।। প্রথম কলকাতা ।।
গ্রামের একটা সাধারণ ঘরের বউ আজ পপি কিচেন নামটা বললেই যথেষ্ট ছাপা শাড়ি, চোখে হালকা কাজলের ছোঁয়া। সিঁথি রাঙানো লাল সিঁদুরে। সঙ্গে কপালে ছোট লাল টিপ, মাথায় ঘোমটা। গ্রামের এই সাধারণ বউকে এখন কে না চেনে! কিন্তু পপির কোনও অহঙ্কার নেই ফেসবুক, ইউটিউবে মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউজ। এবার সেই টাকা দিয়ে গরিব শিশুদের পাশে দাঁড়ালেন অভাবী জীবনে ঢালাও উপহার পেয়ে তারাও খুব খুশি। মায়ের স্নেহে প্রত্যন্ত গ্রামের শিশুদের বুকে টেনে নিলেন পপি। সাধারণ রান্নাগুলোকেই গ্রাম্য পরিবেশে অসাধারণ বানিয়ে দেন পপি বা অনেক সময় কঠিন নানা পদ ওই মাটির ঘরে বসেই সুন্দর করে শিখিয়ে দেন দর্শকদের।
মুখে সারাদিন হাসি লেগেই আছে। পুকুরের ধারে বসে পপির রান্না দেখার জন্য হাপিত্যেশ করে বসে থাকেন নেটিজেনরা। সাথে কখনও বড় জা, কখনো শাশুড়ি সঙ্গ দেন। সব রান্না চেখে চেখে কেমন হয়েছে বলে দেন পপির দাদু। পপির বিরাট সংসার সাথে এক ছেলের মা কিন্তু কোনও ক্লান্তি নেই। ভোরবেলায় উঠে বাগানের পরিচর্যা সেরে বাড়ির রান্না সারে। ছেলেকে খাইয়ে তৈরি করে স্কুলে পাঠান তারপর পপি কিচেনের কাজে বসেন।
কোনও বড়সড় চাওয়া নেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশাল ভিউজ। উপার্জনও খুব ভালো। দুবেলা তাদের ভালো মত চলে যায়। কিন্তু কখনো পপিকে দামী শাড়ি বা গয়না পড়তে দেখা যায় না। এবার নিজের জমানো টাকা দিয়ে গরিব শিশুদের মুখে হাসি ফোটালেন পপি। নানা খাবারের সাথে খেলনা সাথে ছাতা উপহার দিলেন পপি। নিজের ছেলে অর্জুনকে ঠিক যেভাবে আদর করেন পপি প্রত্যন্ত গ্রামের খুদেদের কাছে টেনে নিলেন পপি। আসলে পপির মত মানুষরা বিলাসিতায় থাকতে পছন্দ করেন না। সাধারণভাবে বেঁচে সবাইকে নিয়ে আনন্দে থাকতে চান। তাই পপি সকলের বড্ড প্রিয়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম