।। প্রথম কলকাতা ।।
নতুন ডিফেন্স ডিলে পাকিস্তানের মিথ্যে ফাঁস দুনিয়ার সামনে। এই মুসলিম দেশই খুলে দিল পাকিস্তানের মুখোশ, মায়ানমার ফেঁসে গেছে। চীনের অস্ত্র বানায়নি বোকা বানিয়েছিল ইসলামাবাদকে। ভারত-আমেরিকার চুক্তির পরই মিথ্যে বলতে বাধ্য হয়েছিল পাকিস্তান। চীন আসলে পাকিস্তানের বন্ধু না শত্রু? ইরাক নাকি পাকিস্তানের থেকে কিনতে চেয়েছিল তাদের জেএফ-১৭ ফাইটার জেট। মিথ্যে বলেছিল পাকিস্তান ফাঁস করে দিল ইরাক। জানেন মায়ানমার জেএফ-১৭ ফাইটার জেট কিনে ফেঁসে গিয়েছে রীতিমত আর এই খবরই বিশ্বের সামনে আবারও প্রথম করল পাকিস্তানের ধূর্ততা।
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন পাকিস্তানের মাথায় টুপি পড়িয়েই ফোর্থ জেনারেশনের জেএফ-১৭ ফাইটার ক্রাফট বানিয়েছিল চীন। আর সেই এয়ার ক্রাফট বিক্রি করতে গিয়েই এখন নাজেহাল অবস্থা পাকিস্তানের। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট বলছে, পাকিস্তান যে দাবি করেছিল যে ইরাক তাদের জেএফ-১৭ ফাইটার ক্রাফট কিনছে। সেই দাবিকে কার্যত নস্যাত করে দিয়ে ইরাক জানিয়েছে। তারা এধরণের কোন চুক্তি পাকিস্তানের সঙ্গে আগেও করেনি এখনও করবে না। প্রশ্ন উঠছে পাকিস্তান তাহলে মিথ্যে বলল কেন? কোন চাপের মুখে পড়ে? পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ১২০০ মেগাওয়াটের সেই বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন। আর সেই প্রকল্পের উদ্বোধনের সময় চীনকে “বন্ধু” বলে দাবি করেছেন। চীনের সঙ্গে ৩৫০ কোটি মার্কিন ডলারের একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছিল পাকিস্তানের। সেই চুক্তি অনুযায়ী, পঞ্জাব প্রদশের চাশমাতে ওই প্লান্ট তৈরি করে দিয়েছে চীন।
কিন্তু সেখানেও কোনও গন্ডগোল নেই তো কারণ তথ্য বলছেন জেএফ-১৭ লাইট ওয়েট, সিঙ্গল ইঞ্জিন, মাল্টিরোল কমব্যাট এয়ারক্রাফট পাকিস্তানের বায়ুসেনা ছাড়াও ব্যবহার করে মায়ানমার ও নাইজেরিয়ার বায়ুসেনা। কিন্তু অদ্ভুতভাবে চীনের চেংদু এয়ারক্রাফট কর্পোরেশন ও পাকিস্তান এরোনটিক্যাল কমপ্লেক্স দুই সংস্থা মিলে এই এয়ার ক্রাফট তৈরি করা সত্ত্বেও পিএলএ আর্মি কিন্তু তাদের এয়ারফোর্সে ব্যবহার করে না জেএফ-১৭। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন ভারত-আমেরিকার একাধিক প্রতিরক্ষা চুক্তির কথা শুনেই একবছর আগেকার খবর ফের চাউর হয় পাকিস্তানে। ইরাকের সঙ্গে জেএফ-১৭নিয়ে একটা কথোপকথন হচ্ছিল পাকিস্তানের তখন সে দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ছিলেন জুমা ইনাদ। তবে ইরাকের নতুন মন্ত্রী এসে বলছেন এমন কোনও ডিলই হবে না।
বিশ্লেষকদের দাবি এর একটাই কারণ। জেএফ-১৭ ফাইটার জেটকে টিনের ডিব্বার সঙ্গে তুলনা করা হয়। মায়ানমার রীতিমত পস্তাচ্ছে এই এয়ারক্রাফট কিনে। কয়েকবছর তো সেখানে আকাশ ওড়ানোই হত না এই জেট। রাশিয়া অরিজিনের ইঞ্জিন থাকা এই যুদ্ধবিমান ওড়ানোই আসলে চাপের। আর এবার বিশ্বের সামনে আবারও পাকিস্তানের সেই পর্দাই ফাঁস করে দিল ইরাক। এখানেই পরিস্কার এখন কীভাবে পাকিস্তানের মাথায় হাত বুলিয়ে বোকা বানিয়ে যাচ্ছে বেজিং৷
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম