।। প্রথম কলকাতা ।।
চীনের আসল চেহারা দেখে পাকিস্তান চমকে গেল পিওকে-তে টাকা ঢালা বন্ধ করে দিলেন জিনপিং। একের পর এক প্রজেক্ট বাতিল পাকিস্তানের সাহায্য চেয়েছিল কেন মুখের ওপর না বলে দিল চীন? বেজিং ইসলামাবাদের সম্পর্কের এমন দশা কেন? টাকা চাইতে চাইতে পাকিস্তান কি চটিয়ে দিল চীনকে? পিওকের মধ্যে দিয়ে চলা বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রজেক্টের বড় আপডেট। ইসলামাবাদের একের পর এক প্রজেক্ট বাতিল করে দিচ্ছে চীন গত কয়েকমাসে এমন কী ঘটল যে মুখে ফিরিয়ে নিচ্ছে বেজিং?
বলা হচ্ছে চীনের এমন সিদ্ধান্তে পিওকের সিপিইসি প্রকল্প ধাক্কা খেতে চলেছে এই প্রকল্পের অধীন কয়েকটি বিষয়েই
চীন পাকিস্তানকে সহযোগিতা করতে গিয়ে বেঁকে বসেছে। পাকিস্তানের গোয়াদারে একটি আমদানিকৃত কয়লাচালিত বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে তোলার কথা ছিল। পাক সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই পরিকল্পনা বাতিল করেছে ইসলামাবাদ। রিপোর্ট অনুযায়ী, বিদ্যুৎশক্তি, জলবণ্টন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে সিপিইসি-র অধীনে পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি পরিকল্পনা ছিল। গিলগিট বাল্টিস্তান, খাইবার পাখতুনখোয়া, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পর্যটন বিষয়ক পরিকল্পনাও বাতিল করা হয়েছে। আর এর নেপথ্যে মূল মাথা হল চীন। শি জিনপিং পাকিস্তানকে স্বপ্ন দেখিয়ে মাথার ওপর থেকে হাতটা তুলে নিল। প্রথমে পাকিস্তানের এই সব পরিকল্পনাগুলিতে সায় দিয়েছিল চীন। সিপিইসি-র অধীনে চুক্তিতে স্বাক্ষরও করেছিল দুই দেশ, কিন্তু তার ন’মাস পর ১১ তম জয়েন্ট কো অপারেশনের বৈঠকে চীন বেঁকে বসে। ওয়াকিবহাল মহল প্রশ্ন তুলছে এই ৯ মাসে এমন কী ঘটে গেল দুই পরম মিত্র দেশের মধ্যে?
এটা কিন্তু মানতে হবে সিপিইসি-তে বিনিয়োগের পরিমাণও বাড়িয়েছে চীন। প্রথমে এই প্রকল্পের অর্থমূল্য ছিল ৪,৬০০ কোটি ডলার পরে তা বৃদ্ধি করে ৬,২০০ কোটি ডলার করা হয়েছে। এখন মূলত জলসম্পদ ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু পরিবর্তন এবং নাগরিক কাঠামোর উন্নয়নকে সিপিইসি-র আওতাভুক্ত করতে চেয়েছিল পাকিস্তান। বেশ কিছু ক্ষেত্রে চীনের উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করেই এগোতে চেয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু কোনওভাবেই কোনও ক্ষেত্রে সায় দিচ্ছে না বেজিং। যার ফলে কার্যত ফলসে পড়ে গিয়েছে ইসলামাবাদ। বেশকিছু সূত্রের দাবি নিরাপত্তাজনিত কারণে পাকিস্তানের উপর চটেছেন জিনপিং। করাচিতে সিপিইসি সংক্রান্ত কাজে চীনা নাগরিকদের নিরাপত্তাহীনতা জিনপিংকে রুষ্ট করেছে বলে খবর। আগেই বালুচিস্তানেও চীনা নাগরিকদের ওপর আক্রমণ হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি আফগানিস্তানের সঙ্গে চীনের ঘনিষ্ঠতা বাড়ছে আর সেটা পাকিস্তানকে অবহেলার কারণ হতে পারে।
আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহল বলছে এতে কোনও সন্দেহ নেই পাকিস্তানের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রয়েছে চীনের ভূমিকা। চীনের সহায়তাতেই মাথা তুলে দাঁড়াতে পেরেছে ইসলামাবাদ এই পরিস্থিতিতে চীন হাত গুটিয়ে নিলে নির্বাচনের আগেই ফাঁপরে পড়তে হবে পাকিস্তানকে। তাই কোনও অশান্তি না করে আপাতত চীনের মন জুগিয়ে চলার নীতিই নিয়েছে ইসলামাবাদ। জিনপিং যা নির্দেশ দিচ্ছেন সেই অনুযায়ী তারা কাজ করছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম