।। প্রথম কলকাতা ।।
Cheapest Food Canteen: অগ্নিমূল্যের বাজারে এক টাকার বিনিময়ে যে কাজে লাগার মতো কোনো জিনিস পাওয়া যাবে তা ভাবাই একপ্রকারের বোকামি। সেই জায়গায় যদি মাত্র এক টাকার বিনিময়ে প্লেটভরা বিরিয়ানি, মাছ-ভাত, ডিম-ভাত কিংবা নিরামিষ থালি পাওয়া যায় তাহলে অবাক হওয়া একেবারেই অস্বাভাবিক বিষয় নয়। মাত্র এক টাকার বিনিময়ে মানুষকে পেট ভরে খাবার সুযোগ করে দিয়ে বর্তমানে রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছে বারাসাতের এই এক টাকার ক্যান্টিন। যা প্রশংসা কুড়িয়েছে বহু মানুষের।
জানা যায়, একটি ভ্রাম্যমান গাড়িতে এই ক্যান্টিনটি দেখতে পাওয়া যায়। বারাসাত জেলা হাসপাতালের বাইরে ৩৫ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে বিগত প্রায় সাতটি মাস ধরে এই ভাবেই জনসাধারণকে পরিষেবা দিয়ে চলেছে এই ক্যান্টিন। অবশ্যই এই ক্যান্টিনটির নেপথ্যে রয়েছে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। মূলত যারা বারাসাত হাসপাতালে আসেন সেই সমস্ত রোগী এবং রোগীর পরিবারের খাওয়া-দাওয়ার কথা চিন্তা করে এই এক টাকার ক্যান্টিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এমন অনেক মানুষ রয়েছেন যারা চিকিৎসা করাতে এসে ভর পেট না খেয়েই ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকছেন হাসপাতালে।
তাদের জন্য এই উদ্যোগ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের। যদিও এটি হাসপাতালের ভেতরে চালু করার অনুমতি চাওয়া হয়েছিল কিন্তু অনুমতি না মেলায় রাস্তার পাশে একটি ভ্রাম্যমাণ গাড়িতে চালু করা হয়। আগে যদিও সপ্তাহে একদিন এই ক্যান্টিনে খাবার মিলতো, কিন্তু এখন তা ৬ দিনই মেলে। শুধুমাত্র বন্ধ থাকে রবিবার। প্রতিদিন দুপুর বারোটাথেকে দুটো পর্যন্ত এই ক্যান্টিনে খাবার পাওয়া যায়। কিন্তু জানা গিয়েছে খাবার দেওয়া চালু হওয়ার আধঘণ্টার মধ্যেই শেষ হয়ে যায় প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ জনের খাবার।
আপাতত ২০০ থেকে ২৫০ জনের রোজকার খাবারের ব্যবস্থা করছে এই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। পরবর্তীতে তা ১০০০ করার ইচ্ছে রয়েছে তাদের। এক টাকার ক্যান্টিন বলে খাবারের গুণগত মান এবং মেনুতে কোনরকম আপস করা হয়নি। প্রতিদিনই এক এক ধরনের খাবার থাকে। কোনদিন মাছ ভাত, কোনদিন ডিমভাত, কোন দিন সবজি ভাত, কোনদিন পনির ভাত আর মাসে একদিন করে আসে এক টাকার বিরিয়ানি। দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগী এবং তাদের আত্মীয়রাও এই উদ্যোগের ভীষণ প্রশংসা করেছেন।
ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের চেয়ারম্যান মিঠু চৌধুরী জানান, বর্তমানে শুধুমাত্র বারাসাত হাসপাতালের বাইরেই এই ভ্রাম্যমান ক্যান্টিন রয়েছে। পরবর্তীতে রাজ্যজুড়ে এই ক্যান্টিনের আরও বিভিন্ন শাখা খোলার ইচ্ছে রয়েছে তাদের।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম