।। প্রথম কলকাতা ।।
Kedarnath temple: ভারতের বিখ্যাত তীর্থস্হানগুলির মধ্যে অন্যতম প্রসিদ্ধ কেদারনাথ। কথিত আছে, এক সময় পাণ্ডবরা ভগবান শিবকে তুষ্ট করার জন্য কেদারনাথ মন্দির নির্মাণ করেন। অষ্টম শতকে হিন্দু দার্শনিক আদি শঙ্করাচার্য তাঁর শিষ্যদের নিয়ে এই মন্দির দর্শনে এসেছিলেন।
পুরাণ মতে, মহাভারত যুদ্ধের পর পাণ্ডবরা শিবের আর্শীবাদ পাওয়ার জন্য যাত্রা শুরু করেন। যাত্রাপথে বহুবার বাধা আসার পর ষাঁড়ের বেশে শিব ভীমকে দর্শন দেন। এরপর ভীম ষাঁড় বেশধারী শিবকে ধরার জন্য তার গদার সাহায্যে সেই ষাঁড়কে আঘাত করেন। আঘাত হওয়ার পর সেই ষাঁড়ের দেহ বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত হয়ে মাটির চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। ধার্মিকদের বিশ্বাস এই ষাঁড়ের পশ্চাৎ অংশ রূপেই কেদারনাথ মন্দিরে ভগবান শিব স্থাপিত আছেন। ভগবানের এই রূপ দর্শনের ফলেই পান্ডবদের পাপ মুক্তি ঘটে। ভগবান শিব সেই সময় পাণ্ডবদের বলেছিলেন তিনি ত্রিকোণ আকৃতি রূপেই ভক্তদের কাছে বিরাজমান থাকবেন। সেই কারণেই আজও কেদারনাথ মন্দিরে গর্ভগৃহে ত্রিকোণ আকৃতি রূপেই মহাদেব বিরাজিত আছেন।
শিব বেশধারী ষাঁড় ভীমের গদার আঘাতে মোট পাঁচটি খণ্ডে বিভক্ত হন। কেদারনাথ ছাড়াও বাকী শিবলিঙ্গ গুলি হল তুঙ্গনাথ, রুদ্রনাথ, মদমহেশ্বর, কল্পেশ্বর, যা পঞ্চকেদার নামেও পরিচিত।
কেদারনাথ হল চারধাম যাত্রার অন্যতম প্রধান যাত্রা। সম্পূর্ণ চারধাম যাত্রা যেমন হিন্দু ধর্মপ্রাণ মানুষকে পুন্য দান করে, একই সাথে প্রকৃতিপ্রেমী ভ্রমণপ্রিয় মানুষকে পরিতৃপ্তি এনে দেয়। এই মন্দিরটি প্রতি বছর বৈশাখ মাসে দর্শণার্থীদের জন্য খোলা হয় এবং কার্তিক মাসের প্রথম দিনে বন্ধ করে দেওয়া হয়। শীতকালীন সময়টা ভগবান কেদারনাথকে উখিমঠে স্থাপন করা হয়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম