তো৷ না বিষয়টা উল্টো৷ মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে জানানো হয়েছিল ভারতে ২০২০ তুলনায় ২০২১ সালে নাশকতার ঘটনা ১৬ শতাংশ কমে। ২০২৩ সালে নিসন্দেহে সেই হার আরও কম নেপথ্যে ভারতের আর্মি। নেপথ্যে ভারতের নিরাপত্তা সংক্রান্ত কড়া অ্যাকশন নেবার ক্ষমতা। লক্ষ্য করুন তথ্য বলছে পাকিস্তানে তেহেরিক ই তালিবান পাকিস্তান সহ আলকায়দা ইসলামিক মুভমেন্ট অব উজবেকিস্তান, ইস্ট তুর্কিস্তান ইসলামিক মুভমেন্ট ইসলামিক স্টেট অব খোরাস্তান এই জঙ্গি গোষ্টী পাকিস্তানের মাটিতে অ্যাকটিভ। এদের মধ্যে টিটিপি ও ইসলামিক স্টেট অব খোরাস্তানের হামলার পরিসংখ্যান সবথেকে বেশি। পাকিস্তান একেই খেতে পাচ্ছে না তার ওপর হামলা। ৫ দিন আগেই জঙ্গিদের গুলিতে বেলুচিস্তানে পাক নিরাপত্তা বাহিনীর ৪ জন নিহত খতম।
পিআইসিএসএসের হিসাব অনুযায়ী ২০২৩ প্রথম ছয় মাসে পাকিস্তানে ১৮ শতাংশ বেশি সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে আর সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণহানি ৫৮ শতাংশ ও আহত ৮৮ শতাংশ বেড়েছে। সন্ত্রাসবাদী তৎপরতা সবচেয়ে বেশি ছিল খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে। এদিকে বাংলাদেশে হোলি আর্টিজেন হামলার পর পরই জঙ্গিবাদ দমনে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দক্ষতা বৃদ্ধিতে অনেক ধরনের অ্যাকশন নেয় বাংলাদেশ সরকার। পুলিশ বাহিনীতে বিনিয়োগ, প্রশিক্ষণ বৃদ্ধি। শুধু জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ নিয়ে কাজ করার জন্য নতুন ইউনিট প্রতিষ্ঠা করে সরকার। আর ভারত ২০১৯ পুলওয়ামার পর পাকিস্তানে ঢুকে এয়ারস্টাইকের যে খেলা দেখিয়েছিল ভারতীয় বায়ুসেনা তা ভোলেনি বিশ্ব, ভোলেনি পাক আর্মি। ভারতের সীমান্তের ওপরে হেলিপ্যাডে এখনও অ্যাকটিভ সন্ত্রাসবাদীরা। তবে কোনও অ্যাকশন নেওয়ার আগে হাজার বার ভাবতে হয় তাদের। কিন্তু পাকিস্তানের এমন করুন দশা ভাবাচ্ছে সেই দেশের সরকারকেই৷ ওয়াকিবহাল মহল বলছে হায়রে পাকিস্তান তাদের অংশ বাংলাদেশকে দেখেও শিখতে পারল না৷
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম