।। প্রথম কলকাতা ।।
Date palm cultivation : অনেকেই এমন রয়েছেন যারা নতুন ব্যবসা শুরু করার কথা ভাবছেন। কিন্তু সেই রকম মোটা অঙ্কের পুঁজি আপাতত তাদের হাতে নেই। উদ্দেশ্য কোন লাভজনক ব্যবসায় হাত পাকিয়ে ফেলার। তাদের জন্য খেজুর চাষ নিঃসন্দেহে একটি বিকল্প হতে পারে। কারণ এক একটি খেজুর গাছ থেকে ব্যবসার ক্ষেত্রে বছরে প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করা সম্ভব। কীভাবে ? সেই সংক্রান্তই তথ্য রইল বর্তমান প্রতিবেদনে।
কেন খেজুর চাষ লাভজনক ?
খেজুর হল সাধারণত মরু অঞ্চলের ফল। তবে আপনি চাইলেই এই ফলের চাষ করতে পারেন যেকোনো ফাঁকা জমিতে। এই ফল চাষ করার জন্য খুব বেশি টাকা খরচ করতে হয় না। তার উপরে আবার এক একর জমিতে আপনি প্রায় ৭০ টি খেজুর গাছ রোপন করার সুবিধা পাবেন। খেজুর চাষিরা তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে জানাচ্ছেন, ফলন খুব সহজেই পাওয়া যায় এই খেজুর গাছে। এক একটি গাছে ৭০ থেকে প্রায় ১০০ কেজি পর্যন্ত খেজুরও আপনি পেতে পারেন।
তাই হিসেব করলেই বুঝতে পারবেন একর কৃষি জমিতে একবারে আপনি প্রায় পাঁচ হাজার কেজি খেজুর উৎপাদন করতে পারবেন। বাজারেও কিন্তু এর চাহিদা ব্যাপক। ভালো গুণগতমানের খেজুরের দাম বাজারে বেশ খানিকটা চড়া। মূলত শীতের মরশুমে খেজুরের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। এখন নিজের দেশে খেজুর চাষ করে তা বিদেশে রপ্তানি করার সুযোগ-সুবিধাও রয়েছে। অর্থাৎ এক সিজেনেই আপনি খেজুর বিক্রি করে আয় করতে পারবেন প্রায় দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে খেজুরের বাজার দর চলছে ৯০ টাকা ১ কেজিতে ( স্থানভেদে এবং কোয়ালিটি অনুযায়ী দামের হেরফের রয়েছে) ।
খেজুর চাষের প্রক্রিয়া
প্রথমেই মনে রাখতে হবে খেজুর চাষ কিছুটা দীর্ঘমেয়াদি। অর্থাৎ এই গাছ ফলন দেওয়ার জন্য তৈরি হতে প্রায় বছর তিনের সময় লাগে। কিন্তু একবার গাছটি উপযুক্ত হয়ে গেলে প্রতিবছর যথেষ্ট পরিমাণে ফল দেয়। খেজুর চাষ করার জন্য মূলত প্রয়োজন বালি যুক্ত ভঙ্গুর মাটি । তার জন্য সর্বপ্রথম মাটি প্রস্তুত করতে হবে। বাঁকানো লাঙল দিয়ে ক্ষেতের মাটি বারবার কর্ষণ করতে হবে। আলতো ভাবে নয় বরং বেশ খানিকটা গভীরে কর্ষণ করার পরে ফেলে রেখে দিতে হবে কয়েক দিনের জন্য। আবারও তার কিছুদিন পরে দুই তিনবার লাঙল চালালেই মাটি একেবারে ঝরঝরে হয়ে যাবে।
এরপর সেই মাটির মধ্যে গোবর সার মিশিয়ে জমিটিকে একেবারে সমতল করে নিতে হবে। মনে রাখবেন খেজুর চাষের জন্য খুব একটা জলের প্রয়োজন হয় না। বরং যত বেশি গরম থাকবে খেজুরের ফলন তত বৃদ্ধি পাবে। গাছও তত দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। তার জন্য পশ্চিমবঙ্গে এই চাষ করতে হলে অগাস্ট মাস একেবারে উপযুক্ত বলে বিবেচনা করা হয় । গ্রীষ্মকালে খেজুরের চারা রোপণ করলে ১৫ দিনে একবার করে সেচের প্রয়োজন হয় এবং শীতকালে করলে এক মাসে একবার করে সেচের প্রয়োজন হয়। বর্তমানে বহু চাষি তাদের জমির একাংশে খেজুর চাষ করার বিষয়ে বেশ আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম