।। প্রথম কলকাতা ।।
পাকিস্তান মালামাল হয়ে গেল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে। ৩০ কোটির জ্যাকপট পেয়ে গেল ইসলামাবাদ। রাশিয়া-চীন ধরতেই পারেনি শাহবাজ শরিফের চালাকি। যে তথ্য সামনে এল তাতে বিশ্ব অবাক! পাকিস্তান নিজের দেশের যে অবস্থা দেখাচ্ছে বাস্তব কি সেটাই? নাকি নিজের দেশের জনগনের সঙ্গে গোটা দুনিয়াকে বোকা বানানোর চেষ্টা! পাকিস্তানের বড়সড় লটারি লেগে গেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে এই দেশটা যা কামিয়ে ফেলেছে সেই সংখ্যা শুনে রীতিমত অবাক হতে হয়। অনেকে বলেছিলেন রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে নিরপেক্ষ থেকে আসলে যুদ্ধের ফায়দা লুটছে ভারত। রাশিয়ার থেকে সস্তা দামে কাড়ি কাড়ি তেল কিনছে ভারত। তাহলে বলতে হয় একটু দাঁড়িয়ে যান পাকিস্তানেরটা শুনুন। ২০২২ সালে ইউক্রেনকে গোলাবারুদ সরবরাহ করে ৩৬ কোটি ৪০ লক্ষ মার্কিন ডলার উপার্জন করেছে। অর্থ সংঙ্কটে ভুগতে থাকা পাকিস্তান কারা দিল পাকিস্তানকে এত টাকা?এবার কি তাহলে চীনের লোনের আর দরকার নেই ইসালামাবাদের?
জানতে পারা যাচ্ছে ‘গ্লোবাল মিলিটারি’ এবং ‘নর্থরপ গ্রুম্যান’ নামে দুটি মার্কিন বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে অস্ত্র চুক্তি করেছিল ইসলামাবাদ। মার্কিন ফেডেরাল প্রোকিওরমেন্ট ডেটা সিস্টেমের তথ্যের উল্লেখ করে বিবিসি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে ইউক্রেনকে ১৫৫ মিমি শেল বিক্রি করেছিল পাকিস্তান। ২০২২-এর ১৭ অগস্ট ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহের এই চুক্তিগুলি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। তারপর কীভাবে ইউক্রেনে পৌঁছনো হয়েছিল একের পর এক অস্ত্র জানেন? অনেকেই বলছেন যে রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে তা পাকিস্তান অস্বীকার করলেও এবার মস্কোর সঙ্গে সম্পর্ক বিগড়ে যেতে পারে পাকিস্তানের। রাওয়ালপিন্ডির পাক বিমান বাহিনী ঘাঁটি নুর খান থেকে সাইপ্রাসের ব্রিটিশ সামরিক ঘাঁটি আকরোতিরি হয়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে অস্ত্রগুলি পৌঁছে দিয়েছিল। একটি একটি ব্রিটিশ সামরিক কার্গো বিমান। এর জন্য নুর খান বিমান ঘাঁটি থেকে মোট পাঁচবার উড়েছিল বিমানটি। ইমরান খানই কি গদিতে থাকার সময় করেছিলেন এসব চুক্তি?
এদিকে বিবিসি উর্দুর দাবি পাকিস্তান একেবারেই এই লাভের কথ না মানতে চাইলেও পাকিস্তানের ব্যঙ্কের তথ্য সত্যিটা ফাঁস করে দিচ্ছে। স্টেট ব্যাঙ্ক অব পাকিস্তানের তথ্যেও বলা হয়েছে ইসলামাবাদের অস্ত্র রফতানি ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ৩,০০০ শতাংশ বেড়েছে। ২০২১-২২-এ পাকিস্তান ১ কোটি ৩০ লক্ষ মার্কিন ডলারের অস্ত্র রফতানি করেছে। সেখানে ২০২২-২৩-এ তাদের অস্ত্র রফতানির আয় পৌঁছেছে ৪১ কোটি ৫০ লক্ষ মার্কিন ডলারে। এই চুক্তিগুলি হয়েছিল পাকিস্তানের বহুদলীয় জোট। পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট-এর শাসনাকালে ইমরান খানের সময় নয় গত বছরের এপ্রিলে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনে তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করেছিল। ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট তারপরই এসব চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়।
অনেকেই বলছেন পাকিস্তানের পকেটে যদি সত্যি এই পরিমাণ অর্থ এসে থাকে তাহলে তো তাদের এবার দেশের দুর্দশা ঘোচানোর কাজে তা ব্যবহার করা দরকার। এখন সেই টাকা যদি সেনাবাহিনীর পেটে চলে যায় তাহলে তা আলাদা ব্যাপার বা হয়ত এই টাকা দিয়েই আরও নতুন অস্ত্র কিনে তা ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহার করারই ছক কষছে তারা।পাকিস্তানের অবশ্য দাবি রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে দুই দেশের বিরোধ করে তারা ‘কঠোর নিরপেক্ষতা’ নীতি বজায় রেখেছে। যদি এই বক্তব্য খুব কম লোকই বিশ্বাস করেন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম