।। প্রথম কলকাতা ।।
কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে শেষ ষোলোর ম্যাচে সুইৎজারল্যান্ডকে ৬-১ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পা রাখল পর্তুগাল। এদিন রোনাল্ডোর জায়গায় পর্তুগালের প্রথমে একাদশে আসেন গনসালো রামোস। সুযোগ পেয়েই হ্যাটট্রিক করে ম্যাচের নায়ক বেনফিকার এই ফরোয়ার্ড। যা চলতি বিশ্বকাপে প্ৰথম হ্যাটট্রিক। আক্রমণের পসরা সাজিয়ে সুইসদের গোলের মালা পড়ালো পর্তুগাল। দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেও গোল পেলেননা রোনাল্ডো। শেষ আটে মরক্কোর মুখোমুখি হবে ফার্নান্দো সান্তোসের দল।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দিল রোনাল্ডোহীন পর্তুগাল। একের পর আক্রমণে বিধ্বস্ত করে দিল সুইৎজারল্যান্ডের রক্ষণকে। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে বেঞ্চে বসিয়েই দল সাজান পর্তুগাল কোচ ফার্নান্দো সান্তোস। রোনাল্ডোর জায়গায় এদিন প্রথম একাদশে সুযোগ পান গনসালো রামোস। সুযোগ কাজেও লাগালেন বেনফিকার ফরোয়ার্ড। ১৭ মিনিটে জোরালো শটে দলকে এগিয়ে দেন রামোস। সুযোগ তৈরি করে সুইৎজারল্যান্ডও। কিন্তু গোলের মুখ খুলতে পারেনি। ৩৩ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান পেপে। ব্রুনো ফার্নান্দেজের নেওয়া কর্ণার থেকে হেডে বল জালে জড়াতে কোন ভুল করেননি অভিজ্ঞ পর্তুগিজ ডিফেন্ডার। ৪৩ মিনিটে একটি সহজ সুযোগ মিস করেন রামোস। গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি তিনি। ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় পর্তুগাল।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়াল পর্তুগাল। পর্তুগিজদের দাপটের সামনে কোনো প্রতিরোধই গড়তে পারল না সুইৎজারল্যান্ড। ৫১ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান রামোস। দিয়োগো দালোতের পাস থেকে আলতো টোকায় বল জালে জড়িয়ে দেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড। এই গোলের ঠিক চার মিনিট পরেই স্কোরলাইন ৪-০ করেন রাফায়েল গুরেইরো। রামোসের পাস থেকে দুরন্ত শটে গোল করেন পর্তুগিজ ডিফেন্ডার। ৫৮ মিনিটে কর্ণার আসা থেকে বলে ব্যবধান কমান মানুয়েল আকানজি। ৬৭ মিনিটে ফের ব্যবধান বাড়ান রামোস। পূরণ করেন নিজের হ্যাটট্রিক। ম্যাচের ৭৪ মিনিটে ফেলিক্সকে তুলে রোনাল্ডোকে আনেন পর্তুগাল কোচ। নেমেই গোলও পেয়েছিলেন তিনি। অফসাইডের জন্য তা বাতিল করেন রেফারি। তবে অতিরিক্ত সময়ে সুইৎজারল্যান্ডের কফিনে শেষ পেরকেটি পুঁতে দেন পরিবর্ত নামা লিয়াও। সেই সঙ্গে ২০০৬ সালের পর প্রথমবার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছাল পর্তুগাল।