।। প্রথম কলকাতা ।।
Jagannath Temple Puri: পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে লাগু হল নতুন নিয়ম, না মানলেই ‘নো এন্ট্রি’। গুনতে হবে কড়া মাশুল। মন্দিরের পবিত্রতা রক্ষার্থে জারি নয়া পোশাকবিধি।দর্শনার্থীদের পোশাকের উপর চলবে কড়া নজরদারি। এই ধরনের পোশাক পরলেই মিলবে ঘাড় ধাক্কা! হবে না জগন্নাথ দর্শন। জানেন, কী কী সেই পোশাক? জগন্নাথ মন্দিরে কোন কোন পোশাকে নো এন্ট্রি? তাই পুরীর জগন্নাথদেবের দর্শনে যাওয়ার আগে সাবধান। স্বপ্নেও করবেন না এই পোশাক পরার ভুল।
ভারতের বিখ্যাত কিছু মন্দিরের মধ্যে পুরী অন্যতম। বছরের বিভিন্ন সময় দেশ বিদেশ থেকে বহু মানুষের সমাগম হয় এই মন্দির চত্বরে। আপনিও কি পুরী যাওয়ার কথা ভাবছেন? তাহলে আজই সতর্ক হোন। কারণ পোশাক নিয়ে বিরাট সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। হাল ফ্যাশানের ছেঁড়া ফাটা পোশাক তো চলবেই না, সেই সাথে ঢেকে রাখতে হবে সর্বাঙ্গ। তবেই মিলবে জগন্নাথ দর্শনের অনুমতি। তাই অবশ্যই পুরী যাওয়ার আগে জেনে নিন এই নিয়ম। নাহলেই গুনতে হতে পারে বিরাট মাশুল।
তবে হঠাৎ কেন এমন সিদ্ধান্ত নিল মন্দির কমিটি? কোন কোন পোশাকের উপরেই বা কোপ বসালো মন্দির কর্তৃপক্ষ? চমকে দেবে সেই তালিকা।
শোনা যাচ্ছে শালীন এবং শোভনীয় নয় এমন কোনো পোশাক পরেই মন্দিরে পা রাখতে পারবেন না ভক্তরা। গেটের বাইরে থেকেই চলবে নজরদারি। অশালীন পোশাক পরে মন্দিরে যাওয়ার চেষ্টা করলেই, রীতিমত ঘাড় ধাক্কা খেয়ে ঘুরে আসতে হবে। জানেন কোন কোন পোশাককে অশালীন তকমা দিয়েছে জগন্নাথ মন্দির টেম্পল অ্যাডিমিস্ট্রেশন? শুনলে আপনিও চমকে উঠবেন।
মন্দির সূত্রে খবর, ছেঁড়া ফাটা জিন্স, স্লিভলেস চুড়িদার, জামার পাশাপাশি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বারমুডা, মিনি স্কার্টের উপরেও। মহিলাদের হাঁটুর উপর পোশাক নৈব নৈব চ। তাই আপনি যদি জগন্নাথ দর্শনে যাচ্ছেন আর আপনার ব্যাগে যদি এই ধরণের পোশাক রয়েছে তাহলে অবিলম্বে তা বের করে নিন। কারণ এইসব পোশাক দেখলেই তেলে বেগুনে জ্বলে উঠছে ট্রাস্টিরা।
তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে কী পরে যাবেন জগন্নাথ দর্শনে? কোন পোশাক পরে গেলে মিলবে জগন্নাথ দর্শনের অনুমতি?
সূত্রের খবর, মহিলা পূণ্যার্থীরা শাড়ি কিংবা সালোয়ার-কামিজ এবং পুরুষরা ফুল প্যান্ট, শার্ট কিংবা কুর্তা-পাজামার মতো পোশাক পরলেই যেতে পারবেন মন্দিরে। তবে ছাড় মিলেছে শিশুদের। ১২ বছরের কম বয়সী শিশুরা হাফ প্যান্ট পরে যেতে পারবেন। তবে এ কেবল কথার কথা নয়, বছরের প্রথম দিন থেকেই অত্যন্ত কড়া হাতে পোশাক নিয়ম মানতে দেখা গেছে মন্দির কর্তৃপক্ষকে। এমনকি মন্দিরের পক্ষ থেকে মোতায়েন করা হয়েছে প্রতিহারী সেবায়েতদের।
এই ঘটনার পর স্বাভাবিকভাবেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে নেট নাগরিকরা। কেউ কেউ বলছেন, আরাধ্যর কাছে যাওয়ার জন্য পোশাকে আবার কী নিয়ম? আবার কেউ বলছে যা হয়েছে উচিত হয়েছে? কী মনে হচ্ছে আপনার? মন্দির কমিটির এই সিদ্ধান্ত কি সঠিক? আপনি কি সমর্থন করছেন এই সিদ্ধান্তকে?
তবে জানিয়ে রাখি কেবল পুরী নয়, ইতিমধ্যেই উত্তর এবং দক্ষিণ ভারতের একাধিক হিন্দু মন্দিরে গত কয়েক মাসে এই ধরনের পোশাকবিধি জারি হয়েছে। মূলত মন্দিরের পবিত্রতা এবং ধর্মীয় ভাবাবেগের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। আর এবার ঐ একই পথের পথিক পুরীর জগন্নাথ মন্দির টেম্পল অ্যাডিমিস্ট্রেশন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম