।। প্রথম কলকাতা ।।
ভারত চাল রফতানি রুখে দিল কপাল চাপড়াচ্ছে পাকিস্তান। ভারতকে কেন নিতে হল এমন কড়া সিদ্ধান্ত? রাজনীতি করতে চলবে না গভীরে ঢুকে বুঝতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রে চরম কড়াকড়ি এক প্যাকেট চাল একজনের জন্য। গোটা বিশ্বের ভারতের থেকে কত চাল যায় হিসেবটা জানা আছে? বাংলাদেশ বলছে ভারত চাল রফতানি বন্ধ করলেও। তাদের খুব একটা সমস্যা হবে না। কিন্তু পাকিস্তান, গমের অভাব মিটতে না মিটতে সেখানে বড় বিপদ। চিনও কী ভারতের চাল রফতানির বন্ধের শিকার হতে পারে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই কথায় কোনও সন্দেহ নেই যে এবার বিশ্বব্যাপি চালের দাম মারাত্মকভাবে বাড়তে থাকবে। চাপের মুখে পড়বে ভারত? তুলে নিতে হবে নিষেধাজ্ঞা?
প্রথমেই এটা জেনে রাখুন, গোটা বিশ্বের চালের চাহিদার ৪০ শতাংশ পূরণ করে ভারতবর্ষ। এবার আপনি বুঝুন সেটা হঠাৎ বন্ধ হলে কি হতে পারে৷ শুধু তাই নয় রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের প্রায় ৩০০ কোটি মানুষের প্রধান খাদ্য হলো ভাত। চালের ৯০ শতাংশই উৎপাদন হয় এশিয়া অঞ্চলে। এবার শনি এল নিনো আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে এ অঞ্চলে বৃষ্টি কম হচ্ছে। বর্তমানে বিশ্ববাজারে চালের দাম ১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। ভিয়েতনাম, চীন, থাইল্যান্ড বিশ্বের বাকি চাল রপ্তানিকারক দেশ টেনশনে। ২০২২ বাসমতী নয় এমন ১ কোটি ৩০ লক্ষ টন চাল রফতানি করেছিল ভারত। প্রচুর দেশ এ ব্যাপারে ভারতের মুখাপেক্ষী থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, আমেরিকা প্রচুর চাল কেনে ভারতের থেকে। ধনী থেকে গরিব সব রকম দেশই রয়েছে এই তালিকায়।
ভারতের কী ভেবে বন্ধ করল রাইস এক্সপোর্ট? এমন কোন দুরাবস্থা আসতে চলেছে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চালের রফতানি বন্ধ করে ভারতের একটা আর্থিক ক্ষতি অবশ্যই হবে তবে তারা আগে দেশের মানুষের খাদ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করাটা দরকার৷ জোরদার এফেক্ট অলরেডি টের পাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রে বাস করা প্রবাসী বা এনআরআই ভারতীয়রা যাদের প্রতিদিনের খাদ্যাভাসে চাল একটা মারাত্মক গুরুত্বপূর্ণ জিনিস সেখানে এই নিষেধাজ্ঞার খবর পৌঁছতেই রীতিমত চালের মজুত করার দৌড়ঝাপ শুরু হয়। এবার কড়া নিয়ম একজন কাস্টমার এক প্যাকেটই চাল নিয়ে পারবেন বাংলাদেশ বলছে তাদেপ সরকারি গুদামে প্রায় ২০ লাখ টন চাল–গম মজুত আছে। তাই এবারের রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার আঁচ তাদের দেশে আসবে না।
এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের দাবি কোভিড অতিমারি, ইউক্রেন যুদ্ধ এবং সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট এল নিনোর জেরে আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দাম গত কয়েক বছর ধরেই বেশি রয়েছে। ভারত চাল রফতানি বন্ধ করায় তা আরও বাড়বে। কেন্দ্রীয় খাদ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে
তাই ঘরের বাজারে চালের যোগান ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতেই আতপ চাল রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মানে ভারত এমূহুর্তে দাঁড়িয়ে দেশের খাদ্য সুরক্ষায় বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে৷ তথ্য বলছে গত কয়েকটা বছরেই পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো জাপান, সাউথ কোরিয়ায় খুবভাবে চাহিদা বাড়ছে ভারতের চালের সাধারণত তাদের দেশে স্টিকি রাইস হয় তবে সেতুলনায় ভারতের চাল অনেক বেশি সুস্বাদু। এমনকি আপনি শুনলে অবাক হবেন ২০২০ সালে চিনকেও কিনতে হয়েছিল ভারতের থেকে চাল। ২০২১ সালে ভিয়েতনাম চাল রপ্তানিকারক দেশ হয়েও ভারতের থেকে চাল কিনেছিল।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম