।। প্রথম কলকাতা।।
Menstrual Cramps: বর্তমানে অধিকাংশ মহিলারাই বিভিন্ন ধরনের পিরিয়ডের সমস্যায় ভোগেন। তার জন্যে অনেকাংশের দায়ী তাদের জীবন যাপনের ধরন। এই সময় বহু মহিলা মারাত্মক পেটে যন্ত্রণায় কাবু হন। একই সঙ্গে তাদের ঘিরে ধরে মাথা যন্ত্রণা, গায়ে হাতে পায়ে যন্ত্রণা এবং বমি বমি ভাব। এর থেকে রেহাই পেতে সাধারণত ওষুধ কিনে খাওয়া হয়। তবে এই ওষুধ শরীরের পক্ষে ভীষণভাবে ক্ষতি করতে পারে । তাই ওষুধের বদলে ঋতুকালীন ব্যথা নিরাময়ের জন্য কাজে লাগান কিছু ঘরোয়া টোটকা।
ঋতুকালীন পেটে ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায় :
* হট ওয়াটার ব্যাগ : পিরিয়ড চলাকালীন হট ওয়াটার ব্যাগ ভীষণভাবে সাহায্য করে মহিলাদের। তলপেটে কিংবা পিঠের নিচে যদি এই ব্যাগ রাখা হয় তাহলে মেলে সাময়িক আরাম । এছাড়াও চিকিৎসকদের মতে এই সময়ে হালকা গরম জলে স্নান করলে কিংবা হালকা গরম জল খেলে ব্যথা কিছুটা হলেও কমে।
* ভেষজ চা : এই সময়ে বাড়িতে তৈরি করা গরম গরম চা আপনাকে বেশ আরাম দিতে পারে । বাড়িতেই সহজ উপায়ে আদা গোলমরিচ দিয়ে চা তৈরি করে নিতে পারেন। তাতে দিতে পারেন খানিকটা তেজপাতা। এই চায়ে দুধ এড়িয়ে চলাই ভালো। পেটে ব্যথা নিরাময়ে এই চা ভীষণভাবে সাহায্য করবে।
* ক্যাফেইন বা অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকুন: যাদের নিয়মিত কফি খাওয়ার অভ্যাস রয়েছে তাঁরা অন্তত মাসের এই পাঁচ দিন রোজকার রুটিন থেকে কফি সরিয়ে দিন । অ্যালকোহল থেকেও দূরে থাকার চেষ্টা করুন । তাহলে পেটে যন্ত্রণা তুলনামূলকভাবে কম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
* জাঙ্ক ফুড এড়িয়ে চলুন : মাসের এই কয়েকটি দিনে পেটে যন্ত্রণার পাশাপাশি হজমের গণ্ডগোল দেখা দেয়। সে ক্ষেত্রে যতটা সম্ভব ভাজা খাবার না খাওয়াই উচিত। হালকা এবং খুব বেশি তেল মশলা ছাড়া খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন।
* নারকেল বা তিল তেলের ম্যাসাজ : আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের মতে তিল তেল কিংবা নারকেল তেল দিয়ে ম্যাসাজ করলে পেশির টান দূর হয় । যা ব্যথা কমাতে অনেক সাহায্য করবে । এছাড়াও তিল কিংবা নারকেল তেলে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
* ব্যায়াম করুন : অনেকেই মনে করেন পিরিয়ডের সময় ব্যায়াম করা উচিত নয়। শরীরের কোন অঙ্গের বেশি নাড়াচাড়া করা উচিত নয়। কিন্তু এই ধারণা ভুল। বর্তমানে গবেষণায় জানা গিয়েছে, এই সময় যোগ ব্যায়াম ভীষণভাবে উপকারী। এছাড়াও সকালে কিংবা সন্ধ্যের দিকে কিছুক্ষণের হাঁটাহাঁটি আপনার স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পারে।
মাসের এই কটা দিন শারীরিক যে সমস্যাগুলি দেখা দেয় তা স্থায়ীভাবে দূর করার জন্য আপনার জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনতে হবে। খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ করে পরিবর্তন আনতে হবে। তবে ঘরোয়া টোটকার পরেও যদি এই সমস্যা থেকে যায় তবে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে আলোচনা করুন। তাঁর পরামর্শ অনুযায়ী চলার চেষ্টা করুন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম