।। প্রথম কলকাতা ।।
Pakistan Influenced by China: পাকিস্তানের (Pakistan) অর্থনৈতিক কাঠামোতে ধস নেমেছে। দেশটির সাধারণ নাগরিক এক টুকরো রুটির জন্য প্রকাশ্য বাজারে নিজেদের মধ্যে মারামারি করছে। প্রায় সময় পাকিস্তান থেকে বিস্ফোরণের খবর উঠে আসে। দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতিও ভালো নয়। শাহবাজ শরীফের (Shehbaz Sharif) সরকার একেবারেই মেনে নিতে পারেনি পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। তাকে নিয়েও কম সমালোচনা আলোচনা চলছে না। একটি সমীক্ষা রিপোর্ট (Report) অনুযায়ী, চীনের (China) সবথেকে বেশি প্রভাব রয়েছে পাকিস্তানের উপর। গোটা বিশ্ব দেখেছে শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) দুর্দশার চিত্র। শ্রীলঙ্কায় চীনের যথেষ্ট প্রভাব ছিল। ধীরে ধীরে দেশটি দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। এখন দেউলিয়ার পথে পাকিস্তান। বিশেষজ্ঞ মহল আশঙ্কা করছে, চীনের খপ্পরে পড়ে পাকিস্তান শ্রীলঙ্কা হয়ে যাবে না তো?
‘এনবিটি নবভারত টাইমস’ এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, তাইওয়ানের একটি গবেষণা সংস্থা চীনের প্রভাবাধীন দেশের তালিকা প্রকাশ করেছে। এই তালিকায় সেসব দেশকে রাখা হয়েছে, যাদের বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণ নীতি, প্রযুক্তি ও অর্থনীতি চীন দ্বারা প্রভাবিত। এই তালিকায় বেশিরভাগ দেশ রয়েছে, তবে আফ্রিকান এবং ইউরোপীয় দেশগুলিরও অভাব নেই। চীন আগ্রাসীভাবে তার পররাষ্ট্রনীতি সম্প্রসারণ করছে। ঋণ বিতরণ করে গরিব দেশগুলোকে তার অর্থনৈতিক দাস বানিয়ে ফেলছে। বিশ্বের যে দেশকে চীন ঋণ দিয়েছে, আজ সেই দেশ দেউলিয়া বা দেউলিয়া হওয়ার পথে। এমতাবস্থায় চীন এখন সেইসব দেশকে তাদের ঋণ ফেরতের জন্য চাপ দিচ্ছে। এমনিতেই দারিদ্র্যের মধ্যে থাকা এসব দেশ চীনকে ঋণের টাকা ফেরত দিতে পারছে না। বিনিময়ে তাদের চীনের কথা ও নীতি মানতে বাধ্য করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বে চীনা প্রভাবশালী দেশের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে।
সম্প্রতি একটি গবেষণা সংস্থা চীনের প্রভাব সবচেয়ে বেশি এমন দেশের তালিকা তৈরি করেছে। ৮২টি দেশ এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। দি চায়না ইনডেক্স নামের এই তালিকাটি তাইওয়ানভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ডাবলথিঙ্ক ল্যাব প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে সেইসব দেশ রয়েছে যাদের বৈদেশিক ও অভ্যন্তরীণ নীতি, প্রযুক্তি এবং অর্থনীতি চীন দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত। এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তান। দ্বিতীয় স্থানে কম্বোডিয়া এবং তৃতীয়তে রয়েছে সিঙ্গাপুর। চার নম্বরে রয়েছে থাইল্যান্ড। পাঁচ নম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা, ছয় নম্বরে পেরু। সপ্তম স্থানে ফিলিপাইন, অষ্টম কিরগিজস্তান, নবম তাজিকিস্তান এবং দশম স্থানে মালয়েশিয়া। জার্মানি এই তালিকায় ১৯তম স্থানে রয়েছে, এটি প্রথম ইউরোপীয় দেশ যেখানে চীনের সর্বাধিক প্রভাব রয়েছে৷
ডাবলথিঙ্ক ল্যাবসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও মিন হুয়েন-উ বলেছেন যে এই ডাটাবেসের মূল লক্ষ্য চীনা প্রভাবের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী সচেতনতা বৃদ্ধি করা। তারা বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলির উপর চীনের প্রভাব ঠিক কতটা তা খতিয়ে রেখেছে। চায়না সূচকের জন্য তথ্য সংগ্রহ করতে, গবেষকদের দল বিশ্বজুড়ে প্রভাব ট্র্যাক করার জন্য নয়টি বিভাগে ফোকাস করেছে। এর মধ্যে রয়েছে উচ্চ শিক্ষা, দেশীয় রাজনীতি, অর্থনৈতিক সম্পর্ক, বৈদেশিক নীতি, আইন প্রয়োগকারী, মিডিয়া, সামরিক সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক সম্পর্ক এবং প্রযুক্তি।
মিন হাওয়ান-উ বলেছেন, চীন কীভাবে একটি দেশকে প্রভাবিত করে তার কোনও স্পষ্ট নমুনা নেই। তারা যে তথ্য সংগ্রহ করেছি তাতে চীনা প্রভাব পরিমাপ করার জন্য অর্থনীতিই একমাত্র মানদণ্ড নয়। তার কথায়, আপনি আর্থিকভাবে স্বাধীন হলেও অন্য উপায়ে আবদ্ধ হতে পারেন। যেমন একটি দেশে চীনা প্রবাসীর সংখ্যা, যা বেইজিংকে তার দেশের প্রভাব বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। গবেষকরা মনে করেন, পাকিস্তানে চীনের প্রভাব সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রনীতি থেকে শুরু করে দেশীয় রাজনীতিতে চীনের আধিপত্য। পাকিস্তানের অর্থনীতিতে সবচেয়ে বেশি ঋণও এসেছে চীন থেকে। চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরও এর একটি উদাহরণ।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম