।। প্রথম কলকাতা ।।
এ জীবনের আয়ু অনন্তকালের নয়! আমাদের জীবন নশ্বর! কিন্তু ‘পুনর্জন্ম’ সম্ভব! সেই সম্ভবের রাস্তায় থিমের আকারে দেখিয়েছে যোধপুর পার্ক। থিমের পোশাকি নাম দিয়েছে ‘পুনর্জন্ম’। বিষয় ভাবনার বৈচিত্র্য, দুর্দান্ত উপস্থাপনা এবং সৃজনশীলতায় অন্য বছরগুলির মতো এবারও দর্শকদের মন কাড়বে যোধপুর পার্ক। এবারে তাদের থিম পুনর্জন্ম। সৃজনে আছেন শিল্পী বাপাই সেন।
মরণোত্তর চক্ষুদান করে একজন প্রয়াত ব্যক্তি যে দুজন দৃষ্টিহীনের মধ্যে পুনরায় জন্ম নিতে পারেন, সেটাই থিম যোধপুর পার্ক শারদীয়া উৎসব কমিটির। মৃতের অঙ্গদানে অন্যের মধ্যে বেঁচে থাকার প্রয়াসকে লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে তুলে ধরতে ইউনেসকোর হেরিটেজ স্বীকৃতি পাওয়া বাঙালির সেরা উৎসবকেই বেছে নিয়েছেন শিল্পী বাপাই সেন। চোখের আদলে সেজে উঠছে গোটা মন্ডপ। থিম ভাবনার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে সনাতন পাল তৈরি করছেন মাতৃ মূর্তি। যাদবপুর থানা ও সেলিমপুরের মাঝের রাস্তা দিয়ে যোধপুর পার্কে ঢুকলেই দূর থেকে নজরে পড়বে উঁচু মণ্ডপের বিশাল স্তম্ভের সারি। প্রতিটি স্তম্ভের শরীরজুড়ে নানা মাপের জীবন্ত চোখ জ্বলজ্বল করছে। শুধু তাই নয়, চোখের ভিতর যে শিরা-উপশিরা ও রক্তের জালিকা থাকে সেটিও জীবন্ত হয়েছে শিল্পীর তুলির আঁচড়ে। আরও কাছে গেলে ফুটে উঠবে চোখের সমস্ত অডিটরি নার্ভ, যা দৃষ্টিশক্তিকে প্রকট করে, মস্তিস্কে দৃশ্যবস্তুর প্রতিচ্ছবি তুলে ধরে। মানুষ খুঁজে পাবেন তাঁর শরীরের মহামূল্যবান সামগ্রী, একজোড়া চোখকে।
জাগতিক নিয়মে আমরা ক্ষণস্থায়ী হলেও, অন্তর থেকে সবাই বারবার ফিরে আসতে চাই এই ধরিত্রীর বুকে। এই ফিরে আসার অনন্য একটি উপায় মরণোত্তর চক্ষুদান। এভাবেই এক চক্ষুদাতা অমর হয়ে থাকেন অন্যের চোখে। মৃত্যুর পরেও বেঁচে থাকে তার দৃষ্টি। নিজের পুনর্জন্ম হওয়ার সাথে সাথে আরো একজন তাঁর দৃষ্টি শক্তি ফিরে পায়। এই বার্তাকেই লক্ষ লক্ষ মানুষের সামনে তুলে ধরতে চেয়েছে যোধপুর পার্ক। এই অনন্য দৃষ্টান্ত উপভোগ করতে অবশ্যই আসতে হবে আপনাদের।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম