।। প্রথম কলকাতা ।।
Prime Minister of Pakistan: রাতারাতি বদলে যেতে পারে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। শাহবাজ শরিফ ছেড়ে দিতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব। ইমরান খান কোথায় গেলেন? বড় ষড়যন্ত্র চলছে গভীরে। কোন নতুন মুখ ইসালামাবাদের কুর্সিতে? পাকিস্তানে ফিরছেন নওয়াজ শরিফ, বদলেই দেওয়া হল আইন। ইমরান খান ট্রেলার ছিল৷ সিনেমা এখনও বাকি? প্রধানমন্ত্রীত্বের বোঝা সামলাতে পারছেন নাশা হবাজ শরিফ। ৬ বছর এবার পাকিস্তানে ফিরতে পারেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। তাঁর পাকিস্তানে ফেরা মানেই বদলে যেতে পারে অনেক ইকুয়েশন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটা ব্যক্তি দুর্নীতির সব দায় ফেলে দেশে ফিরবেন। তার জন্য নাকি বদলে দেওয়া হয় দেশটার আইন। কি আইন কীভাবে রাতারাতি বদলে ফেলা হল সব অঙ্ক? পাকিস্তানের কূটনৈতিক মহল বলছে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী তথা শাহবাজ শরিফের দাদা নওয়াজ শরিফ দেশে ফিরলে প্রধানমন্ত্রীর পদেই বসিয়ে দেওয়া হতে পারে তাঁকে। কিন্তু সেটা তো এমনি এমনি হওয়া সম্ভব নয়৷ প্রধানমন্ত্রী হতে গেলে তো নির্বাচনে লড়তে হবে নওয়াজ শরিফকে৷ নির্বাচনে তাঁকে দাঁড়ানোর অনুমতি দেবে আদালত?
এমূহুর্তে দাঁড়িয়ে সবথেকে বড় প্রশ্ন কোথায় গেলেন ইমরান খান? পাকিস্তান মিডিয়া খানকে বয়কট করার পর যেটুকুও খবর হচ্ছে তাতে আইনের জালে গলা পর্যন্ত জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ইমরানকে। নতুন জমি প্রতারণা মামলায় সমন পাঠানো হয়েছে পিটিআই প্রধানকে। পাকিস্তানের রাজনৈতিক মহলে এখন আলোচনা, এভাবে ৬ বছর পর নওয়াজ শরিফ উড়ে এসে জুড়ে বসলে
পাকিস্তানের এই বেহাল দিনে সেদেশের মানুষ তাঁকে আদৌ মেনে নেবে তো? সবথেকে বড় কথা পাকিস্তানের বর্তমান সরকার জোটে আছে। জোটে থাকা বিলাবল ভুট্টোর পাকিস্তান পিপলস পার্টি বিক্ষোভ ঘোষণা করতে পারে?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন আপাতত এমন কোনও আশা দেখা যাচ্ছে না৷ পাকিস্তানে বিশাল বড় আইন আনা হয়েছে৷ কি বলছে সে আইন? পানামা পেপারকাণ্ডে নাম জড়ানোয় ২০১৭ সালে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গদিচ্যুত হন নওয়াজ পাকিস্তানের শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয় আজীবন দলের কোনও পদে থাকতে পারবেন না তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে আয়-বহির্ভূত বিপুল অঙ্কের বেতন লুকোনোর অভিযোগ ছিল। এই মামলায় কিছু দিন শাস্তিভোগ করার পর চিকিৎসার কারণে লন্ডনে চলে যান নওয়াজ। এবার তাহলে দুর্ধর্ষ কামব্যাক?পাকিস্তানের ‘সুপ্রিম কোর্ট রিভিউ অফ জাজমেন্টে অ্যান্ড অর্ডারস অ্যাক্ট ২০২৩’ বিলে স্বাক্ষর করেছেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলবি এর ফলে দেশটির প্রধান বিচারপতির ক্ষমতা কমে যাবে। এতদিন পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতির কাছে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষমতা ছিল। রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার ক্ষমতা ছিল তার হাতে। এমনকি জনস্বার্থে বা মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন হয় এমন ইস্যুগুলোতে প্রধান বিচারপতি হস্তক্ষেপ করতে পারতেন।
এবার, শেহবাজ শরীফ নেতৃত্বাধীন সরকার প্রধান বিচারপতির ক্ষমতা কমানোর বিলটি পাস করেছে।যা এখন আইনে পরিণত হয়েছে। আর এই নয়া এই আইনই নওয়াজ শরিফের পাকিস্তানে ফেরার রাস্তাকে প্রশস্ত করছে। কারণ এই আইনে শীর্ষ আদালতের রায় পুনর্বিবেচনা করার আর্জি জানাতে পারবেন নওয়াজ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মনে করে দেখুন, ইমরান খান গ্রেফতার হওয়ার পর বারবার অভিযোগ করেছেন লন্ডন থেকে সবটা পরিচালিত হচ্ছে। সেসময় তিনি যে নওয়াজ শরিফের দিকেই ইঙ্গিত করেছিলেন। সেটা ৯৯ শতাংশ নিশ্চিত হওয়া যায়। এদিকে জানতে পারা যাচ্ছে, দলের কাউন্সিল বৈঠকে শাহবাজ় জানিয়েছেন দলের সভাপতি হিসাবে তো বটেই প্রধানমন্ত্রী পদেও দাদা নওয়াজকে দেখতে চাইছেন তিনি। নওয়াজ যদি সত্যিই পাকিস্তানে ফেরেন তবে চতুর্থ বারের জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন তিনিই।
চলতি বছরের শেষেই পাকিস্তানে নির্বাচন রয়েছে৷ আর বিলাবল ভুট্টো ও তাঁর দলের আপত্তি? ২০২২ সালেই লন্ডনে গিয়ে নওয়াজ শরিফের সঙ্গে দেখা করেছিলেন ভুট্টো। পাকিস্তানের রাজনৈতিক অবস্থার কথা পাই টু পাই জানিয়ে এসেছিলেন তিনি
প্রশ্ন উঠছে এরপর বোঝা যায় ফুল সাপোর্ট রয়েছে পিপিপির। এখন সবথেকে বড় প্রশ্ন নওয়াজ শরিফ পাকিস্তানে ফিরলে ফের কোন ঝড় উঠবে পাকিস্তানের রাজনীতিতে?
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম