।। প্রথম কলকাতা ।।
Pakistan Economic Crisis: চরম অর্থনৈতিক সংকটের (Economic Crisis) মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছেন পাকিস্তানের (Pakistan) নাগরিকগণ। কবে যে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, হয়ত শ্রীলঙ্কার মতো দেউলিয়ার পথে পাকিস্তান। সম্প্রতি স্বাস্থ্য খাতেও চরম বিপর্যয় নেমে এসেছে। অসুস্থ ব্যক্তিরা তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় ওষুধ পাচ্ছেন না। এক কথায় অস্তিত্বের লড়াই চলছে পাকিস্থানে। ইতিমধ্যেই পাকিস্তান সরকার ফেডারেল মন্ত্রক এবং সংযুক্ত বিভাগগুলিকে বেতন পেনশন ও বিল ক্লিয়ারিং বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন। এখনো পর্যন্ত বহু কর্মীর বকেয়া বিল রয়েছে। যদিও এই তথ্য সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে পাকিস্তানের অর্থ বিভাগ। একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, পাকিস্তান সরকার বেতন পেনশন ইত্যাদি বন্ধ করার যে নির্দেশ দিয়েছে বলে গুজব ছড়ানো হচ্ছে।
অর্থনৈতিক সংকটের জেরে বেশ বিপাকে পাকিস্তানের স্বাস্থ্য খাত। ওষুধের কাঁচামাল আমদানি থেকে শুরু করে উৎপাদনে নানান সমস্যা দেখা দিয়েছে। যার কারণে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ওষুধ এখন পাকিস্তানের সাধারণ নাগরিকদের নাগালের বাইরে। অপরদিকে খাদ্যদ্রব্য এবং নিত্য পণ্যের দাম আকাশ ছোঁয়া। ওষুধের অভাবে রোগী কষ্ট পেলেও কিছু করা যাচ্ছে না। এমনকি হাসপাতালের বেডে ওষুধের অভাবে অস্ত্রোপচার করতে পারছেন না চিকিৎসকরা। বিশেষ করে হার্ট, ক্যানসার আর কিডনি রোগের ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের জন্য কিছু ওষুধ অত্যন্ত দরকার। পাকিস্তানের হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার গুলিতে যে পরিমাণ চেতনা নাশক ওষুধ রয়েছে তা দিয়ে মাত্র দুই সপ্তাহ মতো চলতে পারে। মূলত পাকিস্তানের স্বাস্থ্য খাত সম্পূর্ণরূপে নির্ভর করছে আমদানির উপর। ওষুধ তৈরির ক্ষেত্রে যে কাঁচামাল প্রয়োজন হয় তার ৯৫ ভাগ আসে ভারত চীনসহ বিশ্বের নানান দেশ থেকে। অপরদিকে দেশটির ডলার বিপর্যয়ের কারণে কাঁচামাল আমদানি করতে পারছে না। যার কারণে ওষুধ উৎপাদন প্রতিষ্ঠানগুলো উৎপাদন কমিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে। বর্তমানে পাকিস্তান যে অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়েছে তা গত ৫০ বছরের মধ্যে সবথেকে খারাপ।
অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে পাকিস্তান। এই মুহূর্তে আইএমএফ এর তহবিলের জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া কোন উপায় নেই। আপাতত পাকিস্তান আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল অর্থাৎ আইএমএফ এর মুখে চেয়ে বসে আছে, কখন ১.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তহবিল পাওয়া যাবে। সম্প্রতি পাকিস্তান সরকার প্রকাশ্যে এনেছে একটি মিনি বাজেট। যেখানে অধিকাংশ গৃহস্থলীর জিনিসের ক্ষেত্রে প্রায় ১৭ থেকে ২৫ শতাংশ বিক্রয় কর বৃদ্ধি করা হয়েছে। দোকানে দোকানে চাহিদা অনুযায়ী ওষুধ পাচ্ছেন না ক্রেতারা। পাকিস্তান এখন ঋণ নিয়ে রিজার্ভের ভাঁড়ার পূরণ করছে। কিছুদিন আগেই পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ পৌঁছেছিল ২.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে কিন্তু। এখন তা দাঁড়িয়েছে ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। এক্ষেত্রে ঋণ যোগাচ্ছে চীন। সম্প্রতি চীনের কাছ থেকে পাকিস্তান প্রায় ৭০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সাহায্য পেয়েছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম