।। প্রথম কলকাতা ।।
Vir hanuman : তিনি মঙ্গলকারী আর একইসঙ্গে অমঙ্গলহারী। ভগবান হনুমান সম্পর্কে সচরাচর এমনটাই বলা হয়ে থাকে। রামায়ণ থেকে মহাভারত হিন্দু মহাকাব্যে ভগবান হনুমানের নানান কার্যকলাপ সেকথা স্পষ্ট করে দিয়েছে। বুঝিয়ে দিয়েছে তার সম্পর্কে যা বলা হয়ে থাকে সে কথা মিথ্যে নয়। কথার কথা নয়। গ্রহের দোষের জন্য নানান ঝামেলায় মানুষ জড়িয়ে পড়ে। সেক্ষেত্রে তিনি দুর্গতকে পথ দেখান। তাকে সংকট থেকে রক্ষা করেন। সবচেয়ে বড় কথা সত্য ক্রেতা দ্বাপর অথবা কলি যাই হোক না কেন হনুমান অমর। সব যুগেই তিনি সমানভাবে বিরজমান। মন দিয়ে ডাকলে যার দেখা মেলে সহজেই।
হনুমানের জন্মদিবস উপলক্ষে হনুমান জয়ন্তী পালন করা হয় প্রতিবছর। কথিত আছে বীর হনুমান চারটি যুগের অমরত্ব লাভ করেছিলেন পুরান অনুযায়ী। বজ্রপাত ছিল এই অমরত্ব লাভের অন্যতম কারণ। এমনকি এই বীর হনুমান সমগ্র পৃথিবীকে রক্ষা করেছিলেন রাবণের রাক্ষস বাহিনীর হাত থেকে।
ছোট্ট হনুমান জন্ম নেয় মাতা অঞ্জনার কোলে। হনুমানের পালিত পিতা ছিলেন পবন দেব। হনুমান অতি চঞ্চল প্রকৃতির ছিলেন শৈশব কাল থেকেই। এমনকি তিনি একদিন খেলার ছলে সূর্য দেবতাকে গ্রাস করে নেন। ইন্দ্র ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এমতা পরিবেশে। হনুমানের উপর তীব্র বজ্রাঘাত হানেন সূর্য দেবতাকে রক্ষা করার জন্য। ছোট্ট হনুমান অচেতন হয়ে পড়েন ইন্দ্রের বজ্রাঘাতের আঘাত সহ্য করতে না পেরে। সূর্যদেব রক্ষা পেলেও পবনদেবের হাত থেকে ইন্দ্রদেব রক্ষা পায় না। এদিকে পবন দেব সমস্ত ধরিত্রীর সমস্ত বায়ু রোধ করে দেন পুত্রের করুন অবস্থা দেখে। চরম আশঙ্কা দেখা দেয় মহা বিনাশের। তখন মহাপ্রলয়ের হাত থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করার জন্য হনুমানকে সুস্থ করে দেন ব্রহ্মা এবং অন্যান্য দেবগন। ব্রহ্মা হনুমানকে আশীর্বাদ করেন চার যুগের অমরত্ব দিয়ে। এই বীর হনুমান পরবর্তীকালে রামের সঙ্গী হয়ে সীতা উদ্ধারে সাহায্য করেন এবং লেজে আগুন নিয়ে লঙ্কায় তাণ্ডব চালান।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম