।।প্রথম কলকাতা।।
Curpate grass: চাষ বলতেই আমাদের মাথায় আসে বিভিন্ন সবজির চাষ। কিন্তু বর্তমানে যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে চাষের ক্ষেত্র জনগণের মাথায় এসেছে একাধিক নবচিন্তা ধারা। গবাদি পশুর প্রধান খাবার ঘাস । ঘাস পাওয়া যায় দেশের আনাচে-কানাচে। সবুজ ঘাস বিঘার পর বিঘা জমিতে। তবে এ ঘাস গরু খাবে না। ধারে কাছেও ঘেষতে পারবে না ছাগল। এই খাস দিয়ে তৈরি হয় কার্পেট। ভারতবর্ষ তো বটেই বিদেশেও এর চাহিদা বেশ ভালো রকমের। ছাদে বা বাগানে এই কার্পেটের মতো ঘাস বিছিয়ে দিলেই হয়। এরপর রোজ জল পেলে দিব্যি সবুজ ছড়াবে ঘাসের কার্পেট। কয়েক হাজার কৃষকের রুটি রুজির সংস্থান এই ঘাস চাষ করে বিক্রি করে। মুনাফার টানে অন্য কোনো ফল সবজি ছেড়ে এই ঘাস চাষের মন দিয়েছেন অনেকে। এই ঘাস চাষে কখনো লোকসান হয় না এর লাভের অংক এবং বিশ্ব জুড়ে চাহিদা দুটোই ঊর্ধ্বমুখী। নিজেদের জমিতে নার্সারি তৈরি করে হাজার হাজার চাষি খাস বুনতে শুরু করেছেন।
এই ঘাস চাষের প্রক্রিয়াকে আরও বিজ্ঞানসম্মত আধুনিক করতে সরকারকে উদ্যোগী হতে অনুরোধ জানাচ্ছেন চাষীরা। পরিকাঠামো এবং আর্থিক সহায়তার দাবি জানাচ্ছেন নার্সারির মালিকরা। কৃষি বিভাগ বলছে উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবেই ঘাস চাষ ব্যাপক লাভজনক। বিভিন্ন প্রান্তে এই ঘাস বিক্রি করা হয়। শুধু তাই নয় এতে বহু লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। এই ঘাস কার্পেট তৈরির কাজে লাগে। দেশে এবং বিদেশে এই ঘাসের চাহিদা রয়েছে বিপুল। বেশি পরিশ্রম নেই এই চাষের ক্ষেত্রে। বাড়ির ছাদেও কার্পেটের মতো এই ঘাস বিছিয়ে দিলে রোদ এবং জলে নিজে নিজেই বেড়ে উঠবে। এই ঘাসের নাম মেক্সিকান ঘাস সিলেকশন ঘাস।
এর চাষের জন্য আপনাকে হাতে ২০ হাজার টাকা নিয়ে মাঠে নামতে হবে। ২০০০ টাকার মাটি, ৫০০০টাকার প্লাস্টিক, ৬ হাজার টাকার সার ৭ হাজার টাকার মত শ্রম। তাহলেই দেখবেন লাভের মুখ। ২০ হাজার টাকা খরচ করে ৫০ হাজার টাকা রোজগার করছেন অনেকেই। বাজারে এমনই দাম এই ঘাসের। এই ঘাস পরিপূর্ণতা পেতে মাত্র দু সপ্তাহ সময় লাগে। চাষিরা এই ঘাস চাষের ক্ষেত্রে ১০ ফুটের একটি কার্পেট তৈরি করেন আর সেগুলি রোল করে গাড়িতে পাঠিয়ে দেন। আর বাজারে রয়েছে বিপুল চাহিদা। এই ঘাসের প্রতি বর্গফুট হিসেবে তিন থেকে চার টাকায় পাইকারি রেটে বিক্রি হয় এবং রিটেলে ১০ টাকা। এই ঘাসের চাহিদা এখন বিশ্বজুড়ে তাই কখনও এই ঘাসের রপ্তানি বন্ধ হবে না।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম