।। প্রথম কলকাতা ।।
Dawood Ibrahim: দাউদ ইব্রাহিমকে সত্যিই কি বিষ দেওয়া হয়েছে? তথ্য ফাঁস করবে “র”! যে পাকিস্তান দাউদের অস্তিত্ব তাদের দেশের স্বীকার করত না তারা বের করছে দাউদের লাইফরিস্কের খবর। পাকিস্তানের নতুন খেলায় ধোঁকা খেতে পারে বিশ্ব। ‘র’ এবারই নেবে সেই মোক্ষম স্টেপ? চালাকি করতে গিয়ে বড় ভুল ISIS এর। পাকিস্তান লুকাতে চাইছে নাকি ফেক তথ্য ছড়িয়ে দিয়ে তার মাঝেই বড় খেলাটা খেলতে চাইছে? পাকিস্তান কনফার্ম করে নিচ্ছে দাউদ ইব্রাহিম তাদের দেশেই? তুখোর কোন পরিকল্পনা করে ফেলেছে আইএসআই দাউদকে নিয়ে। ‘র’ এর সামনে ফাঁদ পাতা হয়েছে অদৃশ্য এক ফাঁদ। এই সুযোগে দাউদকে অন্য কোথাও সরিয়ে ফেলার প্ল্যানিং! কীভাবে পাকিস্তানে টপ সিকিউরিটিতে থাকা এক জঙ্গির খবর ভাইরাল হতে পারে সোশ্যাল মিডিয়ায়? সে অসুস্থ, তাকে করাচীর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এসব তথ্য হু হু করে ফাঁস হয়ে যাবে, আর ISI বোকার মতো সেগুলোকে ফাঁস হতে দেবে? বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় এটা আপনার?
সামনেই ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবস ভারতের, এরপরই ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন কোন ছক কষছে আসলে পাকিস্তান? এবারই কি মোদী দাউদকে নিয়ে কোনও বড় ঘোষণা করতে পারত সেটা বুঝেই কি আগেভাগেই বড় প্ল্যান কষা হলো জিন্নাহর দেশ? দাউদ ইব্রাহিমকে নিয়ে এটা শুধু খবর নয় পাকিস্তানের একটা টোপ বলতে পারেন এমনটা বহু মহলের দাবি। পাকিস্তান থেকে যদি এই খবরটাও পান মারা গিয়েছে দাউদ ইব্রাহিম তাহলেও অবাক হবেন না। ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের দাবি পাকিস্তানের মিডিয়া বলছে ১৯৯৩ সালে মুম্বইয়ে একের পর এক বিস্ফোরণে মূল মাথা দাউদকে পাকিস্তানে বিষপ্রয়োগ করে হত্যার চেষ্টা করা হয়। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় করাচী এক বড় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালের যে অংশে সে আছে সেই ফ্লোরটা খালি করা দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, গত দু’দিন ধরে হাসপাতালে রয়েছে দাউদ।
স্বাভাবিকভাবে কে বিষ দিল দাউদকে? এই প্রশ্নটা যখন উঠবে তখন মনে মনে একটা নামই মানুষের আসবে সেটা হল হয়ত এই ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’। ইসলামাবাদ আঁটঘাট বেঁধে নেমেছে। পাকিস্তান সব জায়গায় নাকি সোশ্যাল মিডিয়াও চলছে না পাকিস্তানের একাধিক এলাকায় ইন্টারনেট সার্ভার ডাউন হয়ে পড়ার খবর মিলেছে। এক্স, ফেসবুক কিংবা ইনস্টাগ্রামের মতো সমাজমাধ্যম কাজ করছে না। এসব করে কি ধোঁয়াশা তৈরি করার চেষ্টা? বিশ্লেষকদের একাংশ বলছেন পাকিস্তান হয়ত চাইছে কানাডার খালিস্তানি ইস্যুর পর ফের এবার এই ইস্যুত ‘র’ এর দিকে আঙুল উঠুক। একটা ব্যাপার তো নিশ্চই লক্ষ্য করেছেন এতদিনে পাকিস্তানে একের পর এক জঙ্গি খতম হচ্ছে। কখনও মসজিদের বাইরে শ্যুট করা হয়েছে লস্কর জঙ্গিদের কখন পাকিস্তানের জেরে ঢুকে বিষ দেওয়া হচ্ছে সাজিদ মীরকে। এদিকে পাকিস্তানের খান বাবা জঙ্গি হাবিবুল্লাহকে রবিবারই প্রাণে মারার খবর উঠে এসেছে বিভিন্ন মিডিয়ায়। পাকিস্তানে জঙ্গি খুন মানে ইশারায়ভারতের দিকেই ইঙ্গিত তাই না?
আমেরিকা থেকে শুরু করে রাষ্ট্রপুঞ্জ সবার খাতাতেই ঘোষিত বিশ্বমানের জঙ্গি দাউদ আল কায়েদা, তালিবানের সঙ্গেও তার যোগ ছিল বলে অভিযোগ। দাউদ কাজ করেছে ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে বিশ্ব জুড়ে নিষিদ্ধ মাদক পাচার চক্র চালায় এই দাউদই। অনেকেই বলছেন পাকিস্তান হয় এই সুযোগে ‘র’ এর চোখে ধুলো দিয়ে দাউদকে অন্য কোথাও পাঠানোর ব্যবস্থা করতে পারে। এতদিন সন্দেহ করা হত সিন্ধ প্রদেশের করাচীতে আরব সাগর সংলগ্ন ক্লিফনেট এলাকাতেই নাকি লুকিয়ে রাখা হয়েছিল দাউদকে। কিছু দিন আগে জানা গিয়েছিল পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই)-এর শীর্ষস্থানীয় একটি সাম্মানিক পদে দাউদকে বসানো হয়েছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন দুটো জিনিস হতে পারে হয় পাকিস্তান দাউদের মৃত্যুর খবর ঘোষণা করে দিতে পারে। আর সেই ঘটনায় ফাঁসিয়ে দিতে পারে ভারতকে। দ্বিতীয়ত এই সুযোগে দাউদকে অন্য কোথাও সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। ২০২৩এর শেষ সময় বছরটা খুব ভাইটালদা উদকে প্রজেক্ট করে পাকিস্তানের কোনও বড় ছক হতেই পারে বলছেন সংশ্লিষ্ট বিশ্লেষকরা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম