।। প্রথম কলকাতা ।।
চীনে বড় সম্ভবনা দেখতে পেলেন পুতিন জাপান রিজেক্ট ঠিক কোন কোন অস্ত্রের ডিল হবে এবারের মিটিংয়ে? পোলান্ড কেন ইউক্রেনের হাত ছেড়ে দিল এমন দুরাবস্থায় মার্কিন গোয়েন্দারা অ্যাকটিভ। বেজিংয় লোকাবে বড় কিছু। মস্কোর তরফ থেকে নিশ্চিত করে দেওয়া হয়েছে ভ্লাদিমীর পুতিন অক্টোবরেই চীনে যাচ্ছেন কিন্তু পুতিন ও চীনা প্রেসিডেন্ট জিনপিংয়ের মধ্যে ঠিক কী ডিল হবে সেটা কি জানতে পারবে দুনিয়া? বিশ্বকে জানানো হবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার কৌশলের কথা কিন্তু এই ফাঁকে আমেরিকা ও পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে নতুন জোট গড়ার ঘোষণা করে দেবেন না তো পুতিন-জিনপিং? কিম-পুতিন বৈঠকের পর কিন্তু এক্ষেত্রে অস্ত্রচুক্তিটাও ম্যাটার করছে। বেজিং তাদের অস্ত্রভান্ডার থেকে কী কী তুলে দেবে ক্রেমলিনের হাতে?
এরইমাঝে ইউক্রেনের জন্য কিন্তু একটা খারাপ খবর। পোলান্ডের তরফ থেকে সোজা ঘোষণা করে দেওয়া হল তারা কিয়েভকে আর কোনও ধরণের অস্ত্র সরবরাহ করবে না। ইউক্রেনের কট্টোর মিত্র বলে পরিচিত পোলান্ড এমন করল কেন? নেপথ্যে শস্য নিয়ে বিবাদ মূলত ইউক্রেনীয় শস্য আমদানি করা বা না করা নিয়ে বিতর্কের জেরে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে পোলান্ড। পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন কিয়েভকে অস্ত্র দেওয়ার পরিবর্তে আরও আধুনিক অস্ত্র দিয়ে নিজেদের সজ্জিত করার দিকে এবার থেকে মনোনিবেশ করবে তারা, কিন্তু প্রশ্ন হল চীনের থেকে এবার কোন কোন হাতিয়ার কিনবে মস্কো?রুশ প্রেসিডেন্টের এই সফরে রাশিয়া-চিন দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে। সামরিক সহযোগিতা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা হতে পারে। চীনের কাছে মূলত সামরিক সাহায্য চাইতেই এই সফর পুতিনের এমনটাই মনে করছে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহল।
অন্যদিকে, যুদ্ধের ময়দানে চীনকে রাশিয়ার পাশে না দাঁড়ানোর হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে আমেরিকা যদিও বা আমেরিকার সেসব হুঁশিয়ারি কানেও তোলে না বেজিং। শুধু অস্ত্র নয় এইদুদেশের বাণিজ্য ডিলও এবার রীতিমত নজর কাড়তে পারে চীনা কাস্টমস ডেটায় দেখা গেছে। চলতি বছরের আগস্টে রাশিয়ান পণ্যের চীনা আমদানি এক বছরের আগের তুলনায় ৩ শতাংশ বেড়ে ১১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌছে গেছে। রয়টার্স বলছে, ইউক্রেনের সাথে যুদ্ধের কারণে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার অধীনে থাকা রাশিয়া তার অর্থনৈতিক সহায়তার জন্য ঘনিষ্ঠ মিত্র বেইজিংয়ের দিকে ঝুঁকেছে। একইসঙ্গে তেল ও গ্যাসের পাশাপাশি শস্যের চীনা চাহিদাও পূরণ করছে মস্কো। রাশিয়ান দূরপ্রাচ্য থেকে চীনে সামুদ্রিক পণ্যের রপ্তানি বাড়ানোর আশাও করছে মস্কো। মূলত ওই অঞ্চলে রাশিয়ার প্রায় ৭০ শতাংশ সামুদ্রিক মাছ ধরা পড়ে।
সম্প্রতি ধ্বংসপ্রাপ্ত ফুকুশিমা প্ল্যান্ট থেকে তেজস্ক্রিয় জল সমুদ্রে ছাড়ার কারণে বেইজিং জাপান থেকে সামুদ্রিক খাবার আমদানি নিষিদ্ধ করার পর এই সুযোগকে বড় কাছে লাগাতে চাইছে রাশিয়া। পাল্টা চীনও কিন্তু রাশিয়াকে এবার দুহাত খুলে সাহায্য করতে পারে আমেরিকা কী জানতে পারবে কী ডিল হল দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে?
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম