।। প্রথম কলকাতা ।।
পিওকেতে লুকিয়ে আমেরিকা লোক পাঠাচ্ছে। ভারতের সাহায্য করার চেষ্টা নাকি মনে অন্য অঙ্ক দিল্লির রাষ্ট্রপুঞ্জে হুঁশিয়ারির পরই কি যুক্তরাষ্ট্রের বাড়াবাড়ি। এই একই ব্যক্তিকে কেন বারবার পিওকেতে পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র? আসল চালটা ঠিক কী? মুখে এক কথা আর কাজে অন্য কেন বারবার পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢু মারছে আমেরিকা?পাকিস্তানই কি ভারতের আতঙ্কে আমেরিকার সাহায্য চাইছে। ওয়াকিবহাল মহল বলছে আমেরিকা-ভারত বন্ধুত্ব যতই গাঢ় হোক না কেন পাকিস্তানকে সময়ে সময়ে ব্যবহার করে নেয় ওয়াশিংটন।
ঠিক একবছর আগে যে কান্ড ঘটিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবারও সেটাই ঘটালো। আমেরিকা কি চায় পিওকে ভারতের দখলে আসুক? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঠিক কী চায় সেটা এক্ষেত্রে না জানা গেলেও আমেরিকা চেয়েছিল ব্লুমের পিওকে ভিসিটের খবর যাতে কোনওভাবে সামনে না আসে। কিন্তু খবর ফাঁস হয়েই যখন গেল তখন ওয়াশিংটন অস্বস্তিতে। পাকিস্তানের মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডোনাল্ড ব্লুম পাক অধিকৃত কাশ্মীরের গিলগিট-বাল্টিস্তানে সফর করেন সম্প্রতি এই ঘটনার কথা প্রাথমিকভাবে গোপন থাকলেও সম্প্রতি তা প্রকাশ্যে চলে এসেছে। যার পর রীতিমত প্রশ্ন উঠছে মার্কিন অভিসন্ধী নিয়ে। তথ্য বলছে ২০২২ অক্টোবর মাসে এই ডোনাল্ড ব্লুমই পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সফর করেছিলেন। তখন এ নিয়ে রীতিমত চটে গিয়েছিল ভারত। বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছিল ‘পাকিস্তান-অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে মার্কিন দূতাবাসের সফর ও বৈঠক নিয়ে ভারতের তীব্র আপত্তি রয়েছে। এমনকি সেই আপত্তির কথাও ওয়াশিংটনকে জানানোও হয়েছিল।
কিন্তু তা সত্ত্বেও একই কাজ ফের করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তবে এবার প্রকাশ্যে নয় গোপনভাবে চুপি চুপি। অবশ্য ডোনাল্ড ব্লুমের পিওকে সফরের কথা ফাঁস হতেই ভারতের মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি আশ্বস্ত করেন কেবলমাত্র ভারত ও পাকিস্তানই সমাধান করতে পারে কাশ্মীর সমস্যার। এখানে তৃতীয়পক্ষের প্রয়োজন নেই এমনকি আমেরিকাও নয়। কূটনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন এই ঘটনা অনেকটাই শাক দিয়ে মাছ ঢাকা দেওয়ার মতো মনে হচ্ছে। পাক দৈনিক ডনের প্রতিবেদন অনুযায়ী সম্প্রতি ছয় দিনের Pok সফর করেন পাকিস্তানের মার্কিন রাষ্ট্রদূত ব্লুম গিলগিট-বাল্টিস্তানের একাধিক এলাকা ঘুরে দেখেন তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে দেখাও করেন। ডনের দাবি, রাষ্ট্রদূতের এই সফর গোপন রাখা হয়েছিল দূতাবাস এবং স্থানীয় প্রশাসনের তরফে। পরে গিলগিট-বাল্টিস্তানের ডেপুটি স্পিকার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেন।
সেখানেই কার্যত যেন অস্বস্তিতে পরে যায় আমেরিকা৷ তবে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলের একাংশের দাবি পাকিস্তানের মন রাখতেই মার্কিন রাষ্ট্রদূতের এই সফর। আসলে কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলতে চাইছে আমেরিকা পাক সাহায্যে আফগানিস্তান, কাজাকস্তান, তুর্কিমেনিস্তানের মতো দেশগুলিতে রাশিয়ার প্রভাব রুখতে চাইছে পেন্টাগন। পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ নিয়েও সতর্ক অবস্থানে বাইডেন প্রশাসন। আসলে কেন ব্লুম বারবার পিওকে সফর করেন আর সেখান থেকে এমন কী খবর তিনি পৌঁছে দেন সেটাই আসল প্রশ্ন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম