।। প্রথম কলকাতা ।।
Raj Ripa: নতুন ছবিতে চুক্তি করেছেন অথচ পাননি ‘সাইনিং মানি’। যার জেরে প্রযোজক ও পরিচালককে ‘প্রতারক’ বলেছেন নবাগত নায়িকা রাজ রীপা। যদিও তাঁর ‘প্রতারক’ শব্দটি ব্যবহারে আপত্তি রয়েছে ছবির প্রযোজকের। ছবির নাম ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ’।
‘প্রথম আলো’তে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী মঙ্গলবার ছবির প্রযোজক, পরিচালকের ফেসবুক আইডির স্ক্রিনশট দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বড়সড় পোস্ট লেখেন রাজ রীপা। সকলকে তাঁদের প্রতারণা থেকে সাবধান করেছেন এই অভিনেত্রী। পাশাপাশি সকলের কাছে অনুরোধ করেছেন যেন এই সিনেমার কোনও খবরের সঙ্গে তাঁকে আর জোড়া না হয়। অনেক সময়ই ছবি সাইন করে তা না হওয়া বা পারিশ্রমিক না পাওয়ার মতো ঘটনা ঘটে থাকে ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে। তবে এবার এরকম ঘটনায় সোজা পরিচালক, প্রযোজককে প্রতারকের তকমা দিয়েছেন নায়িকা। একইসঙ্গে জানিয়েছেন, চুক্তিতে কমিটমেন্ট ঠিক না থাকার কারণে কাজ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
প্রতিবেদন অনুযায়ী পোষ্টের এক জায়গায় অভিনেত্রী জানিয়েছেন, তিনি যে নতুন ছবিটি সাইন করেছেন ওই সিনেমা আর করবেন না। এটা তাঁর নিজস্ব সিদ্ধান্ত। তাঁর কথায়, ‘গত ২৫ নভেম্বর ছবিটি সাইন করি। সাইনিংয়ের ৩০ ভাগ ওই দিনই পরিশোধ করার কথা ছিল আমাকে। কিন্তু সিনেমা সাইনিং হলেও তার টাকা পকেটে আসেনি’। এরপর ‘প্রথম আলো’ সংবাদমাধ্যম থেকে যোগাযোগ করা হয় অভিনেত্রীর সঙ্গে। তিনি জানিয়েছেন, ‘সাইনিং মানি চাইলে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর দিতে বলা হয়। সমস্যা থাকায় নগদ টাকা দিতে বলি। ওই রাতে টাকা না এলে আমি যোগাযোগ করি। পরদিন দুপুরের পর টাকা পাঠাবে বলে জানান। এরপর বিগত চার দিন হয়ে গিয়েছে কিন্তু টাকা আসেনি’।
অভিনেত্রীর কথায়, ‘এখন সিনেমা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে’। যদিও প্রথম থেকেই এই কাজটি না করার ইচ্ছে ছিল তাঁর। কিন্তু পরিচালকের কথাতে এক প্রকার বাধ্য মেয়ের মতোই এই ছবিটি করার জন্য রাজি হয়েছিলেন। এদিকে পরিচালক নাসিম সাহনি মানি না দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তাঁর কথায়, ‘সাইনিংয়ের দিন ১০ হাজার টাকা দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তিনি নেননি, পুরো টাকাটাই চান। সেই সময় পুরো টাকা কাছে না থাকার কারণে পরে পাঠানোর কথা হয়। একটু দেরি হওয়াতেই সমস্ত সমস্যা তৈরি হয়েছে। কাজটি আমরা এক সঙ্গে করব ভেবে শান্ত থাকতে বলেছিলাম। কিন্তু তিনি আর থাকলেন না’।
অন্যদিকে অভিনেত্রীর ‘প্রতারক’ শব্দটি ব্যবহারে ঘোর আপত্তি প্রযোজক মামুনুর ইসলামের। তাঁর বক্তব্য, ‘সাইনিংয়ের সময় কথা হয়েছিল শ্যুটিং, ডাবিং শেষ করা পর্যন্ত তাঁকে চার ভাগে পারিশ্রমিক দেওয়া হবে। সাইনিং মানি ১০ হাজার টাকা দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তিনি ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন। পরে তা দিতে রাজি ছিলাম। কিন্তু ওইদিন দেরি হওয়ায় সমস্ত সমস্যা তৈরি হয়েছে’। এমনকি অভিনেত্রীর আচরণ নিয়ে আপত্তি তুলেছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, ‘ছবির শ্যুটিং শুরু হওয়ার আগেই এই আচরণ হলে, তাঁকে দিয়ে কাজই করাতে পারব না’। প্রযোজকের মনে হয়েছে বাড়াবাড়ি করেছেন অভিনেত্রী।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম