।। প্রথম কলকাতা ।।
পাকিস্তানের দুঃসাহস টা দেখুন! POK নিয়ে যত বড় মুখ নয় তত বড় কথা। পাক কেয়ারটেয়ার বিদেশমন্ত্রী জিলানির ভারতকে নিয়ে বড় ঘোষণা। কাশ্মীর নিয়ে ১৭ বছর আগের মহমোহন-মুশারফ ফর্মূলা ফেরানোর চেষ্টা। কী ব্লান্ডার ছিল এই ফর্মূলাতে আজ হবে পর্দাফাঁস। নয়া দিল্লির কড়া নজর পাকিস্তানের এক একটা স্টেপে।জানেন পাকিস্তানের বর্তমান বিদেশমন্ত্রী জলিল আব্বাস জিলানি আসলে কে? কেন ভারত তাঁকে ধাক্কা মেরে দেশ থেকে বের করে দিয়েছিল? বলা হয়েছিল না এই ৯০টা দিনে তুফান তোলার চেষ্টা করবে পাকিস্তানে পাকিস্তান এমূহুর্তে যাদের হাতে তারা কথা বলে না কথা বলছে পাকিস্তানে ISI
ট্রিবিউনের তথ্য বলছে পাকিস্তানের টপ কূটনীতিবিদ তথা বর্তমান বিদেশমন্ত্রী জিলানি চান ১৭ বছর আগে যে ব্লান্ডার করতে করতে থেমে গেছিল ভরত মহমোহন-মুশারফ ফর্মূলা সেটাই এবার ফেরানো হোক। কীভাবে ভারতের চোখের সামনে দিয়ে কাশ্মীরকে ছিনিয়ে নিতে হয় পাকিস্তান ঠিক সেই প্ল্যানটাই করেছিল। আপনি ২০২৩ বসে ভাবতে পারেন এমন একটা ডিল হবে পাকিস্তানের সঙ্গে যেখানে কাশ্মীরে গোটা কন্ট্রোলই থাকবে ইসলামাবাদের। আর সেই ডিল সাইন করার জন্য ভারত চিন্তাভাবনা করছে। বাজি রেখে বলতে পারি আপনার বুলশিট মনে হবে। ২০০৬ সালে মনমোহন সিংয়ের আমলে কিন্তু তেমনটাই হতে চলেছিল ভারতের। জলিল আব্বাস জিলানি ২০০৩ সালে ভারতে থাকা পাকিস্তানের ডেপুটি হাইকমিশনার ছিলেন কিন্তু দিল্লি তাকে দেশ থেকে বের করে দেয়। কারণ তারঁ বিরুদ্ধে ভারতে থেকে এখান থেকে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনগুলিকে আর্থিক মোদক দেওয়ার অভিযোগ ছিল।
মনমোহন মুশারফ ফোর স্টেপ ফর্মূলা আসলে কি ছিল তা প্রকাশ্যে আনেনি ভারত বা পাকিস্তান কোনও দেশই।
কিন্তু পারফেজ মুশারফের ‘ইন দ্য লাইন অব ফায়ার’এ এর বেশ কিছুটা ইঙ্গিত মেলে। মনমোহন মুশারফ ফোর স্টেপ ফর্মূলা ছিল এমন কিছু যেখানে দুটো দেশ স্বশাসন দেবে কাশ্মীরকে। এর মানে বর্তমানে ভারতের হাতে থাকা কাশ্মীর ও পিওকে-কে। কাশ্মীরের মুদ্রা, পর্যটন, নাগরিকত্ব সব কিছু আলাদা হবে ভারত এতে নাক গলাতে পারবে না। গোটা উপত্যকার গুরুত্বপূর্ণ শহরের পাশ থেকে মিলিটারি সরানো হবে। এলওসির কোনও অস্তিত্ব থাকবে না। ভুলবেন না ১৯৭২ সিমলা এগ্রিমেন্টের পরেই হয়েছিল। ভারত ও পাকিস্তানের ফ্রি মুভমেন্ট হবে কাশ্মীরের হাত ধরে।
এর মানে এমন এক পিস এগ্রিমেন্ট যেখানে একটা সই মানে রাতারাতি কাশ্মীর ভারতের হাত থেকে চলে যেত পাকিস্তানে। তবে কোনও অদৃশ্য শক্তিই বোধহয় ভারতে বাঁচিয়ে দিয়েছিল এমন কোনও এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষর করা থেকে। জিলানির নতুন এই প্রস্তাবের পর ভারতের তরফ থেকে কোনও অফিসিয়াল প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি যদিও জিলানি অফিসিয়ালি এ প্রস্তাব দিল্লিকে দেওয়ার মতো দুঃসাহস করতেও পারেনি। এবার দেখার নতুন কেয়ারটেকার সরকারের মুখ মোদী সরকার কীভাবে বন্ধ করে৷
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম