।। প্রথম কলকাতা ।।
Rashmika Mandanna: অডিশন না দিয়েই সিনেমায় চান্স পেয়েছিলেন রশ্মিকা। পরিচালক প্রযোজকরাই ছুটে এসেছিলেন তার কাছে। রশ্মিকার শিক্ষাগত যোগ্যতার দৌড় কতটা? পুঁথিগত বিদ্যায় আলিয়া দীপিকাদের গুনে গুনে গোল দিতে পারেন তিনি। একটা দুটো নয়, তিন তিনটে ডিগ্রির অধিকারী রশ্মিকার জীবনের এই গল্প জানা আছে কি?জানেন কোন কোন বিষয়ে ডিগ্রি রয়েছে তার?
‘পুষ্পা’ ছবির তুমুল সাফল্যের পর থেকেই প্রচারের আলোয় রশ্মিকা। তবে জনপ্রিয়তার পালে হাওয়া লাগে অ্যানিম্যাল ছবির পর থেকেই। আর এবার নাকি সলমনের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করবেন নায়িকা। প্রথমে রণবীর আর এবার সলমন, নেটিজেনরা বলছেন এলেম আছে রশ্মিকার। দাবার চালের মত করেই বলিউডে পা ফেলছেন দক্ষিণী সুন্দরী। এর কারণটা কী জানা আছে? অনেকেই তো বলছেন, রশ্মিকার তুখোড় শিক্ষাগত যোগ্যতাই নাকি এর কারণ।
এটা হয়ত অনেকেই জানেন না যে, শিক্ষাগত যোগ্যতার দিকে তাকে টেক্কা দেয় বলিউডে এমন নায়িকা হাতে গোনা। সৌন্দর্য আর বুদ্ধিমত্তার মিশেলে তার ধারালো চোখই বলে দেয় তিনি কতটা গুণের অধিকারী। জেনে অবাক হবেন যে, মোট তিনটি বিষয়ে ব্যাচেলর ডিগ্রি রয়েছে তার। অর্থাৎ রূপে লক্ষ্মী গুণে সরস্বতীর পারফেক্ট কম্বো হলেন রশ্মিকা। তার কোন কোন বিষয়ে ডিগ্রি রয়েছে তা জানা আছে কি?
শোনা যায়, কোর্গ পাবলিক স্কুল, কোডাগু থেকে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে ছোটপর্দায় বিজ্ঞাপনের কাজ করতেন রশ্মিকা। তবে পড়াশোনাটাকেও বেশ ভালোবাসতেন। আর সেই কারণেই প্রি-ইউনিভার্সিটি কোর্স করার জন্য মহীশূরের ইনস্টিটিউট অফ কমার্স অ্যান্ড আর্টসে ভর্তি হন। এরপর উচ্চশিক্ষার জন্য তিনি চলে যান ব্যাঙ্গালোরের রামাইয়া কলেজ অফ আর্টস, সায়েন্স অ্যান্ড কমার্সে।
এরপর ইংরেজি, মনোবিজ্ঞান এবং জার্নালিজম নিয়ে ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। কী, চমকে উঠলেন? শুনতে অবাক লাগলেও এটা কিন্তু সত্যি। ঠিক এতগুলোই ডিগ্রি রয়েছে আপনার প্রিয় নায়িকার ঝুলিতে। আসলে মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হলেও রশ্মিকার পড়াশোনাতে কোনও খামতি রাখেননি তার বাবা মা। অভিনেত্রী নিজেও পড়াশোনায় মনোযোগী ছিলেন। একথা বলাই বাহুল্য যে, আজকের দিনে এই ডিগ্রি নিয়ে কর্পোরেট সেক্টরে গেলেও তাকে লুফে নেবে সবাই।
এখন আপনি হয়ত ভাবছেন যে, উচ্চশিক্ষার অধিকারী হয়েও ফিল্মি দুনিয়ায় কেন পা রাখলেন রশ্মিকা? মনে এমন ভাবনা আসা সাধারণ যদিও। আসলে ব্যাপারটা কী বলুন তো, অভিনয়ের প্রতি ভালোবাসাটাকে অস্বীকার করতে পারেননি তিনি। তাছাড়া সিনে দুনিয়ায় পা রাখাটাও বেশ অদ্ভুত ছিল। এমনকি সিনেমায চান্স পাওয়ার জন্য কোনও অডিশন অবধি দিতে হয়নি তাকে। তার একটা ছবি দেখেই তাকে চুড়ান্ত করে নিয়েছিলেন এক কন্নড় ছবির পরিচালক।
ব্যস আর কী? এরপর একটার পর একটা হিট মুভি আর সেই সাথে কেরিয়ারে লাগাতার উন্নতি করতে থাকেন রশ্মিকা। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে দক্ষিণী অভিনেত্রীদের মধ্যে সব চেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পেয়ে থাকেন তিনি। সেই সাথে প্রভাব বিস্তার করছেন বলিপাড়াতেও।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম