।। প্রথম কলকাতা ।।
ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধে ইউক্রেনকে আড়াল থেকে সাহায্য করছে পাকিস্তান। এবার কি সমস্যা বাড়বে রাশিয়ার?
ইউক্রেনের সাথে পাকিস্তানের সম্পর্ক ভালো অনেকদিনের। ঠিক কি কি সাহায্য করছে পাকিস্তান? এর পেছনে কি আমেরিকার মদত রয়েছে? আর এতে পাকিস্তানের স্বার্থেই বা কি রয়েছে? ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে চলতে থাকা সমস্যায় পাকিস্তানের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন সামনে উঠে এসেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বিশ্বের নানা দেশ নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছিল। কেও রাশিয়ায় পাশে দাঁড়িয়েছিল, আবার কেও ইউক্রেনের। অনেকে আবার নিরপেক্ষ ভূমিকা নেয়। সেই দলেই ছিল পাকিস্তান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর নিরপেক্ষ থাকা হয়নি পাকিস্তানের। গোপন নথিতে দাবি করা হয়েছে, আমেরিকার চাপেই রুশ বিরোধী কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়তে হয়েছিল তাদের। যুদ্ধে ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ করতে হয়েছিল।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে আমেরিকা যে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়াবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। রাশিয়া বিরোধী জোট তৈরি করতে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে নানা সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকা সরকার। তারমধ্যেই ছিল পাকিস্তানের সঙ্গে এই ‘অস্ত্র চুক্তি’! জানা গেছে, ২০২২ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত গোপনে ইউক্রেনকে অস্ত্র বিক্রি করেছে পাকিস্তান। সেই অস্ত্রের ব্যবহার হয়েছে যুদ্ধে। গ্লোবাল মিলিটারি প্রোডাক্টস নামে একটি সংস্থার মাধ্যমেই এই অস্ত্র কেনাবেচার চুক্তি হয়। আমেরিকার মধ্যস্থতাতেই পুরো কর্মকাণ্ড ঘটেছে বলে দাবি পাক রিপোর্টে।
এতে পাকিস্তানের কি স্বার্থ ছিল?
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আবহের মধ্যেই পাকিস্তানে তৈরি হয়েছিল বিপুল আর্থিক সঙ্কট। দেখা দিয়েছিল খাদ্য সঙ্কটও। ইমরান খান সরকারের পতন, শাহবাজ শরিফ প্রধানমন্ত্রী হওয়া সব ঘটেছে এই সময়ের মধ্যেই। প্রধানমন্ত্রী পদে বসে দেশের আর্থিক সঙ্কট দূর করতে আইএমএফের কাছে ঋণ চান শাহবাজ শরিফ। এই ঋণ দেওয়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পাক সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে আইএমএফের। শেষপর্যন্ত আমেরিকার কথাতেই আই এম এফ এর কাছ থেকে ঋণ পেয়েছে পাকিস্তান। আর আমেরিকার এই সাহায্যের জন্য শর্তই ছিল, ইউক্রেনকে অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করা।
অন্যদিকে আবার, ইউক্রেনের সাথে পাকিস্তানের সম্পর্ক বেশ মজবুত বহুদিন থেকেই। ইউক্রেন পাকিস্তানের আইএল-৭৮ রিফুয়েলার সহ পাকিস্তানের এমআই-১৭ হেলিকপ্টার গুলি মেইন্টেইন করে। পাশাপাশি চীনের লিওয়ানিং ক্যরিয়ারও ইউক্রেনের থেকে ক্রয় করা হয়েছিল।পাকিস্তান ও চীনের সাথে তাদের সম্পর্কটা প্রথম থেকেই একটু বেশিই গভীর। একাধিক কারনেই পাকিস্তান অফিসিয়ালি ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বের প্রতি ওপেন সমর্থন জানায়। ইউক্রেন রাশিয়াকে বোঝানোর জন্য ইমরানকে অনুরোধ করেছিল। তবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী সেখানে পৌছানোর পরই রুশ আক্রমন শুরু করে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম